ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত
শরীরে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় পড়েনি এমন মানুষ খুঁজলে, মেলা বড় মুশকিল। কিছুদিন পরে শীতের মৌসুম, শিতের সময়ে এই ঠান্ডা লাগার সমস্যাটা, অনেকের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কেননা ঠান্ডা লাগার জন্য সবচেয়ে, প্রধান কারণ হলো ভাইরাস এবং এলার্জি জনিত সমস্যা। শীতের সময় ঠান্ডা কাশি এমনিতেই অনেকের লেগেই থাকে, এবং এর সাথে যদি দেখা দেয় এলার্জি, তাহলে তো সমস্যার আর শেষ নেই। তাছাড়া সামনে নতুন মৌসুম, ঋতু পরিবর্তনের ফলে অনেকের শরীরে, ঠান্ডা লাগার সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
তবে ভয়ের কিছু নেই, ঠান্ডা লাগার সমস্যায় বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে। এই সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, তাছাড়াও বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো, দৈনন্দিনীর রুটিনে যোগ করলে, ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে অনেকটাই, সমাধান পাওয়া সম্ভব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত
- ঠান্ডা লাগার কারণগুলি সম্পর্কে জানা যাক
- ভাইরাস সংক্রান্ত সংক্রমণের কারণেঃ
- শরীরের তাপমাত্রায় পরিবর্তন দেখা দিলেঃ
- শরীরে আয়রনের অভাবজনিত কারণঃ
- পুষ্টিকর ও ক্যালরিযুক্ত খাবার না গ্রহণ করলেঃ
- অ্যালকোহল বা মধ্যপানের কারণেঃ
- শরীরে এলার্জি সমস্যা থাকলেঃ
- অন্যান্য যে সকল স্বাস্থ্যগত কারণ রয়েছেঃ
- ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত
- মধু এবং লেবু একসঙ্গে খেতে পারেনঃ
- গরম গরম স্যুপ খাওয়া উচিতঃ
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খাবেনঃ
- আদা ও হলুদ থেকে তৈরিকৃত চা খাবেনঃ
- তুলসী পাতার চা খাওয়া ভালোঃ
- মসলা চা ও পুদিনা পাতার চাঃ
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও তরল গ্রহণ করুনঃ
- ঠান্ডা লাগলে যে সকল খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত
- উপসংহার। ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত
ঠান্ডা লাগার কারণগুলি সম্পর্কে জানা যাক
ঠান্ডা আমাদের সকলেরই কম বেশি লাগে, তা কেউই অস্বীকার করতে পারবো না। এই ঠান্ডা লাগার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে, এগুলোর মধ্যে সবথেকে অন্যতম কারণ হলো, শরীরে যে কোন সংক্রমণ দেখা দেওয়া। এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে, চলুন আর্টিকেল টিতে যানার চেষ্টা করি, ঠান্ডা লাগার কারণগুলি সম্পর্কে।
ভাইরাস সংক্রান্ত সংক্রমণের কারণেঃ
ভাইরাস সংক্রান্ত সংক্রমণের কারণে ঠান্ডা লাগা খুবই অন্যতম প্রধান কারণ। শরীরের ভাইরাসনিতে সমস্যা যেমন, রাইনোভাইরাস, কোভিড ১৯, সর্দি ও কাশির কারণে ঠান্ডা লাগা অন্যতম। এই ধরনের সংক্রমণ দেখা দিলে, খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভাইরাস সংক্রান্ত সমস্যায় শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি, হাচি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলা ব্যথা ও শরীরে হালকা জ্বর দেখা দিতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রায় পরিবর্তন দেখা দিলেঃ
আপনি যদি একটা পরিবেশ থেকে হঠাৎ করে একটু ঠান্ডা পরিবেশে যান, তাহলে ঠান্ডা লাগার মতন সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হলো সরাসরি ঠান্ডা পরিবেশে নিজেকে রাখা। যেমন সামনে শীত, এ সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিবর্তনে অনেকেই ঠান্ডা লাগার সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে পানি শূন্যতা ও রক্তস্বল্পতার কারণে শরীরের তাপমাত্রা কমে, ঠান্ডা লাগার সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় উদ্বেগ বা মানসিক চাপের কারণেও শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।
শরীরে আয়রনের অভাবজনিত কারণঃ
আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য আয়রনের গুরুত্ব অপরিসীম। শরীরে যখন আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় তখন, লোহিত রক্তকণিকা ও হিমোগ্লোবিন শরীর থেকে কমে যায়। এই লোহিত রক্তকণিকা ও হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে, শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে পারে না। যার কারনে এই ঠান্ডার দেখা মিলে। এই সমস্যার ফলে শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ও স্বাসকষ্টের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুষ্টিকর ও ক্যালরিযুক্ত খাবার না গ্রহণ করলেঃ
পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর ও ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণ না করা হলে, শরীরে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্যালরিযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার না খেলে শরীরের চর্বির অভাব দেখা দেয়, কেননা পুষ্টিকর খাবার আমাদের চর্বি ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া অনেকে অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকে, এটাও ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তির উৎপন্ন হয় না।
অ্যালকোহল বা মধ্যপানের কারণেঃ
অ্যালকোহল বা মধ্যপান আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকারক তা বলে বোঝাতে হবে না। এই অ্যালকোহল বা মধ্যপানের কারণে, শরীরে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যেতে পারে। অ্যালকোহল গ্রহনের ফলে এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়, যার ফলে শরীরে গরম অনুভূতি হয় এবং ঠান্ডার কাঁপুনি আসে।
শরীরের অভ্যন্তরীণ এই তাপমাত্রা কমে যাওয়াকে বলে, হাইপোথার্মিয়া। কেননা কখনো কখনো, অ্যালকোহল সেবনে, শরীরের এই তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়।
শরীরে এলার্জি সমস্যা থাকলেঃ
কারো শরীরে যদি এলার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে এলার্জি থেকে ঠান্ডা লাগার সমস্যা অনেক সময় দেখা দেয়। এলার্জি রোগীদের জন্য ধুলোবালি ও শরীরের ঠান্ডা লাগার মতন, পরিবেশের সংস্পর্শে আসলে এই ঠান্ডা লাগার সৃষ্টি হতে পারে। এ সময় নাক দিয়ে পানি পড়া, বেশি পরিমাণে হাঁচি হওয়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ চুলকানো ত্বকে ফুসকুড়ি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এলার্জির কারণে ঠান্ডা দেখা দিলে, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও হাত বাবা মুখ ফুলে যাওয়া এবং গলা ব্যথা সহ গলা ফুলে যাওয়ার মত, সমস্যা সামনে এসে দাঁড়াতে পারে।
অন্যান্য যে সকল স্বাস্থ্যগত কারণ রয়েছেঃ
শরীরে পানি শুন্যতা ও রক্তস্বল্পতা থেকেও ঠান্ডা লাগার সমস্যা আসতে পারে। শরীরে তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য, পর্যাপ্ত রক্তকণিকা থাকা জরুরী। ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে বাঁচতে, পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন, এছাড়াও কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেলে, হাইপোথাইরয়েডিজম গ্রন্থির অকার্যকারিতার কারণে শরীরের ঠান্ডা লাগার সমস্যা হতে পারে। এবং গর্ভাবস্থায় নারীদের হরমোন পরিবর্তনের ফলেও শরীরের তাপমাত্রা কমে ঠান্ডা লাগার দিকে ধাবিত করতে পারে।
ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত
ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত? আজকের আর্টিকেল টির মূল বিষয়। সাধারণভাবে প্রাথমিক অবস্থায় ঠান্ডা, সর্দি, কাশি এবং জ্বরের মত সমস্যা হলে, ঘরোয়া ভাবে একটু যত্ন নিলেই সমাধান পাওয়া সম্ভব। এ সকল যত্নের মধ্যে, বেশ কিছু খাবারও রয়েছে যেগুলো ঠান্ডা কাশির জন্য, খুবই ভালো কাজ করে। চলুন তাহলে জানা যাক, ঠান্ডা লাগলে যে সকল খাবার খাওয়া উচিত, সেগুলো সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ হঠাৎ জ্বর হলে কি করা উচিত? তা জানুন।
মধু এবং লেবু একসঙ্গে খেতে পারেনঃ
ঠান্ডা কাশির সমস্যার জন্য মধু এবং লেবু একসঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম পানি বা, চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে এটি খুবই কার্যকারী। কেননা লেবুতে থাকা ভিটামিন সি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধুতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন, গলা ব্যথা, সর্দি ও কাশি কমাতে ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও যাদের কফের সমস্যা রয়েছে, তারা এই মিশ্রণটি নিয়মিত সেবনের ফলে কফ পাতলা হয়ে বেরিয়ে যায়। এবং গরম পানিতে মিশিয়ে এটি খেলে, শরীরের আদ্রতা বজায় থাকে ও ঠান্ডায় আরাম পাওয়া যায়।
গরম গরম স্যুপ খাওয়া উচিতঃ
ঠান্ডার সমস্যার খুবই ভালো একটি প্রতিকার গরম গরম স্যুপ খাওয়া। ঠান্ডা, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যায় গরম গরম স্যুপ খেলে, সমস্যাগুলোতে বেশ কাজ করে। এজন্য চাইলে, টাটকা সবজির স্যুপ ও মাংস থেকে তৈরিকৃত স্যুপও খুবই স্বাস্থ্য উপযোগী। কেননা এই ধরনের স্যুপ খেলে এটা নাক ও গলা পরিষ্কার করে, শারীরিক পুষ্টি যোগায় এবং পানি শূন্যতা ও দূর করে থাকে। আপনার যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে স্যুপ তৈরি করে গরম,গরম খেয়ে দেখতে পারেন। এটা ঠান্ডার জন্য ভালো কাজ করা সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খাবেনঃ
ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভিটামিন সি, সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কেননা এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, তাছাড়া ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে, সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন, কমলা, মালটা, লেবু, পেপে, স্ট্রবেরি, আমলকি, পেয়ারা এবং কিউই। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবজি যেমন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, ব্রকলি ইত্যাদি সবুজ শাক। শারীরিক সুস্থতার জন্য এই সমস্ত শাকসবজি ও ফলের গুরুত্ব আমরা সকলেই জানি।
আদা ও হলুদ থেকে তৈরিকৃত চা খাবেনঃ
শরীরে ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশি ও গলা খুসখুস করার মত সমস্যা কমাতে, আদাও হলুদ দিয়ে তৈরিকৃত চা খাওয়া উপকারী। কারণ এই উপাদান প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আধা এবং হলুদ মধুর সঙ্গে মিশেও খাওয়া যেতে পারে। আমরা হয়তো অনেকেই জেনে থাকতে পারি আদা এবং হলুদ থেকে তৈরিকৃত চা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
তুলসী পাতার চা খাওয়া ভালোঃ
তুলসী পাতাতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সর্দি কাশির সমস্যা সারাতে কাজ করে। এজন্য তুলসী পাতা কিছুক্ষণ গরম পানিতে ফুটিয়ে সেদ্ধ করে এর ভেতরে কিছু মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে, ঠান্ডা সর্দি কাশি গলা ব্যথা ও ফুসফুসের পেশি শিথিল করার মত কাজ করে থাকে। যা শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলায় । তুলসী পাতার গুনাবলি সম্পর্কে, আমাদের কারোই অজানা নয়।
মসলা চা ও পুদিনা পাতার চাঃ
মসলা চা এবং পুদিনা পাতার চা খেলে, ঠান্ডা লাগা সমস্যায় কাজ করে। কেননা মসলা এবং পুদিনা পাতার চাতে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুধু মসলা এবং পুদিনা পাতার চা নয়, লবঙ্গ ও এলাচ যুক্ত চা খেলেও এই সমস্যায় কাজ করে। তাছাড়া পুদিনা পাতার উপকারিতা আমরা অনেকেই হয়তো জানি। পুদিনা পাতা থেকে চা তৈরি করে খেলে, এটি সারাদিন শরীরকে সতেজ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা পালন করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও তরল গ্রহণ করুনঃ
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও তরল গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী। সর্দি কাশির ক্ষেত্রেও, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও তরল গ্রহণ বেশ কাজ করে। কেননা এটি ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করনীয় কি?
চাইলে ডাবের পানিও খাওয়া যেতে পারে, ডাবের পানির পুষ্টি উপাদান শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয়। তবে পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে, হালকা উষ্ণ গরম করে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
ঠান্ডা লাগলে যে সকল খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত
ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত, এ ব্যাপারে আর্টিকেল টিতে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে। ঠান্ডা লাগলে যে সকল খাবার খাওয়া উচিত এর পাশাপাশি কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো থেকে, বিরত থাকা উত্তম। ঠান্ডা জনিত সমস্যা, সর্দি-কাশি ও জ্বর কমানোর জন্য এই সকল খাবার বর্জন করা অত্যন্ত জরুরী, চলুন যা যাক সে সকল খাবার সম্পর্কে।
- শরীরে ঠান্ডার সমস্যা দেখা দিলে, ঠান্ডা পানি ও, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং আইসক্রিম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকবেন। কেননা এই সকল খাবার সাধারণ ঠান্ডা সমস্যা থেকে, গলা ব্যথা এবং গলার টনসিল বাড়ানোর মত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
- দুধ দিয়ে তৈরি কৃত, ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া কোনমতে চলবে না। এই খাবারের মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হলো দই, সাধারণত ঠান্ডা হয়ে থাকে, যা শরীরে ঠান্ডা জনিত সমস্যার বড় শত্রু। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার আগে একটু ভাবনা চিন্তা করা খাবেন।
- তরমুজ ও কলা খাওয়া থেকেও বিরত থাকবেন, তরমুজ এবং কলা সাধারণত ঠান্ডা খাবার বলে খুবই পরিচিত। তাছাড়া আমরা সকলেই জানি তরমুজ পানির খুব বড় একটি উৎস। যা খেলে ঠান্ডা সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে, এছাড়াও টক জাতীয় ফল, কমলালেবু এবং আঙ্গুল না খাওয়া ঠান্ডা কাশির জন্য ভালো।
উপসংহার। ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত
ঠান্ডা লাগলে কি খাওয়া উচিত, আর্টিকেল টিতে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আমরা, এখনো ঠান্ডা কাশি জ্বরের সমস্যায়, প্রাথমিক ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করি। তবে এই পদ্ধতিতে যদি, ঠান্ডার সমস্যা সমাধান না হয়, শরীরের ৩ দিনের বেশি অতিরিক্ত জ্বর, কাশি সহ গলা ব্যাথা হয়, এজন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। চিকিৎসক সাধারণভাবে, কিছু ওষুধ দিলে এটা অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
তবে শরীরে টাইফয়েড ও জন্ডিস জনিত সমস্যার কারণে ঠান্ডা লাগা ও অতিরিক্ত জ্বরের সমস্যা দেখা দিলে, চিকিৎসকের পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে, সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যাইহোক ঘাবড়ে, যাওয়ার কিছু নেই, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে, ঠান্ডা লাগার সমস্যা সমাধান সম্ভব। মনোযোগ সহকারে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
(খোদা হাফেজ)



ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url