কি খেলে পাইলস ভাল হয়, উপযুক্ত খাবার
পাইলস বা অর্শের সমস্যায় অনেক সময় অনেকেই ভুগে থাকেন। তবে আমাদের সকলেরই জানা উচিত, শরীরে পাইলসের সমস্যার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, শারীরিক সুস্থতার প্রতি খেয়াল রাখলেই, এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। তবে অতিরিক্ত পাইলসের সমস্যা যদি থাকে, মালদার থেকে রক্তপাত সহ, মলদ্বারের আশেপাশে ফুলে যাওয়া, মলদ্বারের আশেপাশে চুলকানি এবং মলত্যাগের সময় অস্বস্তি ব্যথা অনুভব হলে, এটা পাইলসের সমস্যার মধ্যে পড়ে।
আপনার যদি এরকম সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, এই সমস্যার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। আজকের আর্টিকেল টিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করব, কি খেলে পাইলস ভালো হয় সে সম্পর্কে। মনোযোগ সহকারে পড়ুন কেননা, পাইলসের সমস্যা আমাদের মধ্যে কারো থাকলে, এটা সমাধানে আনা অত্যন্ত জরুরী।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কি খেলে পাইলস ভাল হয়, উপযুক্ত খাবার
- মানব দেহে পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ
- দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলেঃ
- খাদ্যাভ্যাসের অ-নিয়মের ফলেঃ
- শরীরে অতিরিক্ত ওজনের ফলেঃ
- নারীদের গর্ভাবস্থায় পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাঃ
- শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলেঃ
- শরীরে পাইলসের সমস্যা যে ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে
- কি খেলে পাইলস ভালো হয়, উপযুক্ত খাবার
- ফলের মধ্যে যেগুলো খাওয়া উপযুক্তঃ
- শাক সবজির মধ্যে যেগুলো খাওয়া যাবেঃ
- গোটা শস্যের মধ্যে যেগুলো খাবেনঃ
- অন্যান্য যে সকল খাবার রয়েছেঃ
- পাইলসের সমস্যায় যে সকল খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
- উপসংহার। কি খেলে পাইলস ভালো হয়, উপযুক্ত খাবার
মানব দেহে পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ
আজকের আর্টিকেলটি, কি খেলে পাইলস ভালো হয়। মানবদেহে পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়ার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী,উপরে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে। যে সকল কারণে দেখা দিতে পারে, মলদ্বারে পাইলসের মত সমস্যা সেগুল হল, আমাদের দৈনন্দিনের কিছু খাদ্যাভ্যাস, জীবন যাত্রার অনিয়মের ফলে সাধারণত পাইসে সমস্যা দেখা দেয়। চলুন তাহলে জানা যাক, মানব শরীরে পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়ার যে সকল কারণ রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে।
দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলেঃ
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আমাদের, প্রত্যেকের জন্যই খুবই অস্বস্তিকর ও কষ্টদায়ক । কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করতে হয়। দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে, টয়লেটে যাওয়ার পরে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়, এবং মল ত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের ফলে পায়ুপথের রত্নালি গুলোতে চাপ পড়ে, যার কারনে দেখা দিতে পারে পাইলসের মতো সমস্যা। শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যই নয় ডায়রিয়ার মত সমস্যা দেখা দিলেও পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খাদ্যাভ্যাসের অ-নিয়মের ফলেঃ
শারীরিক সুস্থতায়, আমাদের প্রত্যেকেরই পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন তা সকলেই জানি। খাদ্যাভ্যাসের অনিয়মের ফলে, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতন সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে, যা পাইলসের সমস্যা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান পেতে, এবং পাইলসের সমস্যা প্রতিরোধের জন্য, ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
আপনার শরীরে যদি পাইলসের সমস্যা থাকে, তাহলে দ্রুত ফাইবার যুক্ত পুষ্টিকর খাবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে তা খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
শরীরে অতিরিক্ত ওজনের ফলেঃ
আপনি ঠিক শুনছেন, শরীরে অতিরিক্ত ওজনের ফলে পাইলসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ওজন আমাদের শরীরের অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তার, মধ্যে পাইলসও অন্যতম। আপনার শরীর যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে, এটি সরাসরি মলদ্বার এবং পায়ুপথের শিরাগুলির উপর অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি করে।
এ সময় পায়ুপথের ও মলদ্বারের শিরা গুলির উপর এই অতিরিক্ত চাপের ফলে, পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বাড়িয়ে তোলে। অন্যদিকে অতিরিক ওজনের ফলে শরীরে স্থুলতার, দেখা দেয় যা হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেয়, এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করে।
নারীদের গর্ভাবস্থায় পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাঃ
গর্ভাবস্থায় একজন মায়েরও, পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। কেননা একজন মায়ের গর্ভাবস্থায় জরায়ু অনেকটাই বড় হয়ে যায়, যার কারনে পেলভিক অঞ্চলের শিরাগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ হয়। গর্ভাবস্থায় নারীদের, শরীরে হরমোনের পরিবর্তন দেখা দেয়, যা রক্তনালীর দেয়ালকে দুর্বল এবং শিথিল করে ফেলে, যার কারণে পায়ুপথ ফুলে যেতে পারে।
এছাড়াও নারীদের গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হওয়া খুবই সাধারণ। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে পাইলসের সমস্যা দেখা দেওয়া, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য গর্ভাবস্থায় একজন নারীর, শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখা অত্যন্ত জরুরী।
শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলেঃ
শরীর সুস্থ রাখার জন্য, কম করে হলেও দৈনিক পরিশ্রমের প্রয়োজন। ঠিক তেমনি শরীরে যদি পরিশ্রমের অভাব থাকে, তাহলে এর জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে বা কোন শ্রম না করলে, মলদ্বারের রক্তনালীতে রক্ত চলাচল কমে যায় এবং অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি হয়, যার কারণে দেখা দিতে পারে পাইলসের মত সমস্যা। আপনি যদি পরিশ্রম নাও করেন তাহলে, পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে, নিয়মিত ব্যায়াম করুন পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং আশ যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আরো পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ঘরোয়া ভাবে প্রতিকার জানুন।
শরীরে পাইলসের সমস্যা যে ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে
কি খেলে পাইলস ভাল হয়, পাইলসের জন্য উপযুক্ত খাবার সম্পর্কের, এই আর্টিকেল টিতে ইতিমধ্যে, পাইলস হওয়ার বেশ কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে। পাইলসের সমস্যা শরীরের দেখা দিলে, বেশ কিছু লক্ষণ বা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। আপনার শরীরে যদি পাইলস জনিত সমস্যা হয়, তাহলে এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো আপনি অনুভব করতে পারেন, চলুন এখন সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
- শরীরে পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে, মালদ্বার থেকে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রক্ত সাধারণত লাল বর্ণের, অর্থাৎ রক্তের রঙেরই হয়। অতিরিক্ত পাইলসের সমস্যায়, মলদ্বার থেকে শুধু রক্ত বা, মল থেকেও রক্ত বের হতে পারে।
- মলদ্বারের চারপাশ ফুলে যাওয়ার মত প্রবণতাও, দেখা দিতে পারে। কেননা অতিরিক্ত, চাপ প্রয়োগের ফলে মলদ্বারের পেশী গুলো দুর্বল হয়ে যায়, যা পাইলসের সমস্যা সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করে।
- পাইলসের সমস্যা হলে মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব হওয়ার মত সমস্যাও দেখা দেয়। তবে এই ব্যথা অভ্যন্তরীণ পাইলসের জন্য নয়, যখন আপনার মল বাইরে বেরিয়ে আসবে তখন এই ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
- অনেক সময় আপনার, মলদ্বারে চুলকানি ও অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। কেননা পাইলসের সমস্যা হলে মলদ্বারে, চুলকানি ও মলদ্বারের অস্বস্তি মত সমস্যা খুবই সাধারণ ব্যাপার। আপনি যদি এই সকল লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কি খেলে পাইলস ভালো হয়, উপযুক্ত খাবার
আর্টিকেল টিতে পাইলস হওয়ার বেশ কিছু কারণ এবং লক্ষণ ইতিমধ্যেই তুলে ধরা হয়েছে। পাইলসের সমস্যা শরীরে দেখা দিলে, এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো, পাইলসের সমস্যা সমাধানে, কাজ করে। এই সকল খাবার শুধু পাইলসের সমস্যার সমাধানই করে না, শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কথা না বাড়িয়ে চলুন, জানা যাক, কি খেলে পাইলস ভালো হয়, উপযুক্ত খাবার সম্পর্কে।
ফলের মধ্যে যেগুলো খাওয়া উপযুক্তঃ
শরীরে পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে, ফাইবার যুক্ত ও আশ যুক্ত খাবার খাওয়া, অত্যন্ত প্রয়োজন। চলুন তাহলে এমন কিছু ফাইভার সমৃদ্ধ ফল সম্পর্কে এখন জানা যাক। পাইলসের সমস্যা সমাধানে, আপেল, পেঁপে, পেয়ারা, ডালিম, কাঁঠাল, কলা, লেবু, কমলা লেবু, কিসমিস, নাশপাতি, অ্যাভোকাডো ও স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফল খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।
এই সকল ফলে থাকা ফাইভার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের চলাচল স্বাভাবিক রাখে। তবে এই সকল ফল খাওয়ার সময় অবশ্যই ফলের খোসা সহ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার যদি পাইলসের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে পুষ্টিকর খাবার, দৈনন্দিন এর খাদ্য তালিকায় রাখা অত্যন্ত জরুরী।
শাক সবজির মধ্যে যেগুলো খাওয়া যাবেঃ
শরীরে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করার জন্য, পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সবুজ শাকসবজির গুরুত্ব কারোই হয়তো অজানা নয়। পাইলসের সমস্যা সাধারণত, আমাদের ক্ষেত্রে জটিল সমস্যা, এটা সমাধান করাও অত্যন্ত জরুরী। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দৈনন্দিনীর খাদ্য তালিকায় যে সকল, পুষ্টিকর শাকসবজি রাখতে পারেন সেগুলো হল, ব্রকলি, গাজর, ফুলকপি, শসা, টমেটো, বাঁধাকপি, কুমড়া ও বিনস ইত্যাদি খুবই পুষ্টিকর এবং পাইলসের সমস্যা সমাধানে কাজ করে। পালসের সমস্যার ক্ষেত্রে আপনার সব সময় মাথায় রাখতে হবে, আপনার খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত ফাইবার মজুদ আছে কিনা।
গোটা শস্যের মধ্যে যেগুলো খাবেনঃ
পাইলসের সমস্যার জন্য, ফলমূল ও শাকসবজির পাশাপাশি, কিছু গোটা শস্য রয়েছে যেগুলো খেলে এই সমস্যার জন্য ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। গোটা শস্যের মধ্যে যেগুলো খাওয়া যাবে সেগুলো হল, বাদামি চাল, ও টস, বার্লি, কুইনোয়া এবং রাই খাওয়া অত্যন্ত উপযুক্ত। কেননা এ সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং মল নরম করতে ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও আপনি চাইলে পাইলসের সমস্যার জন্য গমের আটা খেতে পারেন, এটিও পাইলসের সমস্যা সমাধানে পর্যাপ্ত ফাইবার সরবরাহ করে।
অন্যান্য যে সকল খাবার রয়েছেঃ
পাইলসের সমস্যার সমাধানের জন্য, ফলমূল শাকসবজি ও গোটা শস্যের পাশাপাশি, আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রকার ডাল খেতে পারেন যেমন, মসুর ডাল, মুগ ডাল ও মটরশুটি ইত্যাদি। এছাড়াও চাইলে বাদাম এবং দই ও খেতে পারেন। তবে দই খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা হল, মিষ্টি ছাড়া তাজা দই খাওয়া উপকারী, এটি হজমের সমস্যা সমাধানে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ কি ফল খেলে লিভার ভাল থাকে তা জানুন এখানে।
অন্যদিকে পর্যাপ্ত পানি পান করা, কোনমতেই মিস করলে চলবে না। পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে দৈনিক, কমপক্ষে লিটার পানি পান জরুরী। শরীরে পাইলসের সমস্যা হোক কিংবা যেকোনো সমস্যা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান অত্যন্ত জরুরি।
পাইলসের সমস্যায় যে সকল খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
কি খেলে পাইলস ভালো হয়, উপযুক্ত খাবার সম্পর্কে ইতিমধ্যে বেশ কিছু খাবারের কথা বলা হয়েছে। পাইলসের সমস্যায় শুধু এই সকল খাবার খেলেই হবে না, এর পাশাপাশি, কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এড়িয়ে চলা অত্যন্ত উপকারী। এই সকল খাবার আমাদের শরীরের পুষ্টির অভাব ঘটায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা সৃষ্টি করে। চলুন এখন তাহলে যে সকল খাবার, পাইলসের সমস্যায় খাওয়া উচিত না সেগুলো জেনে নি।
শরীরে পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। কেননা এই সকল খাবারে ফাইবারের পরিমান অনেকটাই কম, এবং এগুলো অস্বাস্থ্যকর। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার থেকেও বিরত থাকা উচিত। বাসায় রান্নার ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে, খাবারে অতিরিক্ত তেল মসলা যাতে ব্যবহার না করি। অন্যদিকে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা উচিত। আলু এবং লাল মাংসের মত কম ফাইবার যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। সর্বপরি সবথেকে বড় কথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, সমস্যা তৈরি করা খাবার থেকে বিরত থাকুন।
উপসংহার। কি খেলে পাইলস ভালো হয়, উপযুক্ত খাবার
কি খেলে পাইলস ভালো হয়, আর্টিকেল টিতে পাইলস ভালো করার জন্য বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পাইস আমাদের জন্য একটি জটিল সমস্যা বলে, ধরা যায়। শরীরে পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে এটি, সম্পূর্ণরূপে কমাতে একটু সময়ের প্রয়োজন। তবে এ সমস্যার জন্য, ঘরোয়া প্রতিকার, এবং খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। চিকিৎসক যদি আপনার শারীরিক অবস্থা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, কিছু ওষুধ সেবন করতে বলে,তাহলে তা খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
কেননা পাইলসের সমস্যা আমাদের জন্য, খুবই যন্ত্রনাদায়ক এবং কষ্টকর। কাজেই এর সঠিক চিকিৎসা করানো, এবং শারীরিক সুস্থতার প্রতি খেয়াল রাখা আমাদের সকলকে উচিত। যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম, ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। কি খেলে পাইলস ভালো হয় আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
(খোদা হাফেজ)



ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url