ফ্রিলান্সিংয়ের জন্য সেরা ৪ টি ল্যাপটপ।
আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ খুব কম ল্যাপটপ এর সাথে সম্পর্কিত। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই স্মার্ট ফোন তথা মোবাইল ফোনের সাথে পরিচিত। আমরা হয়তো অনেকেই জানি অনলাইন থেকে ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। আমরা যদি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের ল্যাপটপ সম্পর্কে জানতে হবে।
আর আপনি যদি অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ল্যাপটপ প্রয়োজন। চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে চারটি ল্যাপটপ আপনার জন্য ভাল হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্রিলান্সিংয়ের জন্য সেরা ৪ টি ল্যাপটপ।
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ল্যাপটপ কোনটি জানুন।
বর্তমানে আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং খুব জনপ্রিয় একটি পেশা। আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষই আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আর আপনি যদি ফ্রান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি ল্যাপটপে প্রয়োজন। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কোন ল্যাপটপটি ভালো হবে।
1.Lenovo Ideapad Slim3 15IRH8 intel i7:
এই ল্যাপটপ টিতে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে intel core i7 এবং এটি হল 13 th জেনারেশনের ল্যাপটপ। এটিতে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চিপ। এবং এর সাহায্যে আপনি মাল্টি টাস্কিন, ভিডিও এডিটিং ও গ্রাফিক ডিজাইন সহ অন্যান্য কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারবেন। সাধারণত গ্রাফিক্সের কাজ করতে একটি অনন্য ভূমিকরা পালন করে। যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের শক্ত কাজগুলো করতে চান যেমন, ডাটা এনালিট্রিক্স এবং কোডিং এর জন্য এটি অনেক ভালো মনের ল্যাপটপ।
ল্যাপটপের ডিসপ্লে পাচ্ছেন আপনি ১৫.৬ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে। এতে করে আপনার চোখে কোন প্রকার অসুস্থিতি তৈরি করবে না। আর্টিক গেরে রং এর কারণে এটি দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে। এছাড়াও এই ল্যাপটপটি অনেক বেশি স্লিম। তাছাড়াও এর কম্প্যাক্ট লাইট ওয়েট ডিজাইনের কারণে এটি বহনে অনেক সুবিধা। এতে রয়েছে ১৬ জিবি র্যাম সাথে ৫১২ জিবি এসএসডি স্টোরেজ। এতে করে আপনি আপনার ছবি ফাইল ভিডিও সহ অন্যান্য তথ্য খুব সহজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।যেহেতু আপনার ল্যাপটপটি খুব আপডেট পাওয়ারফুল এর জন্য আপনার কোন সাইড লোড নিতে, খুব কম সময় লাগবে। তাছাড়া এই ল্যাপটপে NVMe SSD রয়েছেন যার কারণে আপনার ল্যাপটপে খুব ভালো এবং দ্রুত কাজ করে। এই ল্যাপটপে আপনি যদি একাধিক ব্রাউজার ট্যাপ ওপেন করেন সাথে অনেকগুলো সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তাহলে হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম রয়েছে।
Lenovo Ideapad Slim3 15IRH8 i7, lenovo এই ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। এর ফলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে আপনার কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে পারবেন। বিদ্যুৎ ছাড়া আপনি ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন। আবার এর কানেক্টিভিটি অপশন গুলো অনেক বারতি সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন, USB, HDMi Wif। যেহেতু ফ্রিলান্সিং করার জন্য অনেক সময় আমাদের অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স করতে হয়, অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স এর জন্য এটা অনেক ভূমিকা রাখে। সর্বোপরি এর উচ্চ ক্ষমতা পর্যাপ্ত স্টোরেজ ও বড় ডিসপ্লে আপনার কাজকে আরো সহজ করে তুলবে।
2. Lenovo Ideapad Slim3 15IRH8 i5 lenovo:
Lenovo এই ল্যাপটপ এর মডেল হল, Lenovo Ideapad Slim 3 15IRH8 15" intel i5 13420H। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এই ল্যাপটপটি বেশ ভালো। এতে ১৬ জিবি র্যাম রয়েছে। মাঝারি দামের ক্ষেত্রে এই ল্যাপটপটি খুবই জনপ্রিয়। এক কথায় দামে কম মনে ভালো এমন একটা প্রোডাক্ট। এই ল্যাপটপে intel core i5 এর 13 thr Genaration প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এই ল্যাপটপ টি আপনার মাল্টি টাস্কিং ভিডিও কনফারেন্স এবং ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। এতে Integrated UHD গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে আপনি গ্রাফিস্ক ডিজাইন, লাইট ভিডিও এবং ফটোশপের কাজগুলো খুব ভালোভাবে করতে পারবেন।
এতে ১৬ জিবি র্যাম এর সাথে ৫১২gb এসএসডি স্টোরেজ রয়েছে। যেটাতে আপনার ভিডিও সহ অন্য প্রয়োজনিও ফাইলগুলো খুব সহজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। এই ল্যাপটপে আপনি অনেক সময় ব্যাটারি সাপোর্ট পাবেন। তার সাথে এর আকর্ষণীয় রং ও স্লিম এর জন্য এটা আরো আকর্ষণীয় লাগে। এই ল্যাপটপের আপনি ডিসপ্লে পেয়ে যাবেন ১৬.৬ ইঞ্চি এইচডি ডিসপ্লে। যেটা আপনার কাজের জন্য পর্যাপ্ত, ল্যাপটপ টি পাতলা হওয়ার জন্য আপনি সহজে বহন করতে পারবেন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর একজন রাইটার বা ডিজিটাল মার্কেটার ও মিডিয়া ম্যানেজার এর অন্যান্য কাজগুলো করে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য এই ল্যাপটপটি অনেক ভালো মানের হবে।
3. HP Probook 440 G9 intel i5 1235U:
এই ল্যাপটপ টি ফ্রিল্যান্সিং করার এবং সহজে বহন করার জন্য বেশ জনপ্রিয়। এটা ১২ তম জেনারাশন এর intel i5,,10 core এবং ১২১ Thrred ক্ষমতার সম্পূর্ণ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এই ল্যাপটপ দিয়ে আপনি মাল্টি টাস্কিং করতে পারবেন। তাছাড়া অনেক জটিল কাজ যেমন, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, ডকুমেন্ট তৈরি করা, ওয়েব ব্রাউজিং এর কাজ আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। তার সাথে এতে লাইট গ্রাফিক্স যেমন, ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং এবং সাধারণ গ্রাফিক্সের কাজ খুব সহজেই করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা কিছু স্মার্টফোন।
এতে ৩৩০০ মেগাওয়াট শক্তি সম্পন্ন ১৬ জিবি DDR4 Ram ব্যাবহার করা হয়েছে। যার সাহায্যে আপনি অনেক সহজেই মাল্টি টাস্কিং ও অনেকগুলো ব্রাউজিং একসঙ্গে করতে পারবেন। এতে ৫১২ জিবি এসএসডি স্টোরেজ রয়েছে যেটা আপনার ফাইল ভিডিও অডিওসহ আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো খুব সহজেই সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। এপ্লিকেশন লোড ও সাইটের গতি বৃদ্ধি করতে পারবেন সহজেই। এই ল্যাপটপে রুপালি রংয়ের ফিনিশিং রয়েছে যেটা ল্যাপটপটাকে আরো সুন্দর দেখানোর জন্য পারফেক্ট। এই ল্যাপটপের স্লিম ডিজাইন ও আকর্ষণীয় ডিজাইন, শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ও দীর্ঘ সময় ব্যাটারি ব্যাকআপের জন্য ল্যাপটপটি আপনি নিতে পারেন।
4. Del Vostro 3520 15.6" intel i7 1235U :
Del ব্র্যান্ডের এই ল্যাপটপটি দিয়ে আপনি দৈনন্দিন সকল কাজকর্মগুলো করতে পারবেন। এটিতে ১২ তম জেনারেশন ইন্টেল i5 এর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। সাথে ইন্টিগ্রেটেড প্রসেসর হিসেবে থাকছে ইন্টেল UHD Graphics এর ফলে আপনি সাধারণ গ্রাফিক্স এর কাজ যেমন, ফটো এডিটিং , ভিডিও এডিটিং, মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট প্লে ইত্যাদি কাজগুলো খুব সহজে করতে পারবেন। সাথে মাল্টি টাস্কিন করতে পারবেন এতে করে কন প্রকার হ্যাকিং এর শিকার হবেন নাহ। এতে ১৬ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি এস এস ডি স্টোরেজ পেয়ে যাবেন। যার মধ্যে আপনি আপনার পছন্দের ফাইল ভিডিও সহ বিভিন্ন্য গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
এতে ১৫ ইঞ্চে ডিসপ্লে রয়েছে এইচডি। এতে থাকা ডিসপ্লে আপনার চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করবে। তার সাথে পেয়ে যাচ্ছেন লং লাস্টিং ব্যাটারি ব্যাকআপ যেটা আপনাকে বিদ্যুৎ ছাড়া ৫ থেকে ৬ ঘন্টা একটানা কাজ করতে পারবেন। এই ল্যাপটপ বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। তবে এর স্লিম ডিজাইন কারণে এটাকে আরো আকর্ষণীয় লাগে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কম বাজেটের মধ্যে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। কারণ এতো শক্তিশালী প্রসেসর আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং খুব পাতলা হওয়ার কারণে সব ক্ষেত্রে আপনাকে সুবিধা প্রদান করবে। আপনার দৈনন্দিন কাজ ও পেশাগত ভাবে আপনাকে দক্ষ বানানোর জন্য এটি অপরিশিম ভুমিকা পালন করবে।
শেষ কথা। ফ্রিলান্সিং এর জন্য সেরা ৪ টি ল্যাপটপ।
আমরা যদি ফ্রিলান্সিং ক্যারিয়ার বেছে নিতে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদের ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে। শখের জন্য ও ল্যাপটপ কেনে মানুষ, শুধুমাত্র এটা চিন্তা করে আমার একটা ল্যাপটপ থাকুক। তবে আমরা একটা কথা সব সময় চিন্তা করি, কি ল্যাপটপ কিনবো কেমন হবে এবং এর সার্ভিস কেমন পাব।
ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমন, আপনি যে কোম্পানির ল্যাপটপ কেনেন না কেন যদি এর র্যাম প্রসেসর ভালো মানের হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ভালো সার্ভিসটাই পাবেন। কোন কোম্পানি চায়না তার প্রোডাক্টটি খারাপ হোক। তবে আমরা যদি বুঝে কিনতে পারি জেনে কিনতে পারি, র্যাম প্রসেসর এবং ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড দেখে কিনতে পরি তাহলেই ভাল মানের সার্ভিস পাওয়া সম্বব।
মনে করেন, আপনি আমাদের বাংলাদেশী কোম্পানি ওয়ালটন থেকে একটি ল্যাপটপ কিনেছেন। একটু বেশি বাজেটের মধ্য দিয়ে সেখানে র্যাম প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স কার্ড ভালো মানের দেখে। তাহলেও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি করতে পারবেন। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।
এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্ট টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাধ। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
{ খোদা হাফেজ }
ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url