লেবুর উপকারিতা ও গুনাগুন।
লেবু এই কথাটির সাথে আমরা সকলে পরিচিত। লেবু বেশিরভাগ ই আমাদের খাবার এর তালিকায় থাকে। তবে আমরা হয়তো অনেকে ই জানি না এর উপকারিতা এবং গুনাগুন সম্পর্কে। আজকের এই পোস্ট টি পরলে আপনি জানতে পারবেন,লেবুর উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে। মনযোগ সহকারে ব্লগটি পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ লেবুর উপকারিতা ও গুনাগুন।
- লেবুর উপকারিতা।
- লেবু ও মধু মেশানো উষ্ণ পানি।
- ঠান্ডা-কাশির জন্য লেবু ও মধু মিশ্রিত উশ্ন গরম পানি।
- লেবুর ঔষধি গুণ।
- শেষ কথা।
লেবুর উপকারিতা।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। লেবুর ভিটামিন সি শরীরের নানা উপকারে আসে। যেমন:
- ওজন কমানো, মানুষের শরীরের ওজন কমানোর কাজে লেবু সর্বদা অপারিশিম ভূমিকা পালন করে।
- রক্তের কোলেস্টেরল,লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রক্ততে থাকা কোলেস্টেরল কমানো ছাড়াও রক্তস্বল্পতা দূর করে।
- লেবুতে রয়েছে পেকটিন, খাদ্য আস, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে ওজন কমে।
- দৈনন্দিন খাবারে লোহা বা আয়রন থাকে, যা শোষণের জন্য ভিটামিন সি অনন্য ভূমিকা পালন করে। তাই খাবারের সাথে লেবু খেলে রক্তশূন্যতা অ্যানিমা প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
- গবেষণায় দেখা গেছে যে, লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
লেবু ও মধু মেশানো উষ্ণ পানি।
লেবু ও মধু মেশানো উষ্ণ পানি এই তরল পানীয় অনেকের কাছে পরিচিত আবার অনেকের কাছে অপরিচিত। ওজন কমাতে অনেকেই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে লেবু ও মধু মেশানো উষ্ণ পানি পান করে থাকে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, আর মধুতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এফেক্ট, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বলা হয়ে থাকে লেবু ও মধু একসঙ্গে হালকা গরম পানি দিয়ে খেলে ( মেটাবলিজম) সক্রিয় হয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আর এই কাজটি করার জন্য সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করে হালকা উষ্ণ গরম পানি। আর লেবুর পেকটিন অনেকক্ষণ খুদা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,তাই শরীরের ওজন কমে।
ঠান্ডা-কাশির জন্য লেবু ও মধু মিশ্রিত উশ্ন গরম পানি।
আমাদের দেশের আবহাওয়া প্রেক্ষাপটে ঠান্ডা কাশি খুব সাধারন একটা সমস্যা। যেটা যেকোনো সময় যে কোন মানুষের হতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত গরম এ ঘেমে গেলেও মানুষের ঠান্ডা কাশি হতে পারে। এক্ষেত্রে লেবু ও মধু মিশ্রিত উষ্ণ গরম পানি ঠান্ডা কাশির জন্য অনেক বড় একটা ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এই মিশ্রণ মানুষের শরীরের ত্বককে ভালো রাখার জন্য অনন্য ভূমিকা পালন করে। সঠিক জীবনযাত্রায়,হাটা ও ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুষম খাবার গ্রহণ করা ছাড়া শুধু লেবু মিশ্রিত মধু পানি খেলে ওজন কমানো সম্ভব। এছাড়াও, মাইগ্রেনের সমস্যাও বেশ কার্যকর এই মিশ্রণটি। আমাদের হরহামেশা ই রোদে পড়তে হয়। যখন আমরা রোদে যাই রোড থেকে আসার পরে লেবু ও মধু মিশ্রিত পানি খেলে, এটা মাইগ্রেনের জন্য বেশ কার্যকর।
আর পড়ুনঃ আমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যানুন।
এছাড়াও যারা কাজ বেশি করেন মস্তিষ্ক নির্ভর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।তারাও এই মিশ্রণটি খেলে অনেক উপকার পাবেন। ঠান্ডা কাশির জন্য তো এটা বেস্ট।
লেবুর ঔষধি গুণ।
লেবুর অনেক ওষুধি গুণ রয়েছে। লেবু যদি মুরগির সোপের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে শরীরের দুর্বলতা কমে। মরণব্যাধি ক্যান্সার বা অস্ত্র পাচারের পর এভাবে সুখ খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। খেলাধুলার পর লেবুর শরবত খেলে শরীরে ইলেক্ট্রলাইটসের ভারসাম্য রক্ষা হয়। তবে সবথেকে ভালো ফলাফল পাওয়ার যন্য একেবারে একটা আস্ত লেবু বা অনেকগুলো লেবু একসঙ্গে খেয়ে ফেলা মোটেও ঠিক না। মনে রাখবেন মনে রাখবেন অতিরিক্ত কোন কিছু শরীরের জন্য ভালো নয়।
শেষ কথা।
লেবু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত। এতক্ষণ লেবুর গুনাগুন ও কার্যকরী তার কথা জানতে পারলেন। লেবু আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। তবে এটি ব্যবহারে একটি মাত্রা থাকতে হবে। আমাদের সকলের উচিত প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে লেবু রাখা। কারণ ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে লেবুতে রয়েছে। মনে রাখবেন আমাদের শরিরের প্রাকৃতিক ঘাটতি পুরনে লেবু আপ্রিশিম ভুমিকা পালন করে।এক কথায় লেবু খান সুস্থ থাকুন।
মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, সব সময় নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন,।
(খোদা হাফেজ)
ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url