কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়,হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের খাবার

মানব শরীরের জন্য হাঁপানি এমন একটা রোগ, যা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব নয়। শরীরে এলার্জি সমস্যার সাথে হাঁপানির, খুব ভালোই সম্পর্ক রয়েছে। যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে, অনেক সময় দেখা যায়, এলার্জি সমৃদ্ধ খাবার এবং ধুলোবালির সংস্পর্শে আসলেও হাঁপানি সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। হাঁপানি সমস্যার সম্পূর্ণভাবে নির্মূল না হলেও, দৈনন্দিনীর খাদ্য তালিকায় বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

হাঁপানি

এছাড়াও হাঁপানি সমস্যায় ভোগা একজন ব্যক্তির, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা এড়িয়ে চলা উত্তম। চলুন আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানার চেষ্টা করি, কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় এবং কি এড়িয়ে চলা উচিত। আপনার শরীর যদি নাছোড়বান্দা এই হাঁপানি সমস্যা থাকে, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়,হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের খাবার

হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ 

আজকের আর্টিকেলটি, কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়, হাঁপানির উপযুক্ত খাবার সম্পর্কে। শরীরে হাঁপানি সমস্যা থাকলে, তা সম্পূর্ণভাবে সরানোর কোন রোগ নয়। হাঁপানির সমস্যায় ভোগা একজন ব্যক্তির, সমস্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য, বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এছাড়াও অনেকের জন্য, নির্দিষ্ট কোন ঋতুতে, হাঁপানি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। চলুন আর্টিকেলটির শুরুতেই হাঁপানি সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ গুলি জানার চেষ্টা করি। 

  • অতিরিক্ত ধুলোবালি, পোষা প্রাণীর লোম এবং পাখির পালকও, অনেক সময় অনেকের হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। কেননা আর্টিকেলটির শুরুতেই বলা হয়েছিল, হাঁপানির সমস্যা বাড়াতে এলার্জি সম্পূর্ণভাবে দায়ী। এজন্য, ধুলোবালি, পোষা প্রাণীর লোম এবং পাখির পালকের সংস্পর্শে অনেকেরই এলার্জি সমস্যা বেড়ে যায়। 
  • হাঁপানির সমস্যার একজন রোগীর, শরীরে অবশ্যই অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগানো থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা, হাঁপানি মূলত শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমনের মাধ্যমে হয়ে থাকে। শরীরে ঠান্ডা লাগা এবং ফলু সহ শরীরে সাইনাসের সংক্রমণ দেখা দিলে, হাঁপানি বা অ্যাজমা বেড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। 
  • অনেক সময় অনেকের পরিবেশগত কারণেও হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়। হাঁপানি সমস্যা হলে অবশ্যই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা জরুরী। আপনি যদি অপরিষ্কার পরিবার যেমন, তীব্র গন্ধ, স্যাত স্যাতে এবং ধোয়া ধোয়াযুক্ত কোন পরিবেশে থাকেন, তাহলে আপনার হাঁপানি সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বর্ষাকালে যখন প্রচন্ড বৃষ্টি হয়, তখন পরিবেশে একটা স্যাত স্যাতে ভাব তৈরি হয়, এ সময় অনেকেরই হাঁপানি বা এজমার সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্বাবনা বেড়ে যায়। 
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগও বাড়িয়ে দিতে পারে হাঁপানি সমস্যা। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকে অবশ্যই দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে আপনার হাঁপানি সমস্যা থাকলে, ধূমপানকে অবশ্যই না বলুন। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের ফলে, হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। 

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়, হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের খাবার 

চিকিৎসকদের মতে, হাঁপানি সমস্যায় সঠিক জীবন যাত্রার মান নিশ্চিত করা জরুরী। আপনার পরিপার্শ্বিক পরিবেশ, হাঁপানির রোগীর ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব হতে হবে। হাঁপানি যদিও সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া একটি সমস্যা। আপনার যদি হাঁপানি সমস্যা হয়, তাহলে দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকায় এমন বেশ কিছু খাবার  রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে হাঁপানি সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। চলুন তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক, আর্টিকেলটির মূল বিষয় কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়, হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের খাবার গুল সম্পর্কে। 

আরো পড়ুনঃ কি খেলে রক্তে প্লাটিলেট বাড়ে।

ফলের মধ্যে যেগুলো উপকারী হবেঃ

একজন হাঁপানির রোগির জন্য, হাঁপানির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং বিটা ক্যাটিন সমৃদ্ধ ফল খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কেননা এই সকল ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে, এবং আমাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

হাঁপানি

হাপানির সমস্যা থাকলে আপনি যে ধরনের ফল খেতে পারেন সেগুলো হলো, আপেল, কমলালেবু, লেবু, বাতামি লেবু, কলা, বেদানা এবং কিউই ইত্যাদি যে সকল ফলে ভিটামিন সি বিদ্যমান তা খুবই উপকারী। এই সকল ফল খাওয়ার ফলে এর পুষ্টি উপাদান আপনার ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করবে। 

সবুজ শাকসবজি যেগুলো উপকারীঃ 

ফলের পাশাপাশি বেশ কিছু সবুজ শাকসবজি রয়েছে যেগুলো হাঁপানি রোগীর ক্ষেত্রে উপযুক্ত। সবুজ শাকসবজির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকসবজি হাঁপানি রোগীর জন্য খুবই উপকারী। হাঁপানির সমস্যায় যে সকল শাকসবজি খাবেন সেগুলো হল, পালং শাক, পাতাকপি, গাজর, টমেটো, বাঁধাকপি এবং লেটুস সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি যতটা সম্ভব খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন। আপনি চাইলে মিষ্টি আলু, লাল হলুদ ও গোল মরিচ খেতে পারেন। এগুলো ও হাঁপানি রোগের জন্য শ্বাসনালীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। 

চর্বি যুক্ত মাছ খাওয়াও উপকারীঃ

হাঁপানির সমস্যায় চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত মাছ খাওয়া উপকারী হতে পারে। কেননা চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত মাছে, পরিমাণ মতো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা যায়, তৈলাক্ত এবং চর্বিযুক্ত মাছের ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, আমাদের ফুসফুসের প্রদাহ কমায় এবং স্বাসতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে। হাঁপানি সমস্যায় চর্বিযুক্ত মাছ যেমন, স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকেরেল, লেকট্রাউট, টুনা এবং ইলিশ মাছও পরিমাণ মতো চর্বি পাওয়া যায়। সপ্তাহে দু-তিন বার, এই মাছ খেলেই আপনি হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে বেশ ফলাফল পেতে পারেন।

হাঁপানিতে গ্রিন টিও উপকারিঃ

গ্রিন টি হাঁপানি রোগীদের জন্য, খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদদের মতে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করে থাকে তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা অনেকটাই উন্নত হয়। এছাড়াও গ্রিন টি অর্থাৎ সবুজ চায়ে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। এছাড়াও অন্যদিকে গ্রিন টিতে অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন এবং থিওফাইলিন নামক যৌগ উপস্থিত। এই যৌগ ফুসফুসের পেশীগুলোকে শিথিল করে, এবং শ্বাসনালীকে প্রসারিত করে। যার ফলে হাঁপানি রোগির জন্য শ্বাস নিতে সহজ হয়। 

তিশি বীজ ও কুমড়ার বীজ উপকারিঃ

তিশি বীজ ও কুমড়ার বীজ হাঁপানির সমস্যার জন্য উপকারী। কেননা তিশির বীজে রয়েছে ওমেগা ৩ ফাটি এসিড, আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড শ্বাসনালীর প্রধাহ কামায় এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে কুমড়োর বীজে, সূর্যমুখী বীজ ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। ম্যাগনেসিয়াম হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগীদের জন্য উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি চান, আখরোট ও ব্রাজিল বাদামও খেতে পারেন, এটিও হাঁপানির জন্য উপকারী হতে পারে। 

গোটা শস্য এবং মটরশুটিঃ 

গোটা শস্য এবং মটরশুঁটি, হাঁপানি সমস্যায় ভোগা একজন মানুষের জন্য উপকারী হতে পারে। কেননা গোটা শস্যে থাকা, ফাইবার,  ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা শ্বাসনালী স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

অন্যদিকে মটরশুঁটিতে থাকা, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার উপাদান গুলি শরীরের প্রদাহ কমায়, যা থেকে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও আপনি চাইলে, আদা, রসুন, গোল মরিচ এবং হলুদ ও খেতে পারেন। চাইলে এগুলো দিয়ে চা তৈরি করেও খাওয়া হাঁপানির সমস্যার জন্য উপকারী। 

আরো পড়ুনঃ কি খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়,তা জানুন।

হাঁপানির সমস্যায় যা এড়িয়ে চলববেন 

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়, হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের খাবার সম্পর্কের এই আর্টিকেলটিতে, ইতিমধ্যেই হাঁপানি সমস্যার জন্য উপযুক্ত বেশ কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। শরীরের শ্বাসতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য, কিছু খাবার যেমন উপকারী ঠিক অপকারীও কিছু খাবার রয়েছে। এ সকল খাবার আমাদের হাঁপানি বা এজমার সমস্যা থাকলে, এরিয়ে চলা ভাল। 

হাঁপানি


  • আর্টিকেলটির শুরুতেই বলা হয়েছিল, হাঁপানি সমস্যার সাথে এলার্জি ওতপ্রতভাবে জড়িত। এজন্য আপনার যদি হাঁপানি সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে শরীরে এলার্জি সৃষ্টি করে এমন খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম। এই সকল খাবারের মধ্যে, চিংড়ি মাছ, বেগুন, পুইশাক, কচু শাক ও গরুর মাংস ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। 
  • প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত মসলাদার খাবারও হাঁপানি রোগীর জন্য, সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ সকল খাবারের মধ্যে, প্যাকেটজাত খাবার যেমন আলু চিপস, দোকান থেকে কেনা প্যাকেট জাত খাবার এবং অতিরিক্ত মশলাদার ভাজা খাবার, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার ইত্যাদি এরিয়ে চলা ভাল।
  • অতিরিক্ত চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবারও, হাঁপানি সমস্যা বাড়াতে কাজ করে। অতিরিক্ত চিনি এবং অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণের ফলে, এগুলো ফুসফুসের কার্যকারিতা দুর্বল করে দিতে পারে। অ্যালকোহল জাতীয় খাবারও শ্বাসনালীর ক্ষতি করতে পারে এবং কাশি ও শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। 
  • উচ্চ সালফাইট যুক্ত খাবার খাওয়াও, হাঁপানি রোগির জন্য এড়িয়ে চলা উচিত। উচ্চ সাল ফাইট এড়াতে, শুকনো ফল, ওয়াইন, লেবুর রস  এরিয়ে চলা উচিত।  হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। 
  • হাঁপানি হলে ধূমপান কোনমতেই চলবে না, ধূমপানকে অবশ্যই না বলা উচিত। আপনার যদি হাঁপানি সমস্যা থাকে এবং ধূমপান করেন, তাহলে আপনার বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য ধূমপান, মদ্যপানসহ এজাতীয় বদ অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন। 

উপসংহার। কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়, হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের খাবার 

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয় হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের খাবার আর্টিকেলটিতে, বেশ কিছু তথ্য ইতি মধ্যেই তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের কারোই হয়তো এখন আর জানতে বাকি নেই, হাঁপানি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় যোগ্য কোন অসুখ নয়। আপনার শরীরে যদি হাঁপানি সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দৈনন্দিনের জীবনযাপন নিশ্চিত করা জরুরী। যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে সেটা হোক হাঁপানির ক্ষেত্রে উপযুক্ত, তাও চিকিৎসার এর পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া সবথেকে উত্তম। 

আপনার হাঁপানি হোক কিংবা যে কোন, দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য অবশ্যই আপনাকে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যা, কেবলমাত্র সচেতনতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যাইহোক কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়,  হাঁপানির উপযুক্ত খাবার আর্টিকেলটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

                              (খোদা হাফেজ)


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url