কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
গা আমাদের সকলেরই ঘামে,কারো অনেক বেশি ঘামে আবার কারো হয়তো কম ঘামে। গা ঘামার বেশ কিছু কারণ হতে পারে, আপনার যদি গা ঘামে, তাহলে অবশ্যই কেন গা, ঘামছে সেটা নির্ণয় করতে হবে। আর্টিকেলটির মূল বিষয়, কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে ? আমাদের শরীরে, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি ১২, এর অভাবে শারীরিক ক্লান্তি এসে গা ঘামায়। এছাড়াও, অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজের অভাবে এবং শারীরিক কিছু রোগের কারণেও শরীর ঘেমে যেতে পারে।
আজকের আর্টিকেল টিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে এবং গা ঘামার সাধারণ কারণ গুলো কি? এ সম্পর্কে। কথা না বাড়িয়ে চলুন, জেনে নেওয়া যাক, আমাদের শরীরের কেন ঘামে, এ ব্যাপার গুল।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
- গা ঘামার সাধারণ যে কারণগুলি রয়েছে
- গা ঘামার গরুতর কারন।
- ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি১২ এর অভাবঃ
- রক্তে সরকার অভাবে ঘাম হওয়াঃ
- হাইপারথাই রয়েডিজম রোগের কারনে গা ঘামেঃ
- ঘুমের সমস্যা ও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনেঃ
- গা অতিরিক্ত ঘামলে সাধারনভাবে করণীয় কি?
- গা অতিরিক্ত ঘামালে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
- উপসংহার। কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে সে সম্পর্কে।
গা ঘামার সাধারণ যে কারণগুলি রয়েছে
গা আমাদের সকলেরই ঘামে, এবং গা ঘামার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এগুলো আমরা আর্টিকেলটির উপরেই জেনেছি, তবে গা ঘামার, বেশ কিছু সাধারন কারণ রয়েছে। যেগুলো কোন ভিটামিনের অভাবে নয়, এই সকল কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই, গা ঘামতে পারে। চলুন তাহলে জানা যাক,গা ঘামার সাধারণ কারণ গুলি কি।
পরিবেশের তাপমাত্রা গত কারনেঃ
পরিবেশের তাপমাত্রা গত কারণে আমাদের সকলের সাধারনত গরমে,গা ঘামে। পরিবেশের তাপমাত্রা বলতে কি বোঝায় এটা হয়তো আমাদের কারোই অজানা নয়। সাধারণত পরিবেশগত কারণে গ্রীষ্মকালে, আমাদের দেশের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। গরমের এই তাপমাত্রা আমাদের সকলের জন্যই, গা ঘামার অন্যতম সাধারণ কারণ। আপনি আমি একটু অনুভব করলে, গা ঘামার এই তাপমাত্রা গত, কারণ বুঝতে পারি।
শারীরিক পরিশ্রমের কারণঃ
বেঁচে থাকার জন্য পরিশ্রম আমাদের সকলেরই করতে হয়। কেউবা শারীরিক পরিশ্রম করে, আবার কেউবা মানসিক পরিশ্রম করে। সাধারণভাবে শারীরিক পরিশ্রম করলে, আমাদের যে কারো গা ঘামবে। আমরা যদি শারীরিক পরিশ্রম করি তাহলে, শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ঘাম হয়। শারীরিক পরিশ্রমের ফলে, এই ঘাম আমাদের শরীরের লবণ, পানি এবং বজ্র পদার্থ বের করে দেয়। অতিরিক্ত পরিশ্রমে, আমাদের শরীরে তাপমাত্রা সঠিক বজায় রাখার জন্যই, এই ঘামের সৃষ্টি হয়।
মানসিক চাপ ও অতিরিক্ত টেনশনঃ
গা ঘামানোর মধ্যে, মানসিক চাপ অতিরিক্ত টেনশন অন্যতম। যখন আমরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, এই অতিরিক্ত টেনশন, আমাদেরকে ফাইট মুডে নিয়ে যায়। যার কারনে শরীরে, পায়ের তালুতে ঘামানো এছাড়াও বুক ধরফর করার মত সমস্যা দেখা দেয়। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আমাদের শরীরের অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থির প্রতিক্রিয়া সক্রিয় হয়।
যার কারনে সাধারণ ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন সমৃদ্ধ ঘাম নির্গত হয়। যাই হোক আমাদের, টেনশন থেকে সব সময় দূরে থাকা উচিত, এতে করে শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে।
গা ঘামার গরুতর কারন।
আর্টিকেলটি শুরুতেই বলা হয়েছিল, কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে। এই ব্যাপারটা তো আমাদের কারোই জানতে বাকি নেই যে, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি১২ এর অভাবে, আমাদের শরীর ঘামে। এছাড়া উপরে আমরা আরো জানতে পেরেছি, গা ঘামার সাধারণ যে সকল কারণ গুলি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে এখন জানা যাক, এই ভিটামিনের অভাব এবং অন্যান্য যে কারণে গা ঘামতে পারে সেগুলো।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম,পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা।
ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি১২ এর অভাবঃ
- গা ঘামার গুরুতর কারণ এর মধ্যে, সব থেকে অন্যতম হলো এই, ভিটামিন গুলোর অভাব। ভিটামিন ডি এর অভাবে, গা ঘামলে অন্যতম যে প্রধান লক্ষণগুলো দেখা দেয়, সেগুলোর মধ্যে, কপালে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্যতম।
- ভিটামিনের অভাবে আরও শরীর ক্লান্তি ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পরিশ্রম করতে গেলে, অল্প পরিশ্রমেও অনেক বেশি ক্লান্তি শরীরে দেখা দেয়। তাছাড়া শারীরিক দুর্বলতা, কাজকর্ম করাতে অনীহা, ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ থেকে হয়।
- ভিটামিন ডি এর অভাবে, শরীরের পেশী ও হারে ব্যথা হতে পারে। কেননা ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে শরীরে, কিছু কিছু জায়গায় পেশি ও হারের মধ্যে ব্যথা অনুভব হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
- এবারে, ভিটামিন বি ১২, এর কাছে আসা যাক, ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে অসাধারণত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এছাড়াও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে, কেননা আমাদের শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২ প্রয়োজনীয়তা অপরিশীম।
রক্তে সরকার অভাবে ঘাম হওয়াঃ
আমাদের প্রত্যেকেরই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। রক্তে শর্করার মাত্রা দেখা দিলে, শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এদের মধ্যে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্যতম। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে, ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন বেশি হলে বা সঠিক সময় খাবার না পেলে, এই ঘামের সৃষ্টি হতে পারে।
হাইপারথাই রয়েডিজম রোগের কারনে গা ঘামেঃ
কিছু কিছু সময় অনেকের, অল্প পরিশ্রমেই বুক ধরফর করে, গলাও শুকিয়ে যায়। কেননা শরীর থেকে খুব অল্প পরিশ্রমে, বেশি পরিমাণে ঘাম বেরিয়ে যেতে থাকে। এ সময়ে শরীরে পানি শূন্যতার, অভাব দেখা দেয়। এই সমস্যাটা রোগের নাম হল, হাইপারথাই রয়েডিজম। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের, অতিরিক্ত গরম অনুভূতি হয়, বুক ধরফর করে এবং ঘাম অতিরিক্ত পরিমাণে বেরিয়ে যায়।
ঘুমের সমস্যা ও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনেঃ
ঘুমের সমস্যা হলে, শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এই অক্সিজেনের অভাবে রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। এছাড়াও, আমরা শারীরিক সুস্থতার জন্য যে সকল ওষুধ খেয়ে থাকি। এই সকল ওষুধের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খেলে, শরীরটা অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে, ঘামের সৃষ্টি হতে পারে। এটা কে, এক কথা বলা চলে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে, সৃষ্টি হওয়া ঘাম।
গা অতিরিক্ত ঘামলে সাধারনভাবে করণীয় কি?
কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে এই আর্টিকেলটিতে আমরা উপরে, গা ঘামার অনেকগুলো কারণ জেনেছি। এদের মধ্যে সাধারণ যে কারন রয়েছে, সেগুলো এবং গুরুতর যে কারণগুলি রয়েছে সেগুলো জেনেছি। সাধারণ কারণে গা ঘামলে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার বলে ধরা যায়। তবে গুরুতর যে কারণগুলি রয়েছে এগুলোর ক্ষেত্রে, বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচ্চিত। আমাদের গা ঘামার সমস্যার সমাধানে, গা ঘামলে করণীয় কি এটাও জানা জরুরি, চলুন তাহলে জানা যাক।
আরো পড়ুনঃ ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করনীয় কি?
পর্যাপ্ত পানি ও লবণযুক্ত পানি পানঃ
আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকে, এই পানি ঘাম হয়ে বের হয়ে যায়। যার কারনে শরীরে পানি শূন্যতার থেজে ক্লান্তি দেখা দেয়। এ সময় পর্যন্ত পানি পান করা জরুরি, সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৫ লিটার পানি পান করুন। এছাড়াও, যেকোনো ধরনের বিএসটিআই সার্টিফাইড যুক্ত, স্যালাইন পানি পান করতে পারেন। কেননা স্যালাইনে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ঘাম এবং ক্লান্তি দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও হালকা পোশাক গ্রহণঃ
শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হলে অবশ্যই হালকা পোশাক পরা উচিত। যাতে করে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস চলাচল করতে পারে। হালকা পোশাকের পাশাপাশি, অবশ্যই ঢিলা ঢালা পোশাক পড়ার চেষ্টা করুন, এতে করে শারীরিক স্বস্তি মিলবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আমাদের সকলের জন্যই অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক সুস্থতার জন্য হলেও আমাদের প্রত্যেকেরই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়। আপনার শরীরে ঘাম হলে, অবশ্যই নিয়মিত দুইবার গোসল করার চেষ্টা করবেন।
ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়াঃ
গরমের সময় সাধারণত, ঠান্ডা লেবুর শরবত আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি। ঠান্ডা যে কোন খাবারেই গরমে আমাদের শরীরের স্বস্তি মিলায়। তেমনই, গা ঘামালে অবশ্যই ঠান্ডা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা উচিত। তবে কিছু কিছু পানীয় যেমন চা,কফি এবং অ্যালকোহল অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো উল্টো আরো শরীরে ঘামের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
গা অতিরিক্ত ঘামালে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে এটা আমরা জেনেছি। শরীর ঘামলে, করণীয় গুলো কি সেগুলো জেনেছি, সাধারণত গরমের সময় আমাদের শরীরে ঘামের পরিমাণটা বেড়ে যায়। শরীর ঘামালে কখ্ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। গা ঘামানো সাধারণ, মনে করলেও, অনেক সময় এটি আমাদের শারীরিক কোন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী, গা ঘামার, সঠিক চিকিৎসা নেওয়াটাও জরুরী, চলুন এব্যাপারে জানা যাক।
- সাধারণভাবে গা ঘামার, নির্দিষ্ট পরিমাণ এর বাইরে যদি, আপনার শরীরে অতিরিক্ত ঘামের সৃষ্টি হয়। এই অতিরিক্ত ঘাম স্বাভাবিক জীবন যাত্রায়, বিরূপ প্রভাব ফেলে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণভাবে গা ঘামাবে তবে তার একটি লিমিট বা পরিমাণ থাকতে হবে।
- সামাজিক অনুষ্ঠানে আমাদের অনেক সময় অনেকেরই যেতে হয়। কেননা সামাজিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে, সামাজিকতা আমাদের প্রত্যেকেরই মেনে চলা উচিত। তবে আপনার এই অতিরিক্ত ঘামের কারণে যদি সামাজিক অনুষ্ঠানে যেতে অসুবিধা হয়, এক কথায় শরীর ভিজে যাওয়ার মত ঘাম হয়। এবং এই ঘামের, কারণে আপনার মানসিক কষ্ট অনুভুতি হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা করাবেন।
- অনেক সময় কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই রাতে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া একটি স্বাভাবিক লক্ষণ মনে করল্ চলবে না। হুটহাট ঘেমে যাওয়ার কারন ভিন্ন হতে পারে, আপনার যদি শরীরে অতিরিক্ত ঘাম ভিটামিনের অভাবে, বা গুরুতর কোন কারণের অভাবে হয়, তাহলে অবশ্যই বসে না থেকে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
উপসংহার। কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে সে সম্পর্কে।
আমরা মানুষ, রক্তে মাংসে গড়া এই শরীরে,তাপমাত্রা বেড়ে আমাদের গা ঘামাতে পারে। এখানে অবশ্যই চিন্তার কোন কারণই নাই, তবে অনেক ক্ষেত্রে এই গা ঘামার, যদি গুরুতর কারণ মনে হয়। তাহলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। উপরে উল্লেখিত গা ঘামার যে সকল, টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এগুলো অবশ্যই বুঝে শুনে মেনে, আপনার গা ঘামার সঠিক কারণ নির্বাচন করে, সঠিক ব্যবস্থা নেওয়াটা খুবই জরুরী।
আপনার শরীরে গা ঘামার, কারণ যদি গুরুতর হয়, তাহলে এই সমস্যার কারণে বিভিন্ন ধরনের, শারীরিক বড়সড়ো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই, আমাদের সকলের ও পরিবারের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাইহোক, মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলটি, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
(খোদা হাফেজ)


ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url