১ মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায়

চুল আমাদের সকলেরই সৌন্দর্যের প্রতিক, অনেকে আবার একটু বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য, চুলকে একটু লম্বা আর ঘন করার জন্য, মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে এজন্য কখনোই, অতিরিক্ত কোন চুলের যত্নের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ঠিক নয়। এমনিতে মানুষের মাথার চুল, সাধারণত প্রতিমাসে, ০.৫ থেকে ১ ইঞ্চি পর্যন্ত বা এর একটু বেশি লম্বা হতে পারে। তবে চুলের বৃদ্ধি অনেকটাই, ব্যক্তি বেদে পরিবর্তন হয়। চুলের বৃদ্ধি বেশ কিছু, কারণের উপর প্রভাবিত হয় যেমন, চুলের বৃদ্ধির গড় বয়স, জিনগত, খাদ্যভ্যাস ও মানুষের স্বাস্থ্যের উপর। 

লম্বা

এছাড়াও যদি একটু বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য, চুলকে লম্বা ও ঘন করতে চান। তাহলে ঘরোয়া ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে, চুলের যত্ন নেওয়া ,সবথেকে উত্তম। চলুন তাহলে আজকের, আর্টিকেল টিতে আপনাদের সাথে, আলোচনা করার চেষ্টা করি, এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায় সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ১ মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায়

মাথার চুলের বৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণ 

আজকের, আর্টিকেল টির আলোচ্য বিষয়, এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার, উপায় সম্পর্কে। মাথার চুলের বৃদ্ধি নিয়ে যদি, আপনার টেনশন হয়ে থাকে। তাহলে আপনার, জানতে হবে, মাথার চুলের বৃদ্বি কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে। আমাদের শরীরে একটা অংশ চুল, শারীরিক সুস্থতায় যেমন, শরীরে পুষ্টি প্রয়োজন, চুলের বিদ্বিতে ঠিক তেমনি, চুলের যত্নে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রয়োজন।

বেশ কিছু কারণে আমাদের চুলের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। এই কারণ সনাক্ত করে, যথাযথ ব্যবস্থা নিলে চুল লম্বা ও ঘন করা সম্ভব। এখন তাহলে জানা যাক, চুলের বৃদ্ধি কমানোর কারণগুল সম্পর্কে। 

চুলের সঠিক যত্নের অভাবঃ 

পূর্বে বলা হয়েছিল, চুল আমাদের সকলেরই সৌন্দর্যের প্রতীক। তবে চুলের যত্নে সকলকে, সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। অনেকে, চুলে হিট প্রয়োগ, ব্লো ড্রায়ার এবং কারলিং আয়রনের মত, মেশিনের ব্যবহার করে। এগুলো করে চুলের ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্য আসলেও, এটি চুলকে পাতলা ও প্রাণহীন করে তোলে। অন্যদিকে অনেক অতিরিক্ত পরিমাণে চুলের যত্নে, রাসায়নিক পণ্যের ব্যবহার করে।

তাছাড়াও আমাদের মধ্যে অনেকর, অনেক সময় বাইরে থাকতে হয়। এ সময় মাথায় যে সকল ধুলাবালি লেগে যায় এগুলো পরিষ্কার করাও জরুরী। অন্যদিকে সঠিক চিরুনির ব্যবহার না হলে, চুলে অতিরিক্ত টান লেগে, চুলের গোড়া দুর্বল হওয়া এবং চুল ছিড়ে যেতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে, অবশ্যই চুলের যত্নে যত্নশীল হওয়া জরুরি। 

শারীরিক পুষ্টির অভাবেঃ

শরীরের যত্নেই শুধু পুষ্টি নয়, চুলের যত্নও পুষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীরের যত্নের পাশাপাশি, চুলের যত্নেও প্রোটিন, ভিটামিন ডি, আয়রন,  ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি ও খনিজ ইত্যাদি ভূমিকা পালন করে। সাধারণত আমাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিলে, শরীরের রক্ত সঞ্চালন দুর্বল হয়ে যায় যার ফলে, চুলের গোড়ায় পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় না।

শরীরে যদি আয়রন জনিত সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে চুলের বৃদ্ধি কমে যায় এবং চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। অন্যদিকে প্রোটিন আমাদের চুলের বৃদ্ধির, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরীরের প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে, চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে যায়। এ সকল সমস্যার সমাধানের জন্য, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরী। 

জিনগত কারণঃ

মাথার চুলের সমস্যা, অনেকের জন্য, জিনগত কারণেও হতে পারে। আপনার আশেপাশে খেয়াল করলে হয়তো, দেখতে পাবেন এমন অনেকই রয়েছেন, যাদের বংশগত কারণে একটা সময়, মাথার চুল পড়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের, বংশগত কারণে ধীরে ধীরে চুল পাতলা এবং কমে যাওয়ার প্রবণতা অনেকের ক্ষেত্রে দেখা দেয়।

চুল

এছারাও মানসিক চাপ, মাথার চুলের বৃদ্ধি নষ্ট করতে, ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোনের ভারসাম্যহীনতা অনেকের মাঝেই দেখা যায়। এই সমস্যা দেখা দিলে, চুলের বৃদ্ধি কমে যায়। চুলের যত্ন সঠিকভাবে করার জন্য, পর্যাপ্ত পানি পান করাও অত্যন্ত জরুরি। 

অন্যান্য যে সকল কারণ রয়েছেঃ 

চুলের সঠিক বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বজায় রাখার জন্য, চুলে পর্যাপ্ত আলো বাতাস, প্রবাহিত করা জরুরী। চুল যদি শক্ত করে, মুঠিয়ে বেঁধে রাখা হয় সারাক্ষণ, তাহলে এটা চুলের বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করে। এ সমস্যাটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বেশি দেখা দেয়। আরেকটা বিষয় সবসময় খেয়াল রাখতে হবে, চুন অতিরিক্ত বড় হয়ে গেলে আগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় অবশ্যয়, ফেটে যাওয়া চুলের আগা ছেঁটে ফেলতে হবে।  চুলের যত্নে সঠিক বৃদ্ধি ও ঘনত্ব পাওয়ার জন্য, চুলের সঠিক পর্যবেক্ষণ, অত্যন্ত প্রয়োজন। 

এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায় 

আজকের আর্টিকেল টির মূল বিষয়, এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায় সম্পর্কে। আর্টিকেল টিতে ইতিমধ্যে, চুলের বৃদ্ধি কমে যাওয়া ও চুল পড়ার সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনার যদি চুলের সমস্যা থাকে, তাহলেই প্রাথমিক অবস্থায়, উপরোক্ত কারণগুলো সমাধান করার চেষ্টা করবেন। আর্টিকেলটির প্রথমেই আলোচনা করা হয়েছিল, এক মাসে আমাদের চুল সাধারণত কতটুক লম্বা হয়।

আমরা যদি এই চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে চাই, তাহলে ঘরোয়াভাবে কিছু নিয়ম কানুন, মেনে চুলের যত্ন নিলে, কিছুটা হলেও চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়ানো সম্ভব। কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে জানা যাক, আর্টিকেল টির মূল বিষয়, এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায় সম্পর্কে। 

চুলের যত্নে সব থেকে উপকারী তেল মালিশঃ

চুলের যত্নে তেল মালিশের উপকারিতা, খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক আগে থেকে চুলের যত্নে তেল মালিশের ব্যবহার হয়ে আসছে , যখন রাসায়নিক পণ্যের তেমন, ব্যবহার হত না। চুল ঘন ও লম্বা করার জন্য প্রাকৃতিক, উপাদান হিসেবে কাজ করে তেল মালিশ। মাথায় তেল মালেশিয়ার ব্যবহারের ফলে, এটি মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা চুল মজবুত করে এবং চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

আরো পড়ুনঃ আমলকির তেলের উপকারিতা জানুন।


মাথায় চুল মালিশ আপনার, প্রতিদিন করার প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দুই-থেকে তিন দিন এই তেল মালিশ যথেষ্ট। এজন্য চাইলে নারকেল তেল, বাদাম বা আমলা তেল, হালকা গরম করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে আলতোভাবে, চুলের গোড়ায় মাসাজ করে ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের চুলের জন্য তেলের গুরুত্ব, সবচেয়ে বেশি।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রসের ব্যবহারঃ

চুলের ঘনত্ব ও বৃদ্ধিতে, পেঁয়াজের রসও ভালো ভূমিকা পালন করে। আমাদের সমাজে অনেকেই, কম বেশি পেঁয়াজের রস চুলের যন্তে ব্যবহার করে থাকে। পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার উপাদান, মাথার চুলের গোড়া শক্ত করে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় চুলের ফলিককে, বৃদ্ধি ও ঘনত্ব বাড়াতে পুষ্টির যোগান দেয়। আপনার চুল পড়া সমস্যা থাকলে, নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলাফল পাওয়ার জন্য, পেঁয়াজের রস ভালোভাবে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে, ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে।

যখন পেঁয়াজের রসটা ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে, এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।পেঁয়াজের রস সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করায় উত্তম। পেঁয়াজের রস, চুলের জন্য কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে, মাথার খুশকি দূর করতেও ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার চুলের, বৃদ্ধি ও ঘনত্ব আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। 

চুলের যত্নে ডিমের ব্যবহারঃ

চুলের বৃদ্ধিতে, ঘনত্ব বাড়াতে এবং চুল পড়া রোধে ডিমের ব্যবহার, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাচা ডিম ফাটিয়ে তা মাথায় ব্যবহারের ফলে, এটি মাথার চুলকে শক্তিশালী, উজ্জল, চুল ভাঙ্গা সহ চুল পাড়া রোদের পুষ্টি সরবরাহ করে। ডিমে থাকা কুসুম এবং সাদা অংশ, মাথার চুলকে মজবুত করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে। ডিমে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই ও প্রাকৃতিক ফ্যাট সহ অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

চুলের যত্নে ডিমের ব্যবহার খুবই সোজা, এজন্য আপনি একটি ডিম ভেঙে সুন্দর করে ফেটে নেবেন। ফেটে নেওয়া ডিমটি সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিতে হবে। এরপরে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত না শুকায় রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে, সেম্পু দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা ধুয়ে ফেলুন। মাথার ত্বকে ডিমের ব্যবহারে খেয়াল রাখবেন, গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না, চুলের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করবেন এবং এলার্জি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 

অ্যালোভেরা জেল ও মেথি পেস্টের ব্যবহারঃ

এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার জন্য, এলোভেরা জেল ও মেথি পেস্টের ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোভেরা জেল ও মেথি পেস্টের ব্যবহারের ফলে, এটি চুলে দ্রুত বৃদ্ধি করে, মাথার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে, রুক্ষতা দূর করে, খুস্কি প্রতিরোধ করে এবং আগা ফাটার সমস্যা কমাতেও ভূমিকা পালন করে। কেননা অ্যালোভেরা জেল ও মেথি পেস্টের সমন্বয়ে গঠিত উপাদানে, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ফাঙ্গালের বৈশিষ্ট্য রয়েছ। যা চুলের যত্নের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ঘন

এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য, আপনার সামান্য পরিমাণে মেথি ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপরে ভেজানো মেথি বেটে পেস্ট করে নিতে হবে, এই পেজের সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সুন্দরভাবে দুটি উপকরণ মিলিয়ে নিতে। মিলান হয়ে গেলে এটি সম্পূর্ণ চুলে, সুন্দর করে লাগাতে হবে। এরপরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মত সময় রেখে শুকাতে হবে। ব্যস শোকানো হয়ে গেল, সম্পূর্ণ চুলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন, আশা করা যায় এটি ব্যবহারের ফলে, আপনি ভাল ফলাফল পেতে পারেন। 

চুলের যত্নে আমলকী ও দইয়ের ব্যবহারঃ

চুলের যত্নে আমলকি ও দইয়ের ব্যবহারের ফলে, এটি চুলকে লম্বা ও ঘনত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি, চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুল পড়া কমায়। এছাড়া এই উপকরণ ব্যবহারের ফলে, মাথার খুশকি দূর হয়, চুলকে ঝলমলে করে এবং চুল মসৃণ করে। কেননা আমলকীতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং দইয়ের রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড। এই উপাদান গুলো চুলের পুষ্টি জোগাতে চুলের ফলিককে শক্তিশালী করতে এবং ঘনত্ব ও বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এই উপকরণটি তৈরি করতে হলে, দুই থেকে তিন চামচ বা আপনার প্রয়োজনমতো আমলকির গুড়া নিতে হবে। এরপরে প্রয়োজনমতো টক দই নিয়ে দুটি উপকরণ সুন্দরভাবে মিলিয়ে মসৃণ করতে হবে। পরবর্তীতে মিশ্রণটি সম্পূর্ণ চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপরে ৩০ মিনিট বা কিছু সময় অপেক্ষা করুন শুকানো পর্যন্ত। সর্বশেষ শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দরভাবে মাথার চুলগুলি ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুল শুষ্ক হলে নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল যোগ করতে পারে। 

কন্ডিশনার ও সিরামের ব্যবহারঃ 

এক মাসে চুল লম্বা ও ঘন করার জন্য, কন্ডিশনার ও সিয়ামের ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা অনেকেই, বাড়তি চুলের যত্নে কন্ডিশনার ও সিরাম এর ব্যবহার করি, শ্যাম্পু করার পরে। এজন্য প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর, ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে, কন্ডিশনার অবশ্যই ভেজে চুলে লাগানো জরুরী। শ্যাম্পু করার মতো ঠিক কন্ডিশনার দিয়েও, চুল ভিজে অবস্থায় সুন্দর ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। চুলের কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে এটি, চুলকে নরম, জট মুক্ত এবং চুলের আদ্রতা বজায় রাখে।

আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রন হয়,জানতে ক্লিক করুন।


এরপরে চুলে সিরামের ব্যবহার, চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের পরে, চুল যখন সামান্য পরিমাণে ভেজা  থাকবে, তখন সিরামের ব্যবহার করলে এটি বেশ কার্যকরী হয়। এজন্য সামান্য কিছু সিরাম নিয়ে চুলের আঘা থেকে মাঝ পর্যন্ত সুন্দর ভাবে লাগান। সিরাম আমাদের চুলের জন্য, সুরক্ষার স্তর তৈরি করে যা ধুলোবালি, ও পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা করে। এটি ব্যবহারের ফলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং চুলকে মসৃণ করে।

সঠিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসঃ

এক মাসে চুল ঘন লম্বা করার উপায়, আর্টিকেল টিতে ইতিমধ্যে, একমাসে চুল ঘন লম্বা করার বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। শুধু এক মাসে নয়, চুলের যত্নে সফল উপকরণ সব সময় কম বেশি ব্যবহার করা উচিত। চুলের যত্নে শুধু উপকরণ ব্যবহার করতে হবে এমন নয়, আমাদের প্রত্যেকেরই শারীরিক সুস্থতা যেমন পুষ্টিকর খাবার ও সঠিক জীবন যাপন জরুরী। ঠিক তেমনি চুলের যত্নে, সঠিক জীবন যাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত জরুরী।

এক মাসে চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব পাওয়ার জন্য, ওমেগা ৩, ফাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার, চিয়া সিড, আখরোট, তৈলাক্ত মাছ সহ সবুজ শাকসবজি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। চুলের যত্নে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরী, তাছাড়া আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে তাহলে এটি ত্যাগ করুন। কেননা ধূমপান করলে মাথার রক্ত সঞ্চালনের বাধাগ্রস্ত হয়, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই ক্ষতিকর। 

উপসংহার। এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায় 

এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায়, আর্টিকেল টিতে ইতিমধ্যে, চুল লম্বা ও ঘন করার উপায় সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে করা হয়েছে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য, চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। সাময়িক সময়ের জন্য, চুলের বাড়তি সৌন্দর্যের বৃদ্বিতে চুলকে নষ্ট করছেন না তো, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চুলের সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মধ্য বয়সের পর দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

চুল লম্বা ও ঘনত্ব বৃদ্ধি করার জন্য, উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন।আশা করা যায় চুলের যত্নে এই পদ্ধতি গুলো বেশ কার্যকর হবে। এক মাসে চুল ঘন ও লম্বা করার উপায় আর্টিকেলটি, মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন। 

                          (খোদা হাফেজ)


 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url