কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে

কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই অস্বস্তিকর একটি সমস্যা, শারীরিক অসুস্থতার এক বড়সড়ো সমস্যা। শরীরে যদি দীর্ঘমেয়াদী  কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়,তাহলে শরীরে ক্লান্তি, অনিদ্রা, মাথা ঘোরা, চোখের ব্যথা, ও মনোযোগ কমে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে পেটে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যার কারণে, শরীরের ওজন কমে যাওয়ার মত প্রবনতাও বাড়ে। এই সমস্যা শরীরে নিরব ঘাতি হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় আমাদের নিজেদের ভুলের কারণেও, দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা লেগে থাকে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য

আমাদের শারীরিক সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে, অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান করা উচিত। আজকে আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে। মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ুন, হয়তো আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ, এই সমস্যায় অবশ্যই কখনো না কখনো পড়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে  

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণ। 

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করা উচিত, এই আর্টিকেলটির আলোচ্য  বিষয়ে জানার আগে, অবশ্যই আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণ জানা জরুরি। আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেন হয়, তা না জানলে এর প্রতিকার করা প্রায়ই অসম্ভব। চলুন তাহলে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, অস্বস্তিকর এই সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণগুলো কি?

  • শরীরে ফাইবারের অভাব দেখা দিলে, প্রধানত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। ফাইবার আমাদের মলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, এবং সম্পূর্ণভাবে মলত্যাগে সহযোগিতা করে। শরীরে ফাইবারে পরিমাণ বজায় রাখা, একটি সুস্থ শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • আমাদের মধ্যে এমন অনেকই আছে যারা খুব কম পরিমাণে পানি পান করে থাকি। শারীরিক সুস্থতায় পানির গুরুত্ব কতটা, তা আমাদের কারোই অজানা নয়। পরিমাণ মতো যদি পানি পান না করা হয়, তাহলে সাধারণত মলত্যাগ শক্ত হয়ে যায়, যার কারণ হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে, শারীরিক পরিশ্রম করা জরুরী। আমাদের মধ্যে যারা শারীরিক পরিশ্রম  কম করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া পরিহার করতে হবে, কেননা প্রক্রিয়াজাত খাবারে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ায়। 
  • মলত্যাগ চাপিয়ে রাখা হলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই আছেন যারা, টয়লেট চাপিয়ে রাখেন, টয়লেটের বেগ পেলে, অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে টয়লেট করা জরুরী। প্রস্রাব চাপিয়ে রাখলে যেমন কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়, ঠিক তেমনি মলত্যাগ চাপিয়ে রাখলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় শরীরে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয়। 

আজকের আর্টিকেলটির আলোচ্য বিষয় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে। এই আর্টিকেলটিতে, উপরে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি, কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার বেশ কিছু কারণ। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আমাদের শরীরে যে সকল লক্ষণ দেখা দিতে পারে, চলুন এখন সে ব্যাপারে জানা যাক।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে এগুলোর মধ্যে। মলত্যাগে অসুবিধা হওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে পরিমাণে কম মলত্যাগ , শক্ত ও শুষ্ক মল বের হওয়া এছাড়াও মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে মলত্যাগ করা। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, সাধারণত পেটে পুরনো মল থেকে যায়, যার কারণে দেখা দিতে পারে, পেটে ব্যথা, পেটের ফোলা ভাব, অস্বস্তি এবং মলত্যাগের সাথে রক্ত নির্গত হওয়ার মত সমস্যা। 

কোষ্ঠকাঠিন্যের, সমস্যার অন্যতম সবথেকে বড় লক্ষণ, পেটের ভিতরে মলত্যাগ থেকে যাওয়ার অনুভূতি। এই অনুভূতির ফলে বুকে জ্বালাপোড়া সহ গ্যাস্টিকের সমস্যা ও দেখা দেয়। মলত্যাগ দীর্ঘদিন যাবত স্থায়ী হলে, মলদ্বারের কাছে , খিটখিটে শিরা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনি যদি এমন সমস্যায় পড়ে থাকেন কখনো, তাহলে হয়তো অনুভূতিটা আপনি বুঝতে পারছেন। 

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে। ঘরোয়া ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিকার 

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে কি করা উচিত। প্রাথমিক অবস্থায় যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনুভব হয়ে থাকে, তাহলে প্রাথমিকভাবে আমাদের ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করা উচিত। দৈনন্দিন এর খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে, এই অস্বস্তিকর সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান করা সম্ভব হতে পারে। চলুন এখন তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটির আলোচ্য বিষয়, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করা উচিত এ ব্যাপারে জানা যাক।

খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিকারঃ 

কোষ্ঠকাঠিন্য


ফলের মধ্যে যেগুলা খাবেনঃ

আমাদের দৈনন্দিনীর খাদ্য তালিকা এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে দূর হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের  সমস্যা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু ফল যেমন, কলা, আপেল, খেজুর, কমলালেবু ও নাশপাতি ইত্যাদি। এই সকল খাবার, আশযুক্ত ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হওয়ার কারণে আমরা জেনেছিলাম, ফাইবার যুক্ত খাবার কম খাওয়ার কারণে, প্রধানত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। 

শাক সবজির মধ্যে যেগুলো খাবঃ

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ কিছু ফল সম্পর্কে জেনেছি। তবে কিছু শাকসবজিও রয়েছে যেগুলো আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এদের মধ্যে, লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, আলু, ঢেঁড়স ইত্যাদি খাওয়া জরুরী। শাকের মধ্যে খাওয়া যেতে পারে, পালং শাক, কলমি কলমি শাক ইত্যাদি, আঁশযুক্ত শাকসবজি।

পর্যাপ্ত পানি খাওয়াঃ

আমাদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। শারীরিকভাবে চলমান প্রক্রিয়াকে, সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা আমাদের জরুরী। কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরী, পর্যাপ্ত পানি পান করলে মল, নরম হয়ে যায়। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান করলে আমাদের শরীর, হাইড্রেটেড থাকে, যা আমাদের শরীরকে, প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়। শরীরে পর্যাপ্ত পানির ঘাটতি পূরণের জন্য শশা ও কাঁচা পেঁপে দিয়ে ছালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন। কেননা শসাতে প্রায় ৯৪% পানি থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কাজে দিতে পারে।

ইসুবগুলের ভুসি বা মেথির ব্যবহারঃ 

ইসুবগুলের ভুষি বা মেথি আমাদের সকলেরই খাদ্য তালিকায় সব সময়, হয়ত থাকে না। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়, ইসবগুলের ভুষির গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও মেথি আমাদের, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কতখানি ভূমিকা রাখে তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি।  ইসুবগুলের ভুষিতে, পরিমাণ মতো, ফাইভার পাওয়া যায়, ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানের সহায়ক। এছাড়াও, মেথি গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ঘরোয়া ভাবে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে, বাড়তি করে ইসবগুলের ভুষি ও মেথি খেতে পারেন। 

শারীরিক ব্যায়াম ও মানসিক চাপ কমানোঃ 

পরিশ্রম কম করার ফলেও, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভাবনা থাকে, এ ব্যাপারে উপরে আমরা জেনেছি। আমাদের যদি কারো পরিশ্রমের কোন কাজ না থেকে থাকে, তাহলে নিয়মিত কম সময় হলেও ব্যায়াম করা জরুরী। কেননা খাবারের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করার জন্য, শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।একই সাথে মানসিক চাপ কমাতে হবে, মানুশিক চাপ বা দুশ্চিন্তা আমাদের, হজ্ম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসটিক সহ, বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবনতা বাড়ে। 

আরো পড়ুনঃ মাথার পেছনে ব্যাথার কারন জানুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যে সকল খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে, কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হলে এমন কিছু খাবারও রয়েছে, যেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। এখন আমরা জানবো, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে কোন ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম, সে সম্পর্কে।

  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় প্রক্রিয়াজাত খাবার, এড়িয়ে চলা উচিত। এই খাবার গুলির মধ্যে রয়েছে, ময়দা যুক্ত খাবার যেমন, সাদা আটার রুটি কম ফাইবার যুক্ত খাবার যেগুলো। কেননা কম ফাইভার যুক্ত খাবার আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। 
  • দুধ দিয়ে তৈরি যে সকল খাবার রয়েছে, এগুলো পরিহার করা উচিত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, আইসক্রিম, পনির, রসমালাই দুধ দিয়ে বানানো যেকোনো খাবার। কেননা এই ধরনের খাবারে আশের পরিমাণ খুবই কম থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আংশেই বাড়িয়ে দিতে পারে। 
  • অতিরিক্ত চিনি আমাদের শরীরের জন্য, কতটা খারাপ তা আমরা সকলেই জানি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ও অতিরিক্ত চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা চিনি যুক্ত খাবার আমাদের অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করে, যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • পাকা কলা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান করলেও, কাচা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কাঁচা কলাতে থাকা প্রতিরোধে স্টার্চ কোন কোন ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া কাচা কলা খেলে হজম হতে সময় একটু বেশি লাগে। এছাড়াও চিড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, অনেক মানুষ রয়েছে যাদের চিরা, হজম হতে সমস্যা হয়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য বা অম্বলের কারণ হতে পারে। 
  • এছাড়াও ভাজাপোড়া খাবার, চা ও কফি ইত্যাদী যে সকল খাবার রয়েছে, এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়। আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এগুলো থেকে দূরে থাকবেন। 

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে ঘরোয়া ভাবে কি করা উচিত তা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এর মধ্যে বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে ঘরোয়াভাবে কাজ করে। এবং আরো কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায্‌ খাওয়া কোনোমতেই উচিত নয়। এই সকল, উপায় যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান না দিতে পারে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। চলুন তাহলে এখন জানি, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য


  • কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যদি, দীর্ঘদিন যাবৎ চলতে থাকে। আনুমানিক যদি তিন থেকে চার সপ্তাহ বা তার বেশি, তীব্রভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে,  সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • অনেক সময়, কোষ্ঠকাঠিনের কারনে পেটে তীব্রভাবে ব্যথা, অস্বস্তিকর ও ফোলা ভাব দেখা দেয়। আবার যদি টয়লেটের সময়, মলত্যাগের সাথে রক্ত নির্গত হয়, তাহলে অবশ্যই বসে না থেকে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে অনেক সময় শরীরের ওজন খুব দ্রুতই কমে যেতে থাকে। কেননা খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশই কমে যায়। যদি আপনার, কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে শরীরে ওজন কমে যায় এবং দৈনন্দিন এর কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন। 
  • সর্বোপরি, সব থেকে বড় কথা যেটা, কোষ্ঠকাঠিন্যতে তীব্রতার কারণে যদি তিন থেকে চার দিন টয়লেট না হয়। কোনভাবেই ঘরোয়া ভাবে প্রতিকারে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না মনে হয়, তাহলে দেরি না করে খুব দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। 

উপসংহার। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে 

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে, এ ব্যাপারটা এখন আমাদের কারো কাছেই অজানা নয়। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাটা সাধারণ, মনে হলেও কোন মতেই এটা সাধারণ নয়। অনেকেই এই সমস্যার কারণে, মানশিক দুশ্চিন্তাও করে থাকেন। কেননা শরীরের পাকস্থলী সুস্থ থাকলে, আমাদের মন ও শরীর দুটোই সুস্থ থাকে। শারীরিক অসুস্থতা শরীরে পুষে, কখনোই সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে অবশ্যই, কোষ্ঠকাঠিন্যের এই নীরব ঘাতি, সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, উপরে উল্লেখিত ব্যাপারগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন। 

এতে করে হয়ত মিলতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, দূর হতে পারে দুশ্চিন্তা, অস্বস্তি ও পেটের সমস্যা জনিত অসুখ। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করতে হবে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। 

                           (খোদা হাফেজ)




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url