অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত, প্রাকৃতিক এক ঔষধি গাছের নাম হল অর্জুন গাছ। অর্জুন গাছ সাধারণত চিরসবুজ এবং দীর্ঘজীবী বৃক্ষ হিসেবে বেশ পরিচিত আমাদের কাছে। এটি সাধারণত ২০ থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। অর্জুন গাছের ছালের ব্যবহার সেই আদি যুগ থেকে। পুষ্টিগুণে ভরপুর অর্জুন গাছের ছাল, ভিজিয়ে খেলে মিলবে শরীরের নানাবিধ রোগের চিকিৎসা। শুধু গাছের ছালই নয়,অর্জুন গাছের পাতা, ফল ঔষধী হিসেবে ব্যবহৃত হয়, প্রাচীনকাল থেকে। অর্জুন গাছের আর কিছু নাম রয়েছে, ধাওয়াল, কুকুভ, নাদিসারজ ইত্যাদি। 

অর্জুন

আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার, উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়বেন, কেননা আমরা অনেকেই অনেক চিকিৎসায়, অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খেয়ে থাকি। তাহলে চলুন জানা যাক, অর্জুনের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও  নিয়ম সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

অর্জুন গাছের পুষ্টিগুণ। 

নিরবে দাঁড়িয়ে থাকা এই গাছ, আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বহু বছর ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা অর্জুন গাছের কদর, হয় তো সেই ভাবে কেউই করি না। তবে এর পুষ্টিগুণ আসলে আমাদের জন্য, সৃষ্টিকর্তার বড় ধরনের নেয়ামত স্বরূপ। অর্জুন গাছের, ছালে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। এছাড়াও অর্জুন গাছের ছাল, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতে ব্যাপক আকারে ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

  • অর্জুনের ছালে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের লিভার ও কিডনি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বেশ ভূমিকা রাখে। 
  • এছাড়াও এই গাছের ছালে, ট্যানিন থাকে, এবং এটি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ রোগ এবং ডায়াবেটিস এর মত রোগের, আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
  • প্রাচীনকাল থেকে হৃদরোগেও এর ব্যবহার রয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ, কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর এবং, ডিসলিপিডেমিয়ার চিকিৎসায় এই অর্জুনের ছালের ব্যবহার ও বেশ ভালো। 
  • শরীরের চামড়ায় কোন চর্মরোগ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে, অর্জুনের ছাল বেটে তা শরীরে ব্যবহার করলে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। 
  • তাছাড়া ডায়াবেটিস চিকিৎসায়, অর্জুনের ছালের ও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। অর্জুনের ছাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপযোগী। এবং প্রাচীনকাল থেকেই ডায়াবেটিস চিকিৎসায়, অর্জুনের ছালের ব্যবহার হয়ে আসছে। 
  • এছাড়াও অর্জুন গাছের, পাতা এবং ফল বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এক কথায় এই গাছের, পাতা, ফল, ছাল, কাঠ ইত্যাদি সকল কিছুই আমাদের উপকারে আসে। একটা সময় অর্জুনের কাঠ থেকে, গরুর গাড়ির চাকা নির্মাণ করা হতো। তবে এখন এই কাঠের ব্যাপক ব্যবহার আমাদের মধ্যে অনেকেই করে থাকে।  

অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা। 

ঔষধি গুনগুন সম্পৃক্ত এই অর্জুন গাছ এবং এই গাছের ভেজানো ছালের গুনাগুন কিছুটা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের শারীরিক সুস্থতা যে সফল, পুষ্টি উপাদান ও ঔষধি গুন সরবরাহ করে, সেগুলো এখন আমরা জানব। 

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করেঃ

অর্জুন গাছের ছাল খেলে, আমাদের রক্তের কোলেস্টরের মাত্রা কমে যায়। তাই উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে। রক্তচাপের সমস্যা আমাদের মধ্যে অনেকেরই রয়েছে। আমরা সকলেই জানি উচ্চ রক্তচাপ শরীরের জন্য কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে।

অর্জুন গাছের ছাল, পাউডার করে শুধুমাত্র এক চামচ পাউডার ভিজিয়ে। সকালে অথবা সন্ধ্যায় ভেজান পানি হালকা গরম করে খেলে, এই উচ্চ রক্তচাপের মতন সমস্যা থেকে সমাধান মিলানো সম্ভব। 

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ 

শরীরের ওজন থাকা আসলে একটি বোঝার মতন। ওজনের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন, ওজন কমানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ। আমাদের মধ্যে যে সকল ব্যক্তিরা অতিরিক্ত মেদ ও ভুরির  সমস্যায় ভুগছেন। তারা অবশ্যই অর্জন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এক গ্লাস পানিতে, কিছু পরিমাণে ছাল ভিজিয়ে, সকালে এবং সন্ধ্যায় খেতে থাকুন। প্রতিনিয়ত খেলে, ২০ থেকে ১ মাসের মধ্যে আপনি এর ফলাফল বুঝতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা,অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম।

ত্বক ও মুখের ফোস্কার চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ঃ 

অর্জুন গাছের ছাল আমাদের ত্বকের জন্য অনেক কার্যকারী। অর্জুন গাছের ছাল সাধারণত, আমাদের ত্বকের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার সমাধান দেয়। আমরা যদি অর্জুন গাছের ছাল, বাদাম এবং হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে, আমাদের ত্বকের উপরে প্রয়োগ করি। তাহলে আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। 

অর্জুন

এছাড়াও আমাদের মত অনেকের মাঝেমধ্যে মুখে ফুসকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তারাও এই অর্জুনের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই অর্জুনের ছাল গুরো, এবং নারকেলের তেল ব্যবহার করে, ভালোভাবে মিশিয়ে তারপর ফুসকার উপরে ব্যবহার করবেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, সামান্য পরিমাণ গুড়ের সাথে যদি অর্জুনের ছাল মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে জ্বর থেকেও মুক্তি মেলে। 

প্রস্রাবের সমস্যা সমাধান করেঃ 

অনেকেরই প্রস্রাবের সমস্যা হয়, প্রস্রাব ঠিকঠাক মতন ক্লিয়ার হয় না, অনেক সময় প্রস্রাবের পর জ্বালাপোড়া করে। এ সমস্যার সমাধানও দিয়ে থাকে ভেজানোন অর্জুনের ছাল। আমাদের মধ্যে যাদের প্রস্রাবের সমস্যা রয়েছে, তারা অবশ্যই অর্জুনের ছাল গুঁড়ো করে, সামান্য পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে, সেই পানি গরম করে ঠান্ডা হওয়ার পর খাবেন। এতে করে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার প্রসাবে সমস্যা দূর হবে ইনশাল্লাহ। 

এছাড়াও অর্জুনের, ছাল আমাদের শরীরের প্রদাহ কমাতে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি আমাদের শরীরের হৃদ রোগের সমস্যা অনেকটা কমাতে পারে। তাহলে বুঝতেই পারছেন অর্জুনের ছাল আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী। 

হার্টের জন্য উপকারী ঃ

আমাদের শারীরিক সুস্থতায়, হার্টের গুরুত্ব কতটা  তা আমরা সকলেই জানি। সুস্থ থাকার জন্য হার্ট সুস্থ রাখা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। হার্টের সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে এই অর্জুনের ছাল। তাই এই ছাল হাটের চিকিৎসা বেশ কার্যকারী একটি উপাদান, বিশেষজ্ঞরাও এ ব্যাপারটা স্বীকার করেছেন। 

সহজলভ্য এই সস্তায় পাওয়া উপাদানটি যদি, হার্টের রোগীরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকেন। তাহলে হার্টকে রাখবে সুস্থ ও সবল, চাইলে ট্রাই ও করে দেখতে পারেন। হার্টের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অর্জুনের ছালকে বেশ উপকারী বলেও ধরা হয়। 

সর্দি কাশির সমস্যা থেকে মুক্তিঃ 

অকারনেই আমাদের অনেক সময় সর্দি কাশি লেগে যায় শরীরে। এই সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা বা মুক্তি পেতে অর্জুনের ছাল ওষুধের মতন কাজ করে। এছাড়াও এর ছাল আমাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে  সাহায্য করে। এবং শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে, প্রতিনিয়ত এই ছাল ভিজে খাওয়ার অভ্যাস করলে। 

হাড়ের যত্নে অর্জুন এর ব্যবহারঃ

অর্জুন গাছের ছাল আমাদের, শরীরের হাড়কে মজবুত করে, এবং হাড়ের পুষ্টি যোগায়। সাধারণভাবে অর্জুন গাছের ছালে প্রচুর পরিমাণে হাড় মজবুত করার উপাদান পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেকের অনেক সময় হারে ব্যথা অনুভব হয়, যার কারনে দুর্বলতা আসে।

এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে অর্জুনের ছাল। এর জন্য অবশ্যই এই ছাল গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এছাড়াও এটি হৃদরোগের  চিকিৎসায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। 

মুখ ও মারির প্রদাহ কমায়ঃ

মুখ ও মারীর সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই, এই মুখ ও মারীর  চিকিৎসায় ও অর্জুনের ছালের ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি খাওয়ার অভ্যাস করলে, আমাদের মুখ, জিব্বা ও মারির প্রদাহ কমাতে কাজ করবে। এছাড়াও অর্জুন গাছের ছালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা সাধারণত আমাদের শরীরের, ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ কিডনির সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত ?এবং কি উচিত না।

অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা। 

আজকের আর্টিকাঠিতে উপরে আমরা অর্জুন গাছের পুষ্টিগুণ ও এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি গাছ। যা সেই আদি যুগ থেকেই আমাদের সেবা দিয়ে আসছে। তবে এই গাছের ছাল, খাওয়ায় বেশ কিছু অপকারিত রয়েছে, তাহলে এখন সেগুলো জানা যাক।

অর্জুন

  • প্রথমত বলতে গেলে, অতিরিক্ত সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত খেলে, উপকার থেকে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়ে যেতে পারে। 
  • গর্ভবতী মায়েরা বা যারা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের ক্ষেত্রে অর্জুনের ছাল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। অথবা খুব প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। 
  • যে কোন মানুষের ক্ষেত্রে অর্জনে ছাল খাওয়ার আগে, একজন আয়ুর্বেদী চিকিৎসকের বা স্বাস্থ্য বিষয়কদের সাথে, পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা সকল শরীরের জন্য এটি, আশীর্বাদস্বরূপ নাও হতে পারে। 
  • অনেক সময়, অর্জুনের ছাল গ্রহন করলে মাথাব্যথা, ব্যাথা, বমি বমি ভাবের মতন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাটাকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমাণমতন খাওয়ার চেষ্টা করবেন।  
  • যকৃতের সমস্যা দেখা দিতে পারে, অর্জুন গাছের ছাল খেলে, অনেক সময় অনেকের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা যকৃতের বিষাক্ততা বলে বিবেচিত হয়। 

অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার নিয়ম। 

উপরে আমরা অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমাদের অনেকের বাড়ির আশেপাশেই এই অর্জুন গাছ পাওয়া যায়। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব অর্জুনের ছাল কিভাবে খাবেন। সাধারণভাবে অর্জুনের ছাল, খাওয়ার নিয়ম হলো। গাছ থেকে অর্জুনের ঝাল ছিলে নিতে হবে। ছেলে নেওয়ার পরে অবশ্যই কয়েকদিন রোদে শুকাতে হবে। ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রতিদিন নিয়ম মত রাতে ভিজিয়ে রেখে, সকালে এই ভেজান পানি খেয়ে ফেলতে হবে।

আপনি চাইলে অর্জুনের ছাল শুকিয়ে গুরু করেও নিতে পারেন। এতে করে সুবিধা একটু বেশি পাওয়া যায়, কেননা গুঁড়ো করা  অর্জুনের  ছালও আমাদের শরীরের জন্য উপকারি ,তা আমরা জেনেছি। বিভিন্ন কিছুর সাথে মিশিয়েও খাওয়া যায়, চাইলে মধুর সাথে মিশিয়ে আপনি এর গুরো খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অর্জুনের ছালের কোন বিকল্প নাই। আপনার যদি  উপরে উল্লেখিত , কিছু সমস্যাগুলো থাকে, আপনি অবশ্যই নিয়মিত অর্জুনের ছাল খাওয়া শুরু করুন। 

শেষ কথা। অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম। 

অর্জুন গাছের পাতা ও ফল, আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং ঔষধি গুণাগুণ সম্পৃক্ত। এ ব্যাপারটা আমাদের কারো কাছে এখন অজানা নয়। এছাড়াও অর্জুনের ছাল আমাদের কতটা উপকার করে, তা ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি। আমাদের যে কোন সমস্যা হলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি, তবে সৃষ্টিকর্তা প্রাকৃতিকভাবে, আমাদের সকল রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে রেখেছেন। শুধুমাত্র একটু বাড়তি কষ্ট করলেই, এর ফলাফল পাওয়া সম্ভব। 

তাই আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি কোন অর্জুন গাছ থাকে। এবং আপনি যদি এর সুবিধা এখনো না নিয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই ঔষধি গাছের ছাল ছেলে, শুকিয়ে তারপরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। সুবিধাটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, আমি নিজেও মাঝেমধ্যে অর্জুনের ছাল ভিজিয়ে খেয়ে থাকি। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারী আমাদের আর্টিকেলটি পডার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। 

                         ( খোদা হাফেজ )




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url