থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়,প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়

আজকের আর্টিকেলটি, থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয় এ ব্যাপারে। থ্যালাসেমিয়া মূলত জন্মগত একটি রক্তের রোগ। এই রোগ মূলত জেনেটিক কারণে, দেখা দিয়ে থাকে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত, থ্যালাসেমিয়া মেজর পর্যায়ের রোগীকে সুস্থ রাখার জন্য বার বার, রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আমাদের দেশের রক্ত বিশেষজ্ঞরা বলছে, উন্নত দেশগুলোতে শিশুদের থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা নিরাময় সম্ভব হচ্ছে। তবে আমাদের দেশেও খুব শীঘ্রই, এই রোগের নিরাময় শুরু হতে পারে।  

থ্যালাসেমিয়া

রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব অল্প বয়সের মধ্যে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা গেলে, এ রোগের সমাধান করা সম্ভব। তবে সম্পূর্ণ নিরাময় বাচ্চার শরীরের আয়রনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে, থ্যালাসেমিয়া এই জেনেটিক রক্তের রোগ সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলোচনা করার চেষ্টা করব। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়,প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়

থ্যালাসেমিয়া হওয়ার কারণ  

থ্যালাসেমিয়া হওয়ার কারণ, সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। তবে আপনি নাও জানতে পারেন, থ্যালাসেমিয়া কোন সোয়াছে এবং  পরিবেশগত রোগ নয়। এটি সম্পূর্ণ বংশগত এবং জন্মগত রোগ। এই রোগ হওয়ার মূল কারণ হলো, পিতা মাতা থেকে ত্রুটিপূর্ণ লোহিত ও রক্তকণিকা উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানেরা পেয়ে থাকে। যদি বাবা-মায়ের ভেতরে, একজন আক্রান্ত হয় তাহলে সন্তানের এ রোগের ঝুকি থাকে। অন্যদিকে যদি বাবা-মা উভয়ই এই ত্রুটিপূর্ণ জিনেরর বাহক হন, তাহলে সন্তানের থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। 

শরীরে থ্যালাসেমিয়া দেখা দেওয়ার, মূল কারণ হলো রক্তে হিমোগ্লোবিনের তৈরি সঠিকভাবে না হওয়া। শারীরিক সুস্থতার জন্য আমাদের প্রত্যেকের রক্ত যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক রাখা জরুরী। হিমোগ্লোবিন হলো লহিত রক্ত কণিকায় থাকা এক ধরনের প্রোটিন, যা আমাদের সমস্ত শরীরে প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। আপনার যদি, শরীরে থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। কেননা আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, থ্যালাসেমিয়া সমস্যা হওয়ার পেছনে আপনি নিজেই দায়ী হতে পারেন। 

শরীরে থ্যালাসেমিয়া হলে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয় 

শরীরের জন্য থ্যালাসেমিয়া এমন একটা রোগ, যা বয়ে বেড়াতে হয় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। একটি শিশু তার পিতা-মাতা থেকে, রক্তের ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকে। কেননা থ্যালাসেমিয়া সাধারণত রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পরিবর্তন করে থাকে। আপনার যদি থ্যালাসেমিয়া সমস্যা থাকে তাহলে আপনার সন্তানেরও, এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আপনার পরিবারের কার থ্যালাসেমিয়া সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে শরীর বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, চলুন নিচে সেগুলো জানার চেষ্টা করি। 

  • আপনার পরিবারের কারো যদি থ্যালাসেমিয়া সমস্যা শরীরে দেখা দেয়, তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় ক্লান্তি এবং দুর্বলতা দেখা দেওয়া শুরু করে। একই সঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে ত্বক ফ্যাকাসে বা হলদে হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। একই সাথে, শরীরে জন্ডিসের মত প্রবণতাও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। 
  • থ্যালাসেমিয়ার সব থেকে অন্যতম লক্ষণ হলো, লোহিত রক্তকণিকা, অস্বাভাবিকভাবে ভেঙে যায়, যার ফলে, শরীরে দেখা দেয় রক্তস্বল্পতার \ সমস্যা। থ্যালাসেমিয়া সাধারণত শিশু বয়স থেকেই দেখা দেওয়া শুরু করতে পারে। এ সময় শ্বাসকষ্ট হওয়াও, শ্বাসনালীতে সংক্রমণ দেখা দেওয়া লক্ষ্য করতে পারেন। 
  • কোন শিশুর শরীরে থ্যালাসেমিয়া দেখা দিলে, শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। একই সঙ্গে শরীরে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মত দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা। তাছাড়া থ্যালাসেমিয়া নিজেই দীর্ঘস্থায়ী একটি রোগ, যা একজন মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে দিতে পারে।  
  • থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা হলে, পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যাও দেখা দেয়। এই পেট ফুলে যাওয়ার কারণে প্লীহা ও যকৃত বৃদ্ধির কারণ হয়েও দাঁড়ায়। অন্যদিকে প্রস্রাবের রং হলদে গারো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়া সাধারন ব্যাপার। এসময় হাড়ের বিকৃতি বা ভঙ্গুরতাও দেখা দিতে পারে। 
  • শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়া, সবথেকে সাধারণ এবং অন্যতম কারণ থ্যালাসেমিয়া রোগের ক্ষেত্রে। কেননা থ্যালাসেমিয়া রোগ মানব শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে পারে না, এটাই এই রোগের মূল সমস্যা। যার ফলে দেখা দেয় রক্তস্বল্পতা, সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা।

থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের উপায় 

আজকের আর্টিকেলটির মূল বিষয়, থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়, থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে। আঠিয়ালটি শুরুতেই আমরা থ্যালাসেমিয়া হওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনেছি। উপরে বলা হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া সম্পূর্ণরূপে ভালো হওয়া কোন রোগ নয়। এটি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, এবং আপনার যদি থ্যালাসেমিয়া থাকে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। চলুন এখন তাহলে থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়, থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানার চেস্টা করি। 

নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্ত দেওয়াঃ 

একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে,  সুস্থ রাখার জন্য সব থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা হলো নির্দিষ্ট কিছু সময় পরপর, রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়া। থ্যালাসেমিয়া রোগির শরীরের রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে যখন, থ্যালাসেমিয়া মেজর পর্যায়ে থাকে। এজন্য একজন রোগীর দুই থেকে চার সপ্তাহ পর পর রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

থ্যালাসেমিয়া

কোন কোন রোগির ক্ষেত্রে খুব বেশি রক্ত লাগেনা বা অনেকের মোটেই প্রয়োজন পড়ে না। সম্পূর্ণ রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। থ্যালাসেমিয়া রোগটিকে তিনটি ধাপে বিভক্ত করা হয়। যদি মেজর পর্যায় থাকে, রোগীর শরীরে মারাত্মক রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে এই ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়ে। 

অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করাঃ

রক্ত বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়া রোগের একমাত্র নিরাময় যোগ্য পদ্ধতি হলো অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের ফলে সুস্থ কোষের সাহায্যে রক্ত তৈরি কারী স্টেম সেলগুলি প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে এটা সম্ভব হতে পারে যদি, রোগীকে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যে, তার অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে এ চিকিৎসা সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ, এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে যার কারণে খুব বেশি এই ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয় না।

অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের ফলে, একজন রোগি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকতে পারে, তবে রোগির সুস্থ হওয়া সম্পূর্ণভাবে তার বয়স এবং শরীরের আয়রন সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। কোন রোগীর শরীরে, আয়রনের পরিমান অনেক বেশি হলে, শরীরের বড় কোন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের মতে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রোগীর, শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরে নির্ভর করে। 

প্লিহা অস্ত্রপাচারের ফলেঃ

থ্যালাসেমিয়া রোগিকে প্লীহা অস্ত্রপাচার করা হয়, যখন রোগী সর্বশেষ পর্যায়ে থাকে। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত একজন রোগির যখন প্লীহা খুব বড় হয়ে যায়, তখন শরীরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় যার জন্য এই প্রক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে। কেননা থ্যালাসেমিয়া রোগীর, লোহিত রক্তকণিকা প্লিহা ধরা অপসারিত হয় যার ফলে প্লীহা বড় হয়ে যায়।

এটি যদিও শেষ পর্যায়ে চিকিৎসা, কিছু সাফল্য মিললেও মিলতে পারে তবে এটা খুব বড় সিদ্ধান্ত, এজন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্নভাবে সম্ভব হয়, তাহলে শরীরের লোহিত রক্তকণিকার আয়ু বাড়াতে সাহায্য করবে। তবে মাথায় রাখবেন এটি সর্বশেষ চিকিৎসা এবং সম্পূর্ণ ঝুকিপুর্ন।

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের উপায়

থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়, থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কের এই আর্টিকেলটিতে, ইতিমধ্যেই থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায় সম্পর্কে জেনেছি। থ্যালাসেমিয়া যদিও বংশগত একটি রক্তের রোগ, এক্ষেত্রে আপনার যদি থ্যালাসেমিয়া থাকে, তাহলে কিছু সতর্কতার মাধ্যমে, আপনার শিশুর থ্যালাসেমিয়া হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে। চলুন আর্টিকেলটিতে এখন আমরা জানার চেষ্টা করি, থ্যালাসেমিয়া নামক এই রক্তের জেনেটিক রোগের প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে। 

আরো পড়ুনঃ কি খেলে ডায়েবেটিস দ্রুত কমে,ডায়েবেটিস নয়ন্ত্রনে রাখার উপায়।

  • আপনার যদি থ্যালাসেমিয়া সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই বিয়ের আগে জেনেটিক পরীক্ষা কারা সব থেকে উত্তম। শুধু আপনি একাই নয় আপনার সঙ্গীরও, জেনেটিক পরীক্ষা করিয়ে তারপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া উচিত। কেননা থ্যালাসেমিয়া আপনি বা আপনার সঙ্গী দুজনের থেকেই আপনার শিশুর শরীরে অতিবাহিত হয়।
  • থ্যালাসেমিয়া যদিও সম্পূর্ণরূপে সারানো একটি রোগ নয়, এজন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তা করে, সঠিকভাবে এই রোগ জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করে, তারপর বিয়ে করা উচিত। সর্বোপরি সব থেকে উত্তম পন্থা হলো, একজন অভিজ্ঞ রক্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 
  • আপনি বা আপনার সঙ্গী দুজনে যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, এক্ষেত্রে অবশ্যই দুজনের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে অবদ্ব না হওয়া সবথেকে উত্তম। কেননা আপনি এবং আপনার সঙ্গী দুজনের মধ্যে থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা থাকলে। আপনার শিশুর থ্যালাসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি এবং গুরুতর। 
  • এজন্য অবশ্যই এই রক্ত রোগ থ্যালাসিমিয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন জরুরী। কেননা এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন না করা হলে বংশ পরম্পরায় একইভাবে এই সমস্যা প্রত্যেকটা জন্মগত শিশুর মধ্যে দেখান দিতে পারে। 

উপসংহার। থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের উপায় 

আর্টিকেলটিতে ইতিমধ্যে থ্যালাসেমিয়া কি ভাল হয় থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। থ্যালাসেমিয়া সমস্যাটা আসলে শরীরের জন্য খুবই জটিল সমস্যা, এর চিকিৎসাও যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। থ্যালাসেমিয়া সমস্যার সমাধানের জন্য সবথেকে ভাল মাধ্যম হল, এই সমস্যা প্রতিরোধের মাধ্যম। আপনি যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, তাহলে অবশ্যই একজন দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। আপনার ভবিষ্যৎ প্রজননের কথা চিন্তা করে, সতর্ক থাকবেন যাতে করে এই সমস্যা আপনার শিশুর মধ্যে না ছরায়।

থ্যালাসেমিয়া সম্পূর্ণভাবে সমাধান করা কোন রোগ নয় তা আমরা উপরে জেনেছি। তবে সঠিক জীবন যাপন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলে, তাহলে দীর্ঘ সময় নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব হতে পারে, এটাও মাথায় রাখবেন। যাই হোক, থ্যালাসেমিয়া কি খেলে ভালো হয়, থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের উপায়ে আর্টিকেলটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

                            (খোদা হাফেজ) 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url