ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা
একটা সময় ড্রাগন ফল আমাদের কাছে শুধু নামেই ছিল। কেননা এই ফলের চাষ আমাদের দেশে ৯০ দশক থেকে শুরু হয়। ড্রাগন ফলের নামটা যেমন ড্রাগন, এর কার্যকারিতা ও শারীরিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ড্রাগন ফল ফলের তালিকায় নাম লেখালেও, এটি মূলত ক্যাকটাস জাতীয় ফল। এই ফলের উৎপত্তি দক্ষিণ আমেরিকা এবং মেক্সিকোতে হলেও, এশিয়া মহাদেশের প্রায় অনেক দেশেই, বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হয়। ড্রাগন ফল খেতে হালকা মিষ্টি কিছুটা কিইউ এবং নাশপাতির মিশ্র সাধের মত, তবে উপকারিতা বহুগুণ।
চলুন আজকের আর্টিকেল টিতে, ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করি। মনোযোগ সহকারে পড়ুন, কেননা ড্রাগন ফল আমাদের শারীরিক সুস্থতায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এর ক্ষতিকর কিছু দিকও রয়েছে, সকল ব্যাপারে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা যাক
- ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
- পেটের হজম শক্তি উন্নত করেঃ
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
- হৃদরোগের ঝুকি কমায়ঃ
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ
- শরীরে ক্যান্সারের ঝুকি কমায়ঃ
- ত্বকের জন্য খুবই উপকারীঃ
- চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালোঃ
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তশূন্যতা দূর করেঃ
- ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক অপকারিতা
- অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা হতে পারেঃ
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সতর্কতাঃ
- কিডনি রোগীদের জন্য সতর্কতাঃ
- এলার্জির সমস্যা যাদের রয়েছেঃ
- গর্ভবতী মায়েদের সেবনে সতর্কতাঃ
- উপসংহার। ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা যাক
আজকের আর্টিকেলটি ড্রাগন ফলের ক্ষতিকারক দিক এবং উপকারিতা সম্পর্কে। ড্রাগন ফল শুধু নামেই ড্রাগন নয়, এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা অনেক। যাই হোক তাহলে চলুন এখন আমরা, ড্রাগন ফলের কিছু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
- ভিটামিন এবং খনিজের উৎস ড্রাগন ফল, ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনের মত উপাদান বিদ্যমান। ড্রাগন ফলে থাকাই সকল উপাদান, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করেন।
- ড্রাগন ফলে বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্টও আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন বিটা ক্যারোটিন, ফোলেট এবং লাইকোপেন আমাদের শরীরকে ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।
- ড্রাগন ফলে ফাইবার বিদ্যমান, আমরা হয়তো সকলেই জানি ফাইবার আমাদের হজম ক্ষমতা উন্নতি করতে, কতটা ভূমিকা পালন করে। ঠিক তেমনি ড্রাগন ফলে থাকা ফাইভার পাকস্থলীর হজম শক্তি উন্নত করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও এতে ম্যাগনেসিয়াম, নামক খনিজ উপাদান একটু বেশি পরিমাণেই পাওয়া যায়। অন্যদিকে এই ফলে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। যাদের অতিরিক্ত ওজন, রয়েছে তাদের জন্য খুব ভালো একটি ফল। এই ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা
আর্টিকেল টিতে ইতিমধ্যে ড্রাগন ফলের, বেশ কিছু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ড্রাগন ফলের লিস্টে পুষ্টিগুণের পরিমাণ, অনেক বেশি। আমাদের শারীরিক সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, ফলের গুরুত্ব কতটা তা আমরা সকলেই হয়তো জানি। এই ফলগুলোর মধ্যে ড্রাগন ফল আমাদের, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন তাহলে, ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা আর্টিকেল টিতে জানা যাক, ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
পেটের হজম শক্তি উন্নত করেঃ
আমাদের দৈনন্দিনীর খাবার, হজম হওয়া শারীরিক সুস্থতার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি। পেটের হজম শক্তি উন্নত করতে ড্রাগন ফলেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কেননা এই ফলে ফাইবার, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং পেটের হজমের কার্যকারিতা বজায় রাখে। এই ফলে এতটাই ফাইবারের পরিমাণ রয়েছে, যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের, নিয়মিত মল ত্যাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও হজম প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এই ফলে থাকা প্রি বায়োটিক, উপাদান আমাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়, যা হজম প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
আর্টিকেলটির ওপরে ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন সম্পর্কে আমরা জেনেছি। ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম সহ যে সকল পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। এগুলো আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শুধু এখানেই শেষ নয় দীর্ঘ স্থায়ী যে সকল রোগের সম্মুখীন আমাদেরকে হতে হয়, এই সকল রোগের প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া এতে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনন্য।
হৃদরোগের ঝুকি কমায়ঃ
হ্যাঁ আপনি ঠিক শুনেছেন ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কেননা এই ফলে থাকা ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৯ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এই ফলে থাকা এই ওমেগা ফ্যাটি এসিড আমাদের হার্টের জন্য উপকারী এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে নিয়মিত, পরিমাণ মতো ড্রাগন ফল খাওয়া শুরু করতে পারেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ
আমরা সকলে জানি, শরীরে দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা কতটা জরুরী। কেননা এই ফলে থাকা উচ্চ ফাইবার, আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার মাত্রা ধীর করে দেয়, ফলে সরকরার মাত্রা বেড়ে না গিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী, কেননা এই ফলে থাকা কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, রক্তের শর্করার মাত্রার স্পাইক কমায়। অন্যদিকে ড্রাগন ফল শরীরে ইনসুলিন এর সঠিক ব্যবহার বাড়াতে সাহায্য করে, এবং গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে সহায়তা দেয়।
শরীরে ক্যান্সারের ঝুকি কমায়ঃ
পূর্বেই বলা হয়েছিল, ড্রাগন ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরকে ফ্রি র্যাটিক্যাল থেকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাটিক্যাল এমন এক পদার্থ যা ক্যান্সার সৃষ্টি এবং অকালে বার্ধক্যের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে এই ফলে থাকা পুষ্টি উপাদানের মধ্যে, ফ্লাভনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহজে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এগুলো আমাদের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাটিক্যাল থেকে রক্ষা করে, এবং শরীরে ক্যান্সার কোষ গঠনে বাধা প্রধান করে। এছারাও এই ফল অন্তঃসত্ত্ব নারীদের জন্য খুবই উপকারী।
ত্বকের জন্য খুবই উপকারীঃ
ড্রাগন ফল আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের জন্য উপকারী ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুটোই এই ফলে বিদ্যমান। এই ফলে থাকা উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকে সতেজ রাখে। নিয়মিত এই ফল খাওয়ার ফলে মিলতে পারে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার মত উপকারিতা। এই ফলের পুষ্টি উপাদান ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে নরম ও নমনীয় করে, সর্বোপরি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা ও নিয়ম।
ব্রণের সমস্যার ক্ষেত্রেও ড্রাগন ফলের ভূমিটা রয়েছে। কেননা এতে থাকা ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং নিয়াসিনামাইড ত্বকের ব্রণের সমস্যা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও ত্বকের লাল দাগ এবং লালচে ভাব কমায় ড্রাগন ফল। তাহলে বুঝতেই পারছেন আমাদের ত্বকের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফলের উপকারিতা কতটা।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালোঃ
ড্রাগন ফল আমাদের চোখে স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও অনন্য ভূমিকা পালন করে। আমরা সকলেই জানি চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে ভিটামিন এ এর গুরুত্ব কতটা। ড্রাগন ফলে থাকা বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ ,এতে রূপান্তরিত হয়। এছাড়াও বিটা ক্যারোটিন চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার জন্য, এবং কম আলোতে, চোখে ভালো দেখার জন্য কাজ করে।
চোখের কার্নিয়াকেও সুরক্ষা দেয়, এই ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান। সর্বোপরি সবথেকে বড় কথা, এই ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান আমাদের শারীরিক শক্তি, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা সহ নানা ধরনের কাজ করে থাকে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ভূমিকা রয়েছে ড্রাগন ফলের।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তশূন্যতা দূর করেঃ
শরীরে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা নিম্ন রক্তচাপ দুটোই, শরীরের জন্য খুবই ধীর প্রভাব ফেলে। রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ড্রাগন ফলেরও ভূমিকা রয়েছে। কেননা এই ফলে লবণের পরিমাণ এবং সোডিয়াম এর পরিমাণ খুবই কম থাকে, যার কারণে এটি আমাদের হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
অন্যদিকে ড্রাগন ফলে থাকা আয়রন আমাদের শূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে। রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য ড্রাগন ফল প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমাণ মতো খাওয়া উপযুক্ত। তবে রক্তশূন্যতায় প্রতিকার পেতে এর রঙিন ফলটি খাওয়া উপকারী। কেননা ড্রাগন ফলের কয়েকটা প্রজাতি রয়েছে, সকল প্রজাতি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক অপকারিতা
আর্টিকেল টিতে ইতিমধ্যে ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে, বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ড্রাগন ফল উপকারি হলেও, এর বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা, আর্টিকেল টিতে। ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে যে সকল ভূমিকা পালন করে সেগুলো জেনেছি। তবে আমাদের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তিরা রয়েছে যাদের, ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। চলুন তাহলে এখন জানা যাক কাদের জন্য ড্রাগন ফল ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা হতে পারেঃ
ড্রাগন ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে তা উপরে বলা হয়েছে। তবে ড্রাগন ফল যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে, এই ফলে থাকা উচ্চমানের ফাইবার হজমে সমস্যা, উল্টো বাড়িয়ে দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে শুধু হজমের সমস্যায়ই বাড়ায় না, এটি পেটে গ্যাস, পেট ফাপা, পেট ব্যথা সহ ডায়রিয়ার কারণও হতে পারে। এজন্য অবশ্যই ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা উচিত, যাতে করে অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে ফেলেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সতর্কতাঃ
আমাদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, তারা ড্রাগন ফল খাওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করবেন। ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে ড্রাগন ফল অতিমাত্রায় সেবন থেকে বিরত থাকা উচিত। পরিমাণ মতো আপনি চাইলে খেতে পারেন, কেননা এতে চিনির পরিমাণ রয়েছে। অতিমাত্রায় খেলে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে, এজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
কিডনি রোগীদের জন্য সতর্কতাঃ
যাদের কিডনির সমস্যা হয়েছে তারাও, ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কেননা এই ফলে থাকা পটাশিয়াম ও অক্সালেট উপাদান বিদ্যমান। এই ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান, কিডনি রোগীদের জন্য, সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, যদি খেতে বলে তাহলে, অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।
এলার্জির সমস্যা যাদের রয়েছেঃ
আমাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তিদের, ড্রাগন ফল খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার যদি ড্রাগন ফল খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়, বা পূর্ব থেকে এলার্জি থাকে। তাহলে অবশ্যই ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। কেননা এই ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান বাড়িয়ে দিতে পারে, আপনার শরীরে এলার্জির সমস্যা। এছাড়াও বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, ড্রাগন ফলে কৃত্রিম রং মিশায়, এক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করার চেস্টা করবেন।
গর্ভবতী মায়েদের সেবনে সতর্কতাঃ
গর্ভা অবস্থায় যদিও ড্রাগন ফল উপকারি তার পরো,অনেক সময় মায়েদের জন্য, ড্রাগন ফল ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভাবস্থায় বা, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায়, একজন মায়ের ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। এছাড়াও ড্রাগন ফল খেলে এটি প্রস্রাবের রং পরিবর্তন করে দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা ও নিয়ম।
বিশেষ করে লাল রঙের ড্রাগন ফল খেলে, এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রস্তাবের রং হালকা গোলাপী করে দিতে পারে। অন্যদিকে ড্রাগন ফল খাওয়ার সময়, এর কালো রঙের বিচিগুলো সম্পূর্ণভাবে চিবিয়ে খাবেন। কেননা অনেক সময় এই বিচি হজমের সমস্যা ঘটাতে পারে।
উপসংহার। ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা
আজকের আর্টিকেল টিতে, ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা সম্পর্কে, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক। তবে অবশ্যই এই ফল খাওয়ার সময় সতর্কতা গুলো অবলম্বন করা উচিত। যে সকল শারীরিক সমস্যায়, ড্রাগন ফল খাওয়া ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, এর জন্য সতর্ক থাকবেন। আমাদের কারো এই ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন মতেই ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত নয়।
আজকের আর্টিকেলটি, ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক এবং উপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিকে এবং উপকারিতা আর্টিকেলটি যদি, আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে, চাইলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন।
(খোদা হাফেজ)



ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url