ত্বক ফর্সা করার উপায় জানুন

সুন্দর ত্বক কে না চায়, তবে আমাদের এক একজনের গায়ের রং জন্মগতভাবে এক এক রকম। এদের মধ্যে কেউ ফর্সা, কেউবা শ্যামলা, কেউবা কাল। গায়ের রং কার কালো হলে, তা নিয়ে মন খারাপ করে অনেকেই। আবার আরেকটু উজ্জ্বলতা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে অনেকের, এর জন্য অনেক সময় অনেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নানা ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। তবে আমাদের সব সময় মাথা রাখতে হবে, অনেক ব্রান্ডের ক্রিম কেমিক্যালযুক্ত হওয়ার কারনে, তা আমাদের ত্বকের জন্য সব সময় উপকারী নাও হতে পারে।

twk

তবে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করার, পদ্বতি ব্যবহার করা ১০০% নিরাপদ। প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের যত্ন নিলে এর ফলাফল আপনি বেশ ভালো পাবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক, ত্বক ফর্সা করা প্রাকৃতিক উপায় সমূহ, মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ  ত্বক ফর্সা করার উপায় জানুন।

পেঁপে ও ডিমের উপকরণ। 

পেঁপে ও ডিমের সঙ্গে কিছু উপকরণ মিলিয়ে আপনি বানিয়ে নিতে পারেন মাস্ক। পেঁপে আর ডিম একসঙ্গে ব্যবহার করলে ত্বকের রং আস্তে আস্তে ফর্সা ও হালকা হবে। তার সঙ্গে আসবে একটা সুন্দর উজ্জ্বল ভা, ডিমে থাকা প্রোটিন ত্বক টানটান রাখবে। এর সঙ্গে যখন দই যোগ হবে তখন তা আপনার স্কিনকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক এই ফেসপ্যাক কিভাবে বানাবেন।

প্রথমে ২ চামচ পেঁপের রস নিন তার সাথে, ২ চামচ দই, ৪ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার,          গ্লিসারিন, ৩ চামচ আমন্ড অয়েল ও ১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন। গ্লিসারিন আর ডিম ছাড়া বাকি সবকটি উপকরণ, একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। কতক্ষণ মেশানোর পরে এটি একটি ঘন পেস্ট এর মত তৈরি হবে। তারপরে এটি ২ ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। ২ ঘন্টা পর বের করে এবার এর সাথে গ্লিসারিন ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন।

মাথায় রাখবেন এটা খুব ভালোভাবে মেশাতে হবে, সুন্দরভাবে মেশানোর পরে এবার এই পেস্ট আপনার মুখে মাখুন, সুন্দরভাবে মুখে মাখা হয়ে গেলে রেখে দিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলু, এটা করে যখন আপনি আপনার ফলাফলটা দেখতে পারবেন, তখন নিজেই এর কার্যকারিতা বুঝে ফেললেন। 

বেসন ও লেবুর রসের মিশ্রণ। 

সুন্দর ত্বকের জন্য বেসন ও লেবুর রসের মিশ্রণের ভূমিকা অপরিসীম। ত্বকের জন্য যেমন বেসন বেশ উপকারী তবে এর পাশাপাশি লেবু খুব ভালোভাবে ত্বককে পরিষ্কার করে। মিশ্রণটি যেভাবে তৈরি করবেন। 

৩ চামচ বেসন, ২ চামচ লেবুর রস, এক চামচ হলুদ গুঁড়া ও সামান্য গোলাপ জল নিতে হবে। তারপর সবগুলো একটা পাত্রে নিন, এরপর সবগুলো উপকরণ সুন্দরভাবে মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি সুন্দরভাবে আপনার মুখে মাখুন, এরপর ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে এবারে হালকা গরম পানি নিয়ে সমস্ত মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলুন।

এই মিশ্রনের উপকরণ আপনি সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন, হলুদ আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে আর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান কোনরকম দাগ হতে দেবে না। এটাও অনেক ভালো একটি উপাদান। 

মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ। 

লেবু আমাদের ত্বকের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে, সেটা আমরা সবাই জানি। তবে এর সঙ্গে মধু  মেশালে  তা আমাদের, মুখের সৌন্দর্যের মশ্চারাইজ করে। তাই মধু আর লেবুর রসের মিশ্রনের উপকরণ আমাদের ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী হবে, চলুন এই মিশ্রণ তৈরি পদ্ধতি জানা যাক। 

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, এবং মেয়েদের দ্রুত ওজন বাড়ার কারন?

প্রথমে দুই চামচ মধু, সঙ্গে ২ চামচ লেবুর রস নেই, দুটি উপকরণ সুন্দরভাবে মেশাতে হবে। কিছুক্ষণ মেশানোর পরে উপকরণটি সমস্ত মুখে মেখে নিতে হবে, তারপর তারিখে দিতে হবে মিনিমাম ২০ মিনিট। এরপর হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, আপনি চাইলে সপ্তাহে দুই তিন দিন এটা করতে পারেন, ফলাফল আপনি ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন। 

দুধ আর লেবুর রসের মিশ্রণ।

দুধ আমাদের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর একটি অনন্য উপাদান, তবে আমরা হয়তো অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা, যে দুধ ও লেবুর সাথে আরো অন্য দুটি উপকরণ মিলিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ত্বকের যত্নের এই অনন্য উপকরণ। দুধ আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বড় ভূমিকে রাখে। দুধ ত্বককে পরিষ্কার করে এবং নরম রাখতে ভূমিকা রাখে, চলুন জানা যায় এই মিশ্রণটি কিভাবে তৈরি করবেন।

প্রথমে ২ চামচ দুধ, ২ চামচ লেবুর রস, দুই চামচ মধু ও কিছু পরিমানে হলুদের গুড়া নিন। তারপর সবগুলো উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে কিছুক্ষণ ভালো করে মেশান। ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে তারপর তা মুখে মেখে নিন। কিছুক্ষণ শুকাতে দিন তারপর হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা করার পরে আপনি সঙ্গে সঙ্গে এর ফলাফল দেখতে পাবেন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এটি অনেক ভালো ভূমিকা রাখবে।

শেষ কথা। ত্বক ফর্সা করার উপায়।

এতক্ষণ আমরা ত্বক ফর্সা করার অনেক উপকরণ সম্পর্কে জানলা, সব সময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে ফর্সা হওয়ার জন্য কেমিক্যাল যুক্ত, কোন ক্রিম বা লোশন যেন ব্যবহার না করি। তবে একদমই যে ত্রিম ও লোশন ব্যবহার করা যাবে না ব্যাপারটা এমন নয়। অবশ্যই আপনি ভালো প্রোডাক্ট বেঁচে ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করবে না। 

না বুঝে কোন খারাপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে বিপদে না পরেন সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তবে আপনি চাইলে ত্বকের যত্নে এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা পাবেন এবং কোন প্রকার সমস্যা সম্মুখীন হবেন  না। এতক্ষণ মনযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আর্টিকেলটি ভাল লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।

                           (খোদা হাফেজ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url