মিয়া খলিফার জীবন ইতিহাস।

আজকের আর্টিকেলটির বিষয় হল,মিয়া খলিফার জীবিন ইতিহাস সম্পর্কে। মিয়া খলিফা মূলত একজন ১৮+ সিনেমার অভিনেত্রী। তার পরিচিতি এই ১৮+ সিনেমার ক্যারিয়ার থেকে, ১৮+ সিনেমা বলতে বোঝায় পর্নোগ্রাফি সিনেমাকে। তিনি আমেরিকার লেবাননের পর্নোগ্রাফি সিনেমার একজন ব্যাপক মানের সেলিব্রেটি ছিলেন। তিনি তার বিতর্কিত  ক্যারিয়ার ও তার ব্যাক্তিগত জীবনযাপনের জন্য এই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তিনি ২০১৪ সালে পর্ন জগতে প্রবেশ করেছিলেন,তবে খুব বেশি দিন তিনি পর্নোগ্রাফি সিনেমা জগতে ছিলেন না।

miya

আজকের আর্টিকেল টিতে আপনাদের সাথে মিয়া খোলিফার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়েপ আলচনা করব। তার জন্ম,বেড়ে ওঠা ,পর্নগ্রাফিতে কিভাবে আসলো এবং এখন তিনি কি করেন ইত্যাদী। কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক মিয়া খলিফার জীবন ইতিহাস সম্পর্কে ।সম্পূর্ন আর্টিকেল টি মনযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মিয়া খলিফার জীবন ইতিহাস।

মিয়া খলিফার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা।

মিয়া খলিফার সম্পর্কে হয়তো আপনি, এটা যানেন তিনি একজন পর্ন তারকা, তবে তার ব্যাক্তিগত জীবন সম্পর্কে আপনি হয়তো জানেন না। মিয়া খলিফা ১৯৯৩ সালে  লেবাননে বৈরুতে জন্মগ্রহন করেন, তবে লেবাননে তার বেশি দিন থাকা হয়নি। তিনি তার পরিবারের সাথে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্টে চলে আসেন। তার পরিবার এবং তিনি  ক্যাথলিক ধর্মের ছিলেন,ক্যাথলিক ধর্ম হল খ্রিস্টান ধর্ম। ক্যাথলিক শব্দটি হল গ্রিক শব্দ যার অর্থ  সর্বজনীন, বলা হয়া থাকে ক্যাথলিক ধর্ম যিশু খ্রিস্টের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

কোন কোন প্রতিবেদনে দেখা যায় মিয়া খলিফার পরিবার মুসলিম ধর্মের অনুশারি ছিলেন। মিয়া খলিফা প্রথমে ভার্জিনিয়ার ম্যাসানটেড একাডেমিতে পরাশোনা করেছেন। এর পরে তিনি টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। 

মিয়া খলিফা পর্নগ্রাফি চলচিত্রে কিভাবে আসেন এবং পর্ন তারকা কত দিন ছিলেন?

মিয়া খলিফা একজন পর্নি তারকা হিসাবে বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বলা হয়ে থাকে মিয়া খলিফা ১৮+ সিনেমার একটি জনপ্রিয় নাম। তিনি খুবই অল্প বয়সে পর্নোগ্রাফি জগতে এসেছেন,তিনি যখন স্নাতক পড়েছিলেন টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন তিনি এক মার্কিন পর্নোগ্রাফি সিনেমার পরিচালকের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে তার ২১ বছর বয়সে পর্ন জগতে পা রাখেন,এবং একজন মুসলিম হিজাবী নারীর মত, হিজাব পড়ে পর্নো মুভিতে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পায়। মিয়া খলিফা তার, ১৮+ সিনেমার হিজাবী অভিনয়ের কারনে, লেবানন এবং অন্যান্য মুসলিম দেশগুল তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালচনা করেন। এবং সেই সময় তাকে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ থেকে জীবন নাশের হুমকি ও দিয়ে ছিল। 

মিয়া খলিফা নিজে, একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিল তিনি মাত্র তিন মাস পর্নোগ্রাফি অভিনেত্রী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন,এবং গুগলে সেই সময় তাকে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয়েছিল। আপনি হয়ত এখন বুজতেই পারছেন মিয়া খলিফা আসলে সামাজীকতার বাইরে, চলে গিয়েছিল। যার কারনে তার পরিবার ও তাকে ত্যাগ করে দেয়। তবে তিনি সাম্প্রতি এক সাক্ষাত কারে বলেছিলেন, আমি যখন ১৮+ সিনেমাতে অভিনয় করেছিলাম প্রথম তখন আমার নিজের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করাছিল। এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তার এই অল্প সময়ের পর্নোগ্রাফি ক্যারিয়ারে জন্য খুবই লজ্জীত এবং আনুতপ্ত।

বর্তমানে মিয়া খলিফা কি করেন?

মিয়া খলিফার জীবন ইতিহাস সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম। তিনি কোথায় জন্মগ্রহন করেন,তার ১৮+ সিনেমার ক্যারিয়ার সম্পর্কে জেনেছি। আমরা এটা ও জেনেছি তিনি খুব বেশিদিন পর্নো তারকা ছিলেন না। তবে এখন তিনি কি করছেন এ ব্যাপারে জানার ইচ্ছা হয়তো আপনার জেগেছে। তাহলে চলুন মিয়া খলিফা তার ১৮+ সিনেমার ক্যারিয়ার ছেরে বর্তমানে কি করছে তা জেনে নি। সাম্প্রতি মিয়া খলিফা একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তার জীবনের কিছু অজানা তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরন।

তার পর্নোগ্রাফি চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার খুব অল্প সময় ছিল, এবং তিনি তাও বলেন পর্নোগ্রাফি ছাড়ার পর সাধারণত কেউ খুব সহজে কাজ খুঁজে পায় না। তবে সে খুব খেলাধুলা প্রেমী মানুষ, তাই তিনি বর্তমানে তার ক্যারিয়ার একজর ক্রিয়া উপস্থাপক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এছাড়াও তিনি তার ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে বিভিন্ন সময় প্রায়ই সমসাময়িক বিষয় মতামত দেন। এছাড়াও তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতেও কথা বলেন, যেমন নারীর ক্ষমতায়ন, মধ্যপ্রাচ্যের মানবাধিকার ইস্যু এবং ফিলিস্তিনের জনগণের সমর্থনেও তিনি কথা বলেছেন। বর্তমান সময়ে মিয়া খলিফা বিভিন্ন সেলিব্রেটির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে যার কারণে তিনি আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। 

আরো পড়ূনঃ ফেসবুক কে আবিস্কার করেন এবং কত সালে?

মিয়া খলিফার বৈবাহিক জীবন।

মিয়া খলিফা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। এখন আমরা জানব, মিয়া খলিফার বৈবাহিক জীবন এবং ফ্যামিলি সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মিয়া খলিফার জীবন ইতিহাস সম্পর্কে। মিয়া খলিফা সর্বমোট দুইবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি সর্বপ্রথম ২০১১ সালে  তার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রেমিকাকে  প্রথম বিয়ে করেন, তবে খুব বেশিদিন টেকেনি। তার প্রথম বিয়ে ২০১৪ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মিয়া খলিফার প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি পর্নোগ্রাফিতে অভিনেত্রি হিসাবে যাত্রা শুরু করেন। 

এরপরে ২০১৯ সালে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন, দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন একজন শেফ কে। তিনি ছিলেন সুইডিশ সেফ রবার্ড স্যান্ডবার্গ,তবে এ বিয়েও বেশি দিন টেকেনি মাত্র এক বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০২০ সালে দ্বিতীয় বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পুয়ের্তো র‍্যাপার জাইকোর সাথে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। বর্তমানে মিয়া খলিফার কোন স্বামি নাই,নিজের মত জীবনযাপন করছেন।

মিয়া খলিফার সম্পদের পরিমান।

মিয়া খলিফার জীবন ইতিহাস সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। মিয়া খলিফা একজন পর্ন তারক এটা আমরা সবাই যানি । অনেকে মনে করে তিনি পর্নোগ্রাফি থেকে অনেক টাকা আয় করেছেন। তবে তিনি নিজেই বলেছেন যে তিনি পর্নোগ্রাফি থেকে মাত্র ১২০০০ ডলার আয় করেছিলে। এবং পরবর্তীতে যখন তিনি পর্নোগ্রাফে ছেড়ে দেন তারপর থেকে তাকে একটি টাকাও দেয়া হয়নি। ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে ধারণা করা হয়। 

তিনিই প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র জগতে কাজ ছেড়ে দেওয়ার পর এখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজেকে একজন পেশাদার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে বর্তমানে তার আয়ের উৎস হ্যালো টিকটক এবং টুইটারে স্টাইল, খাবার এবং রাজনীতি নিয়ে পোস্ট করেন এবং সেখান থেকে আয় করেন। 

শেষ কথা, মিয়া খলিফার জীবন ইতিহাস।

মিয়া খলিফা একজন পর্নোগ্রাফি তারকা হওয়ার কারণে তার ফ্যামিলি তার সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ত্যাগ করেন। তবে তিনি তার ১৮+ সিনেমার কারণে খুবই অনুতপ্ত বলে স্বীকার করেছেন। নাস্তিক সমাজে, এই পর্নোগ্রাফির মাত্রা অনেকাংশের বেশি। আমাদের যুব সমাজ এই পর্নোগ্রাফিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মিয়া খলিফা সম্পর্কে খুঁটিনাটি বেশ কিছু তথ্য আমরা জানলাম। মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন। যাতে তারা এই ভদ্র মহিলা সম্পর্কে, কিছু তথ্য জানতে পারে। কেননা বর্তমান সময় যুব সমাজের এমন  অবস্থা যে তাদের মিয়া খলিফা কে, না চেনা নয়,যাইহোক অনেক কথা বলে ফেললাম।

                             (ধন্যবাদ)








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url