আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যানুন।
আমরা সকলেই আমের সাথে সুপরিচিত, কেননা আম হলো ফলের রাজা এবং পুষ্টিগুনে ভরপুর। তবে আম হল মৌসুমী ফল। তবে আম যেমন পোস্টটি গুণে ভরপুর তেমন আমাদের শরীরের বিভিন্ন চাহিদা মেটায়। আমের আবারও একটা খারাপ দিক রয়েছে অতিরিক্ত কোন কিছুই শরীরের জন্য ভালো না। তেমনি অতিরিক্ত আম খেলে আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি।
আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে মনযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্ট টি পড়ুন।
আম খাওয়ার উপকারিতা।
১. আম পুষ্টিগুনে ভরপুর, আমে ভিটামিন এ, সি, কে, বি6, ফোলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইভার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তবে বছরের মাত্র কয়েক মাস এই ফল পাওয়া যায়। এই ফলের এত পুষ্টিগুণ রয়েছে যে মাত্র কয়েক মাস থাকলেও এটি সারা বছরের পুষ্টি উপাদান আপনাকে দিয়ে থাকে। যেটা আপনার শরীরকে সারা বছর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
আরো পড়ূনঃ লেবুর উপকারিতা ও গুনাগুন
২.আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমি থাকা ভিটামিন সি ও অনন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। নিঃসন্দেহে আম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল।
৩. হজম শক্তিতে ও আম অনন্য ভূমিকা পালন করে। আমি রয়েছে এমাইলেজ জাতীয় এনজাইম, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাইবার থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৪. চোখের জন্য আম অপরিসীম, আমি থাকা ভিটামিন- এ ও বিটা -ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫. ত্বক ও চুলের জন্য আমের গুরুত্ব অপরিসীম। আমি থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তোকে উজ্জ্বল করে এবং বলে রেখা কামায়।এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করে।
৬. মরণব্যধি ক্যান্সার প্রতিরোধে ও আমের গুরুত্ব রয়েছে। আমি থাকা কোয়ারসেটিন, এস্ট্রাগালিন ক্যান্সার সেল ও কোষ বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।
৭. আম আমাদের হৃদপিণ্ডকে ও সুরক্ষা দেয়, আমি থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুকি কমায়।
আম খাওয়া অপকারিতা ।
১. আম শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে, নিঃসন্দেহে আম একটি উপকারী ফল। কিন্তু আমি প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকায়, অতিরিক্ত খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
২. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম ক্ষতিকর, সাধারণত আম খেলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। আমের গ্লইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি থেকে বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আম একটু কম খাওয়া উচিত। বেশি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং শরীরে ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়াতে পারে।
৩. আম অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আমাদের পেটেও সমস্যা হতে পারে। আমরা যদি অতিরিক্ত পাকা আম খেয়ে ফেলি তাহলে গ্যাস্ট্রিকের মতন সমস্যা হতে পারে। কাঁচা আম অ্যাসিডিটি ও বাড়াতে পারে।
৪. কোন কোন সময় আম কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে কাঁচা আমে আক্সালেট থাকে। তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবনতা রয়েছে। তাদের জন্য কাঁচা আম বেশি খাওয়া ঠিক না।
শেস কথা ।
এতক্ষণে আম সম্পর্কে আমরা যা জানলাম, তাতে যতটুকু ই বোঝা যায় আম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। তবে এটি প্রয়োজনের বাইরে খাওয়া ঠিক না। এতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আমাদের শরীরে যত পরিমাণে আম খাওয়া উচিত তার বাইরে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। এ ব্যাপারে সর্বদা সব সময় সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে আম দিয়ে তৈরি যেকোনো ডেজার্ট খাওয়ার সময় সতর্ক থাকবেন। কারণ ডেজার্টে অনেক সময় অনেকেই আম ব্যবহার করে থাকে।
সতর্ক হলে সুস্থ থাকবেন, এ কথাটা সব সময় মাথায় রাখবেন। মনোযোগ সহকারে পোস্টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সর্বদা নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন ।
(খোদা হাফেজ)
ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url