গর্ভাঅবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা কলা, সাধারণত কাঁচা অবস্থায় কলা সবজি হিসেবে আমরা খেয়ে থাকি। কাঁচা কলা বলতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আনাজি কলা কে আমরা বুঝে থাকি। তবে যে কোন কলাই কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়, সেটা হোক আনাজি কলা কিংবা অন্য যেকোনো কলা। কলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং এটি গর্ব অবস্থায় খেলো বেশ উপকার পাওয়া সম্ভব। কাঁচা কলায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ফাইবার ইত্যাদি।
আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি। গর্ভাঅবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি সে সম্পর্কে। তবে আমরা কলার বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ও উপকারিতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জানা যাক, কলার উপকারিতা কি এবং গর্ভ অবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাঅবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
- কাচা কলাতে যে সকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
- কাঁচা কলার উপকারিতা গুলো।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান করেঃ
- শরীরের বাড়তি ওজন কমায়ঃ
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ
- হৃদরোগ ও স্ট্রোকের সমস্যার সমাধানে কাজ করেঃ
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
- মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করঃ
- গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা।
- গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার সতর্কতা।
- শেষ কথা। গর্ভাবস্থায় কাচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
কাচা কলাতে যে সকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
সবজি হিসেবে আমরা রান্না করে কলা তো অনেকেই খেয়ে থাকি। তবে আমরা হয়তো অনেকেই এই কাঁচা কলার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানিনা। আমাদের প্রত্যেকেরই জানা উচিত দৈনন্দিন এর খাদ্য তালিকায় যে সকল খাবার আমরা খেয়ে থাকি, এগুলোর পুষ্টিগুন সম্পর্কে। আমাদের প্রত্যেকেরই শারীরিক সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, দৈনন্দিনীর খাদ্য তালিকার খাবার গুলোই অন্যতম ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে আমরা যে সকল খাবার খাচ্ছি এগুলো সম্পর্কে কমবেশি ধারণা থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।
চলুন জানা যাক কাঁচা কলাতে যে সকল পোস্টের উপাদান পাওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা কলায়, ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম ক্যালরি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ ২০ থেকে ২২ গ্রাম এবং ফাইবারের পরিমাণ ২ থেকে ৩ গ্রাম, এবং ক্যালরির পরিমাণ রয়েছে ১.৫ গ্রাম। কলাতে চর্বির পরিমাণ খুবই কম থাকে এবং পটাশিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কলাতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়, এছারাও খনিজ পদার্থ যেমন, আয়রন, সোডিয়াম ফোলেটের মতো উপাদান রয়েছে। এই সকল উপাদান আমাদের শরীরের নানাবীধ সমস্যার সমাধান করে থাকে। চলুন তাহলে এখন জানা যাক কলার উপকারিতা কি কি এগুলো সম্পর্কে।
কাঁচা কলার উপকারিতা গুলো।
অনেক সময় চিকিৎসকেরা, শারীরিক সুস্থতার জন্য আমাদেরকে কাঁচা কলা খেতে বলে। কলার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এই সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের যে ধরনের উপকার করে সেগুলো আমাদের জানা জরুরীদ,চলুন যানা যাক।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান করেঃ
আমাদের জন্য কোষটিকাঠিন্য একটি সমস্যার নাম, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের রয়েছে তারাই বোঝে এর যন্ত্রণা আসলে কতটা। কাঁচা কলায় থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। পেটের উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরিতে সাহায্য করে, যার কারনে দূর হয়, গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এছাড়াও কাঁচা কলা আমাদের পেট পরিষ্কার রাখার জন্য বেশ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের বাড়তি ওজন কমায়ঃ
শরীরের ওজন বেশি থাকলেও যেমন সমস্যা কম থাকলেও সমস্যা। শরীরের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় কলার অবদান রয়েছে, কেননা এতে থাকা ফাইবার আমাদের দীর্ঘক্ষন পেট ভরিয়া রাখতে সাহায্য করে। যার কারনে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কবে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। তাহলে বুজতেই পারছেন কাঁচা কলা শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও ভুমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা,অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেঃ
দৈনন্দিনীর খাদ্য তালিকা ব্যবহৃত কাঁচা কলা আমাদের রক্তের সরকরার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে। কেননা কাঁচা কলা তে থাকা, ফাইবার শর্করাকে ধীরে ধীরে রক্তে মেশাতে ভূমিকা রাখে। যার কারনে আমাদের রক্তে সরকার মাত্র হঠাৎ করে বেড়ে যায় না। শারীরিক সুস্থতায় আমাদের রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সকলেই হয়তো জানি।
হৃদরোগ ও স্ট্রোকের সমস্যার সমাধানে কাজ করেঃ
কাঁচা কলার উপকারিতার মধ্যে, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মত সমস্যার সমাধানও এর উপকারিতা রয়েছে। শারীরিক সুস্থতা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতন সমস্যা থেকেও সমাধান মিলতে পারে। কেননা কলায় থাকা পটাশিয়াম আমাদের হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। তাই নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ
কাঁচা কলা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাঁচা কলায় থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের, যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনন্য। কাঁচা কলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, শরীরের কোষকে ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। যারা শারীরিক বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করঃ
কাঁচা কলা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্যও উপকারী। কেননা কাঁচা কলায় থাকা, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম, আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান্ট সেরটনিন নামক হরমোন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। যা আমাদের মন ভালো রাখে এবং স্মৃতিশক্তির ক্ষয় রোধ করে, এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। কলাতে থাকা গ্লুকোজ, এবং প্রাকৃতিক শর্করা আমাদের মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অনন্য।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা।
আজকের আর্টিকেলটিতে উপরে আমরা কাঁচা কলার বেশ কিছু পুষ্টি গুণ সম্পর্কে জেনেছি। এছাড়াও কাঁচা কলা খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা ও জেনেছি। আজকের আর্টিকেলটির মূল বিষয় ছিল গর্ব অবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি। এখন আমরা জানতে চলেছি গর্ব অবস্থায় কাঁচা কলা খেলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে।
- চিকিৎসকদের মতে কাঁচা কলা গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী একটি সবজি। কলায় থাকা পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যা স্নায়ু ও মাংসপেশীর সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করে গর্ভবতী মায়েদের ইলেক্ট্রলাইটসের ভারসাম্য রক্ষা করে।
- কাঁচা কলাতে থাকা ভিটামিন বি ৬, গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কলা খাবার কে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের জন্য মস্তিষ্কের বিকাশেও সহায়তা করে এবং লাল রক্তকণিকা তৈরি করে।
- কলা ফাইবার সম্পৃক্ত হওয়ায়, এটি শরীরের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য মতন সমস্যা দূর হয়। এগুলো আমরা উপরে জেনেছি, শারীরিক সুস্থতা একজন গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদের জন্য, পেটের সমস্যার সমাধান করাটা জরুরী।
- কলা পুষ্টি উপাদানের একটি উৎস তা এখন আমরা সকলেই জানি। কাঁচা কলার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা যেগুলো জেনেছি, এগুলোর পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের জন্য বেশ কিছু বাড়তি সুবিধাও দিয়ে থাকে। কেননা কাচা কলাতে, ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায্, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার সতর্কতা।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা, কাঁচা কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য জেনেছি। এখন হয়তো আমাদের এটা বুঝতে বাকি নেই যে, গর্ব অবস্থায় মহিলাদের জন্য কাঁচা কলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে গর্ভাবস্থায় এই কাঁচা কলা খাওয়ার কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাহলে চলুন এখন জানা যাক, গর্বঅবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার সতর্কতা গুলো কাদের মেনে চলা উচিত।
- গর্ভকালীন সময় যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়। যে সকল গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস ২ নামক ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। তারা কাঁচা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন, অন্যথায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কাঁচা কলা কোনমতেই খাওয়া উচিত নয়।
- গর্ভাবস্থায় যে সফল মায়েদের, ল্যাটেক্স ফুরুট সিনড্রম জাতীয় সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই কাঁচা কলা খাওয়া, এড়িয়ে চলবেন। কেননা আপনার শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি বাচ্চার সুস্থতার দিকেও নজর দেওয়া জরুরী।
- গর্ভাবস্থায় কোন মায়ের যদি, হজমের সমস্যা থেকে থাকে, খাবার খাওয়ার পর হজমে, অনেক সময় লাগে। হজম সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা থাকে, এক্ষেত্রে কাঁচা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম। তারপরও যদি আপনি খেতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন।
- সবশেষে বলতে হয়, আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কাঁচা কলা খাবেন। গর্ভ অবস্থায় কাঁচা কলা কতটা উপকারী তা ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি। তবে কাঁচা কলা, অবশ্যই পরিমাণমতো খাবেন, অতিরিক্ত খেলে সমস্যা ও দেখা দিতে পারে।
শেষ কথা। গর্ভাবস্থায় কাচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
গর্ভ অবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে, ইতিমধ্যে আমরা বেশ কিছু তথ্য জেনেছি। গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া জরুরী। কেননা, গর্ভবতী মায়েদের পাশাপাশি তাদের বাচ্চাদেরও সুস্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হয়। শুধুমাত্র গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে নয় কাঁচা কলা আমাদের সকলের জন্যই উপকারী। আমাদের সকলেরই শারীরিক সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাঁচা কলার ভুমিকা কতটুকু তা কারোই এখন অজানা নয়। আপনার পরিবারে যদি কেউ, গর্ভবতী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই দৈনন্দিন এর খাদ্য তালিকায়, পরিমাণ মতো কাঁচা কলা খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। তবে অবশ্যই এর সতর্কতা গুলো মেনে তারপরে খাওয়াতে হবে।
গর্ভাবস্থায় যে কোন খাবার খাওয়ার জন্য আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেননা একজন গর্ভবতী মায়ের, শুধু তার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করলেই চলবে না, তার শারীরিক অবস্থা সুস্বাস্থ্য ও নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে গর্ভের বাচ্চাকে সুস্থ রাখা সম্ভব হয়। এতক্ষন মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আর্টিকেলটি, যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
(খোদা হাফেজ)
ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url