ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত

আমাদের শারীরিক সুস্থতা এবং শক্ত ও মজবুত হার গঠনে ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ১০০০ থেকে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। শরীরে যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটাতি থাকে তাহলে দেখা দেয় নানা ধরনের জটিলতা। এগুলোর মধ্যে হাড় ক্ষয়, হাড় দুর্বল হয়ে পড়া এবং খুব সহজেই হাড় ভেঙে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। শিশুদের সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার জন্য, ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। অন্যদিকে,প্রাপ্তবয়স্ক ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে, হারকে সুস্থ রাখা শক্তিশালী রাখার জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

ক্যালসিয়াম

আমাদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরী। আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব, ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত 

শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে যে লক্ষণ দেখা দেয় 

ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত, এই আর্টিকেলটি শুরুতেই আমরা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে, যে সকল লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো জানার চেষ্টা করব। আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠন সহ শরীরের নানা পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হল খনিজ পদার্থ , যদি কারো শরীরে তীব্র মাত্রায় ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দেয়, তাহলে এটাকে বলা হয়, টিটোনি। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে চলুন, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক। 

  • আমরা সকলেই জানি, আমাদের পেশী ও হাড় গঠনে ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব কতটা। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে, শরীরে ক্লান্তী ও পেশীতে দুর্বলতা, দেখা দেওয়া খুবই সাধারণ। যার কারনে, আপনার দীর্ঘস্থায়ী কোন কাজকর্ম করতে ক্লান্তিবোধ হতে পারে, এবং অনিচ্ছাও জাগতে পারে। 
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে, হাড়ের পুষ্টি কমে যায় এবং হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এজন্য খুব অল্পতেই, আপনার হার ভাঙ্গার ঝুকি বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে হাত পা ঝিনঝিন করা, ক্রমাগত আবাস হয়ে যাওয়ার মতন সমস্যায়ও করতে পারেন। 
  • হাড় পেশিতে ও পিঠে ব্যথা, এক কথায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে হাঁটাচলা করলে হাটুতে ব্যাথা সহ, নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ক্যালসিয়ামের অভাবে আপনার হাতের নক সহজেই ফেটে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়ার মত, সমস্যার দেখাও মিলতে পারে। 
  • চুল ও ত্বকের জন্য ক্যালসিয়ামের রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরো না হলে, চুল ফেটে যাওয়া, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া সহ ত্বকে এলার্জি সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। 
  • অন্যদিকে ক্যালসিয়ামের ঘাটিতির ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ও আপনার মনোযোগ ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও অস্থিরতা হতাশা বা আচরণগত পরিবর্তন আসতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের অভাবে, শরীরে খিচুনি পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য ক্যালসিয়ামের অভাব সঠিকভাবে পূরণ করে রাখা জরুরি। 
  • দাত আমাদের সবারই, প্রয়োজনীয় অংগ। যা থেকে প্রতিনিয়ত আমরা খাবার চিবিয়ে খেয়ে থাকি। আপনার যদি ক্যালসিয়ামের সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দাঁতের ক্ষয় বা দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। অন্দিকে ক্যালসিয়ামের অভাবে পেটে ব্যথা বা হজমের সমস্যা দেখা দেওয়া, খুবই সাধারণ ব্যাপার। 
  • হৃদস্পন্দন অনিয়মত বা দ্রুত হওয়ার মতো প্রবণতা ও দেখা দিতে পারে। শুধু এখানেই শেষ নয় নানা ধরনের জটিলতাও, দেখা দিতে পারে ক্যালসিয়ামের অভাবে।  তাহলে বুঝতেই পারছেন শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা,  এবং শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সম্পৃক্ত খাবার খাওয়ার গুরুত্ব কতটা। 

ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত 

ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত? এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য যে শুধু, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। শরীরের শারীরিক সুস্থ বজায় রাখার জন্য, নিজেকে সুস্থ সুন্দর এবং ফিট রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা জরুরী।

ক্যালসিয়াম

যারা একটু বয়স্ক রয়েছেন, তাদের জন্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার দৈনন্দিনীর খাদ্য তালিকা রাখা জরুরী। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটিতি হলে শরীরে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয়, তা উপড়ে আলোচনা করা হয়েছে। বুঝতেই পারছেন আমাদের শরীরের, শুসাস্থ নিশ্চিত করার জন্য ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব। চলুন ,এখন জানার চেষ্টা করি, আর্টিকেলটির মূল বিষয় ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত সেগুলি সম্পর্কে। 

দুধ এবং দুধের তৈরি যে কোন খাবারঃ

দুধ বা দুধের তৈরি যে কোন খাবারই ক্যালসিয়ামের খুবই ভালো উৎস। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য, দুধ,  দই অথবা ছানা সহ দুগ্ধ জাত পণ্য খেতে পারেন। এগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে থাকে যা আপনার শারীরিক সুস্থতা, হার এবং দাঁতের গঠনে বেশ কার্যকর। তবে দুধ থেকে তৈরি চা বা কফি খেলে কিন্তু এর ফলাফল পাবেন না। আপনি চাইলে প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য, ১ থেকে ২ গ্লাস দুধ খেতে পারেন, এতে করে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম সরবরাহ হবে। 

চীনা বাদাম ও কিসমিস খেতে পারেনঃ 

শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য চীনে বাদাম ও  কিসমিস খাওয়া যেতে পারে। চিনা বাদামে তুলনামূলক পরিমাণ মতো ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যর জন্য ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে কিসমিসে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুবই কম। তবে চাইলে আপনি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন, উপকারী হবে। এছারাও কিসমিসে এক ধরনের বোরন নামে পুষ্টির উপাদান রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদান শরীরের ক্যালসিয়াম, শোষণে ভূমিকা পালন করে। 

কাঁটা সহ যে কোন ছোট মাছ এবং ডিমঃ

শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য, কাটাসহ ছোট মাছ এবং ডিম অত্যন্ত উপকারী, এবং এতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের উৎস রয়েছে। ছোট মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে, টেংরা মাছ, পুটি মাছ, মলা মাছ, কই ও সিং মাছ সহ ছোট মাছ গুলি অবশ্যই কাটাসহ চিবিয়ে খেতে হবে। কেননা ছোট মাছের কাটায়, পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম মজুদ থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

অন্যদিকে ডিমেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম মজুদ রয়েছে, তবে এর সাদা অংশে সব থেকে বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ ডিম শুধু ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে না, শরীরে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি, অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্যও ডিম খুবই উপকারী। 

খেজুর ও শুকনো ডুমুর খুবই উপকারীঃ 

খেজুর ও শুকনো ডুমুর, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন নিয়ম করে, অল্প পরিমাণই খেজুর খেলে, ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে সহায়তা করে। দৈনন্দিন রুটিনে খেজুর রাখলে এটি আপনার, চোখ, হাড় ও দাতের সমস্যাও দূর করতে কাজ করবে।

অন্যদিকে আপনি যদি খাদ্য তালিকায় শুকনো ডুমুর রাখতে পারেন, তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরের জন্য ক্যালসিয়ামের, ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন। কেননা অন্যান্য শুকনো ফলে তুলনায়, একটু বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় শুকনো ডুমুরে। শুকনো ডুমুর খেলে এটি হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করতেও ভূমিকা পালন করে। 

ক্যালসিয়ামের জন্য যে সকল শাকসবজি ভালো হবেঃ

আমাদের দৈনন্দিনীর খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, কমবেশি প্রায় প্রতিটি পরিবারের খাবারেই থাকে। তবে আপনার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য এবং, শারীরিক পুষ্টি যোগানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবুজ শাকসবজি,  পালং শাক,  কলার্ড শাক,  কচু শাক,  বাঁধাকপি,  পুদিনা পাতা , ব্রকলি , সজনে পাতা সহ ঢেঁড়স খাওয়া খুবই উপকারী।

ক্যালসিয়াম

এই সকল সবুজ শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। এছাড়াও কুমড়োর বীজ,  সূর্যমুখী বীজ ওকরা,  সয়াবিন ও তিল সহ বেশ কিছু খাদ্যপণ্যে ও যথেষ্ট ক্যালসিয়ামের উৎস রয়েছে। আপনার এবং আপনার পরিবারের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে, এ সকল শাকসবজি রাখতে পারেন। 

শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবের ক্ষেত্রে সতর্কতা

ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত আর্টিকেলটিতে, ইতিমধ্যে ক্যালসিয়াম সম্পৃক্ত বেশ কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া আর্টিকেলটির শুরুতেই ক্যালসিয়ামের অভাবে বেশ কিছু লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তবে ক্যালসিয়ামের অভাবের ক্ষেত্রে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী তাও আমাদের জেনে নেওয়া জরুরী।

আরো পড়ুনঃ নিয়মিত দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। 

  • ক্যালসিয়ামের অভাবে যদি আপনার পেশীতে টান কিংবা হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া ঝিমঝিম করার মত লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জরুরী। আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে যদি খুব সহজে নখ ভেঙে যায়, বা ভঙ্গুর হয়ে যায় সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 
  • ক্যালসিয়ামের অভাবে যদি আপনার দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়, দাঁত ব্যথা, ঠান্ডা বা গরম খাবার খেলে অন্যরকম ব্যথা উপলব্ধি করা ইত্যাদি সমস্যার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন। কেননা এই সমস্যা দাঁতের এনামেলকে দুর্বল করে দিতে পারে। 
  • অন্যদিকে যদি আপনার ত্বকে এবং চুলে সমস্যা দেখা দেয়, চুল পড়া কিংবা চুল পাতলা হয়ে যায় এবং ত্বকে যদি কোন প্রকার এলার্জিজনিত সমস্যার প্রভাবে পড়েন, সে ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। 
  • সবচেয়ে বড় কথা যদি আপনার হাড়ের কোন সমস্যা দেখা দেয়, হাড়ের ভিতর প্রচন্ড ব্যথা পরিশ্রম করতে অসুবিধা সহ অল্প হাটাহাটি করলে, হাটুতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হয় তাহলেও, ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। কেননা এমত অবস্থায় আপনার শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা সেবা সব থেকে উপযুক্ত। 

পসংহার। ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত 

আমরা মানুষ আমাদের বেঁচে থাকার জন্য, হাড় ও পেশির প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মিটাতে, পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরী। ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত আর্টিকেলটিতে, ইতিমধ্যে ক্যালসিয়াম সম্পৃক্ত বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির, প্রভাবে যদি আপনি পড়েন তাহলে এর শারীরিক সমস্যার ব্যাপারে হয়তো আপনি বুঝতেই পারছেন। চিকিৎসকদের মতে, আমাদের শরীরের শক্তি যোগান দেওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের প্রতি মনোযোগী হওয়ার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকা জরুরী। 

এজন্য আপনি এবং আপনার পরিবারের, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। যাইহোক ক্যালসিয়ামের অভাব হলে কি খাওয়া উচিত আর্টিকেলটি এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

                          (খোদা হাফেজ)



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url