ছাত্র অবস্থায় ঘরে বসে ইনকামের উপায় জানুন।
আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই দারিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের হয়ে থাকে। তাই পরিবারের সন্তানদেরকে মানুষ করতে অনেক সময় পরিবারকে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সন্তানেরা আছে এমন শুধুমাত্র টাকার অভাবে পড়ালেখা করতে পারে না। মাঝপথেই ছেড়ে দিতে হয় পড়ালেখা ধরতে হয় সংসারের হাল। এর মধ্যে মেয়েরাও অতপ্রতভাবে জড়িত কেননা, অনেক সময় দেখা যায় পরিবারের মেয়েদেরকে বাল্যবিবাহ দিয়ে দেয়া হয়,শুধুমাত্র অর্থের অভাবে। আমাদের দেশে এমন অনেক মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রী রয়েছে যারা শুধুমাত্র টাকার অভাবে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। ছেলেদের ধরতে হয় সংসারের হাল এবং মেয়েদের করতে হয় সংসার।
চলুন আমরা জেনে নেই, ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করে কিভাবে নিজের পড়াশুনার খরচ চালাবেন এবং তার সাথে পরিবারকেও সহযোগিতা করতে পারবেন। এবং নিজের স্বপ্নগুলো কিভাবে পূরণ করতে পারবেন তা জানাবো আজকের এই পোস্টটিতে। মনোযোগ সহকারে পোষ্টটি পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- ছাত্র অবস্থায় ইনকাম কেন করব।
- ছাত্র অবস্থায় ইনকামের উপায়।
- অনলাইন থেকে ইনকামের মাধ্যমে।
- ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি।
- ফ্রিল্যান্সিং শিখে ছাত্র অবস্থায় আয় করা।
- ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে ইনকামের উপায়।
- ছাত্রদের জন্য বিনামূল্যে ইনকাম শেখার অনলাইন প্লাটফর্ম।
- লেখকের শেষ কথা।
ছাত্র অবস্থায় ইনকাম কেন করব।
আপনি যদি এই প্রশ্নটা করেন যে ছাত্র অবস্থায় ইনকাম কেন করব। তখন তো পড়াশোনায় মনোযোগী থাকতে হবে। হ্যাঁ আপনার প্রশ্নটিই সঠিক, তবে আপনার এই প্রশ্নটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যে সমস্ত পরিবারগুলো সচ্ছল তাদের বাচ্চাদের লালন পালন করতে কোন প্রকার অসুবিধা হয় না, তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য এই প্রশ্নটা ঠিক আছে। যেখানে হাজারো ছাত্র-ছাত্রীরা অর্থের অভাবে তাদের পড়াশুনা সম্পূর্ণ করতে পারেনা মাঝপথে ছেড়ে দিতে হয়। তাদের জন্য অবশ্যই উচিত ছাত্র অবস্থায় চেষ্টা করা। যাতে করে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারে সাথে পড়াশোনার খরচ এবং ফ্যামিলির পাশে দাঁড়াতে পারে।
আমাদের দেশে, একটা কমন ইনকাম এর জায়গা রয়েছে, যেটা হলো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। আপনি যদি ওইখানে যান তাহলে অবশ্যই দেখতে পাবেন অল্প বয়সে ছেলে মেয়ে বেশি কাজ করে। এরা কোন না কোন সময়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রী ছিল। আপনি যদি এটা জানেন যে ছাত্র অবস্থায় আপনি ঘরে বসে কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে হয়তো আপনার গার্মেন্টস এর মত জায়গায় চাকরি খুঁজতে হবে না আপনার পড়াশোনা বাদ দিয়ে। আপনি যদি চান ছাত্র অবস্থায় পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করবেন তাহলে আমি বলব আপনার জন্য সবথেকে বেস্ট অপশন হবে ফ্রিল্যান্সিং করা। এতে করে আপনি নিজেও সচ্ছল হতে পারবেন ফ্যামিলির পাশে দাঁড়াতে পারবেন।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, কিভাবে ও কোন কোন উপায়ে ছাত্র অবস্থায় বাংলাদেশে ইনকাম করতে পারবেন তা জেনে নেওয়া যাক।
ছাত্র অবস্থায় ইনকামের উপায়।
আমরা যে শুধুমাত্র ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করব ব্যাপারটা এমন না। আপনি ধরুন পড়ালেখা করেন সে ক্ষেত্রে, আপনার ফ্যামিলি সুন্দরভাবে আপনার পড়ালেখার খরচ বহন করতে সক্ষম। লেখাপড়া শেষে আপনার অবশ্যই একটা চাকরি করতে হবে। নিজের জীবনের ইতি আপনার নিজেকেই টানতে হবে। মনে রাখবেন আপনার জীবন আপনারই, চলুন জেনে নেওয়া যাক সাতটা অবস্থায় ইনকামের উপায়।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করতে চায়। তারা চায় নিজের খরচ নিজে চালাতে এবং ফ্যামিলিকে সাহায্য করতে। তবে একজন ছাত্র যদি কঠোর পরিশ্রম করে ইনকাম করতে চায় তাহলে হয়তো তার পড়ালেখায় অনেকটা ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই আমাদের জানা প্রয়জন খুব সহজে কিভাবে ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করতে পারব। আমি আবারও বলছি আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন যে আপনি চাইলে ছাত্র অবস্থায় কিভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন এবং ফ্যামিলির পাশে দাঁড়াতে পারবেন। এটা শুধুমাত্র অনলাইন থেকে সম্ভব। কেননা আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকামের মাধ্যম গুলো জানেন। তাহলে আপনার জন্য যেমন ইনকাম টা সহজ হবে তেমন আপনার পড়াশোনায় কোন অসুবিধা সৃষ্টি হবে না।
আগে ছাত্র অবস্থায় ইনকামের সবথেকে মূখ্য উপায় ছিল টিউশনি করানো। তবে আপনার আমার সবারই বুঝতে হবে সবাই যে টিউশনি করে ইনকাম করতে পারবে এমনটা তো নয়। একটা কথা মাথায় রাখবেন বোঝার ক্ষমতা সবাই রাখে কিন্তু বোঝানোর ক্ষমতা সবার থাকে না। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় অনলাইন থেকে ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করা অনেক ভালো একটা মাধ্যম।
অনলাইন থেকে ইনকামের মাধ্যমে।
আপনি মনে করেন আপনার বাসায় একটি কম্পিউটার আছে। সেখানে আপনি কি করছেন মুভি দেখছেন কার্টুন দেখছেন ইত্যাদি এগুলো দিয়ে সময় পার করছেন। আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন আপনি যদি মোটামুটি ইংরেজি জানেন এবং টাইপিং করতে পারেন। তাহলে অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমন, fiver, upwork, freelancer ইত্যাদি। এই মার্কেটগুলোতে ছোট ছোট কাজ পাওয়া যায় যেমন, কনটেন্ট লেখা, ডিজাইন করা, ভিডিও এডিটিং করা এবং ওয়েবসাইট মেইন্টেনের মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব।
আপনি যদি মোবাইল থেকে ভালো ছবি এবং ভিডিও করে ইউটিউবে ও ফেসবুকে আপলোড করেন। তাতেও কিন্তু একটা সময় আপনি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। আবার যারা ভালো করে কথা বলতে পারে, তারা ভয়েস ওভার বা ব্রডকাস্ট এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই আবার অনলাইনে টিচিং করে ইনকাম করে থাকে। আপনি যদি কোন ব্যাপারে দক্ষ হয়ে থাকেন, সেগুলো আপনি অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে অন্য মানুষদের শিখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে বেশ কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে আপনি কুইজ খেলে বা টাচ করে কয়েন জমিয়ে সেগুলো দিয়ে মোবাইল রিচার্জ এবং বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারেন।
অনলাইন থেকে আরও একটি ইনকামের সহজ উপায় হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। এটা হল দারাজ, অ্যামাজন বা আলিবাবার প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করে তার কমিশন নিয়ে ইনকাম করতে পাড়া। এভাবে আপনি অনলাইন থেকে অনেক উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে এতে করে আপনার পড়ালেখা যাতে কোন ক্ষতি না হয়, এ ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। প্রথমে আপনার শুরু করতে হবে তারপর ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে ইনকাম করতে হবে। এক কথায় বলা যায় চেষ্টা করলেই সবকিছুই সম্ভব।
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার পদ্ধতি।
অনেক মানুষ রয়েছে যারা ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে চাই। আর এই অনলাইন ইনকামের সবথেকে বড় মাধ্যম হলো ফিন্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করে আমাদের দেশের অনেক মানুষ বেগরত্ব দূর করতে সক্ষম হয়েছে। তারা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে নিজের ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে পারছে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন তাহলে এটা আপনার জন্য যেমন উপকারী হবে তেমনি আপনার ফ্যামিলির পাশেও দাঁড়াতে সাহায্য করবে। আপনি বুঝতেই পারছেন তাহলে ছাত্র অবস্থায় অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপকারিতা আসলে কতটুকু।
আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ফেসবুক পেজ সেট আপ ইত্যাদি কাজগুলো জেনে থাকেন। তাহলে খুব সহজেই মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আবার যারা মোবাইল বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে ভালো মানের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলে কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন, যেমন টিউটোরিয়াল রিভিউ, ছোট ছোট ব্লগ অথবা গানের কভার দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য কিছুটা সময় লাগে, যদি আপনি সময় নিয়ে ঠিকঠাকমতো মনোযোগ সহকারে এই কাজগুলো করতে পারেন তাহলে আপনি একটা সময় সার্থকতা অবশ্যই পাবেন।
এছাড়াও অনলাইনে টিউশনি করিয়ে ইনকাম করা সহজ। এটি একটি জনপ্রিয় ও সম্মানজনক কাজ। আপনি যদি কোন ব্যাপারে ভালো বোঝেন এবং তা বোঝাতে পারেন তাহলে ছোট ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে টিউশনির মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেক গার্জিয়ানই বাসায় টিচার আনতে চায় না। তারা অনলাইনে ভালো মানের টিচার খোঁজে তাদের বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য। আরো একটি উপায় রয়েছে ডাটা এন্ট্রি বা মাইক্রোটাস্কের কাজ। আবারো আপনি যদি চান ফেসবুক পেজ খুলে প্রোডাক্ট রিভিউ, ফানি ভিডিও এবং শিক্ষনীয় পোস্ট বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখে ছাত্র অবস্থায় আয় করা।
প্রথম অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখার জন্য অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়। এবং এটি সিখতে ও একটু সময় প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ভালভাবে শিখে ফেলেন এবং মার্কেটপ্লেসে কাজ করা শুরু করেন, ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়ে। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে আপনি আপনার অর্ডার বেশি করে পাবেন এবং অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যেটা আপনার জীবন গঠনে অনন্য ভূমিকা রাখবে। আপনি সর্বদা মাথায় রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখার জন্য সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। তবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারলে এর ফলটা অতীব মিষ্টি, আপনি যে শুধুমাত্র ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করবেন ব্যাপারটা এমন না, আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখে ইনকাম করতে পারলে এটা আপনার সারা জীবনের জন্য কাজে দেবে। যাতে করে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে ইনকামের উপায়।
বর্তমানে আমাদের ডিজিটাল যুগে Facebook আর youtube শুধু বিনোদনের মাধ্যমেই নয় বরং ইনকাম করার এক বড় সুযোগ তৈরি করেছে। ছাত্র অবস্থায় একটু বুদ্ধি খাটালে, ফেসবুকে এবং youtube থেকে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। ধরুন আপনি মোবাইল থেকে খুব সুন্দর ভিডিও বানাতে পারেন। এখন আপনি যদি ভালো ভালো শিক্ষণীয় ভিডিও, বই রিভিউ, ছোট ছোট কনটেন্ট, অথবা অনলাইন টিপ ইত্যাদি ফেসবুক পেজে অথবা ইউটিউবে আপলোড করলে। এবং নিয়মিত এইভাবে ভিডিও বানিয়ে ছাড়লে একটা সময় আপনি মনিটাইজেশন চালু করে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার পরিশ্রম এবং ধৈর্যের প্রয়োজন পড়বে।
একই ভাবে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও বানাতে হবে। প্রথমে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং চার হাজার ঘন্টাও ওয়াচ টাইম হলে, ইউটিউব আপনাকে ইনকাম করার সুযোগ করে দিবে। আপনার ভিডিও হতে পারে টিউটোরিয়াল, ট্রাভেল ভিডিও, মজার রেসিপি অথবা নিজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন যেকোন ভিডিও। দুই জায়গাতেই ব্রান্ড প্রোমোশন অথবা এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকেও টাকা ইনকাম করা যায়। সবশেষে বলা যায় মোবাইল থাকলে এই কাজগুলো শুরু করা যাবে। তবে নিয়মিত ভিডিও বানিয়ে যেতে হবে। দেখা যাবে একটা সময় এটাই আপনার ইনকামের বড় একটি উৎস হয়ে উঠেছে।
ছাত্রদের জন্য বিনামূল্যে ইনকাম শেখার অনলাইন প্লাটফর্ম।
বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক ছাত্রছাত্রী তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়াতে পড়াশোনার পাশাপাশি ইনকাম করতে আগ্রহী। তবে এর বড় একটা সমস্যা হচ্ছে অনেকে জানেনই না কোথায় থেকে শুরু করতে হবে এবং কোর্সের দাম অনেক বেশি, যার ফলে সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তবে বর্তমানে বিশ্বস্ত কিছু অনলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে, যেগুলো একদম বিনামূল্যে ইনকামের স্কিল শিখিয়ে থাকে। যেমন, গুগল ডিজিটাল গ্যারেজ এখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং, data Analytics, বেসিক কোডিং সহ নানা ধরনের কোর্স করতে পারবেন।
পরে আরেকটি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে youtube। যেখানে বাংলা ভাষায় ফ্রিল্যান্সিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং এবং ভিডিও এডিটিং সহ প্রায় সব বিষয়ের টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে 10 মিনিট স্কুল শিখো এবং বহুব্রীহি এই সমস্ত প্ল্যাটফর্ম গুলো। এখানে আপনি অনেকগুলো ফ্রি কোর্স পেয়ে যাবেন। যা ছাত্রদের জন্য উপযোগী এবং উপকারী। সবশেষে বলা যায়, নিজের একটু ধৈর্য শক্তি এবং ইচ্ছে থাকলে আপনি বিনা খরচে স্কেল শিখে আয় করতে পারেন তাও আবার ঘরে বসে।
লেখকের শেষ কথা।
আমরা ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করার বেশ কিছু উপায় জানলাম বাংলাদেশের। ইনকাম আমরা কেন করব, কোন মাধ্যম থেকে ইনকাম করা সম্ভব। এবং ফ্রিতে যে প্লাটফর্ম গুলো দিয়ে স্কীল শিখে ইনকাম করা যায় সেগুলো জানলাম। অনলাইনে ক্লাস করিও ইনকাম করা যায়। সবকিছুই আমরা জানলাম তবে এখানে মজার বিষয় কি জানেন। আপনি যদি অনলাইন ইনকামের যেকোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হন তাহলে এটা আপনার সারা জীবনের সঙ্গী হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত এবং স্বাধীন পেশা। তবে একটা মানুষ যদি দক্ষ হয় ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যাপারে তাহলে বেশ ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব। যেটা হয়তো অনেক সরকারি চাকরিজীবীও করতে পারবে না।
তাই আমাদের বুঝতে আর বাকি নাই যে। ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করা অনলাইন থেকে আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যেকেরই অবশ্যই উচিত পড়ালেখার পাশাপাশি অবশ্যই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা। যাতে করে নিজের পড়াশোনা খরচ নিতে চালানো যায় এবং ফ্যামিলিকে ও সাহায্য করা যায়।
সব সময় বিবেক খাটিয়ে কাজ করবেন। সমাজে ভালো থাকতে পারবেন। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পোস্টে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ"।
ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url