করলার উপকারিতা কি?

করলার কথা শুনতেই ,মনে পরে এর তিতে স্বদের কথা। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানি ,আবার অনেকেই জানি নাহ ,করলা  তিতে হলেও এর পুস্টি উপাদান আন্যন্য। পস্টিগুনে ভরপুর করলা মেটাতে পারে আমাদের শরিরের নানাবিধ পুস্টির চাহিদা। তার সাথে রোগ প্রতিরোধ খমতা এবং সংক্রমনের বিরূদ্বে লরাই করার জন্য এই সবজির ভুমিকা আপরিশীম। করলা তিতে স্বাদের সবজি হওয়ার করনে ডাইবেটিস রগিদের জন্য একটি আদর্শ খাবার।


আলু খাওয়ার উপকারিতা জানতে এখানে ক্লিক করুন।এক কথায় করলাকে আমরা সুপার পুড হিসাবেও বিবেচনা করতে পারি। তাহলে কথা না বারিয়ে চলুন, করলার উপকারিতা কি সেগুলো পর্যায়ক্রমে জানার চেস্টা করি। মনোজোগ সহকারে আর্টিকেল টি পড়ুন।

করলায় যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে। 

করলায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আমরা যেভাবেই করলা খাই না কেন সফলভাবে করলার পুস্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। করলায় ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় পুস্টির বড় একটি উৎস। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফোলেট, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ও ক্যারোটিন থাকে। এছাড়াও এটি ফাইবার, প্রোটিন, আমিশ এবং বিটা ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস বলে বিবেচনা করা হয়। 

তাহলে চলুন,এত সব পুস্টি উপাদানে ভরপুর করলা আমাদের দৈনন্দিন শারীরিক সুস্থতায়। যে সকল পুস্টির উপাদান গুলো সরবরাহ করে থাকে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

পাকস্থলির হজম শক্তি বাড়ায়।

বর্তমান সময়ে আমরা আনেকেই হজম সমস্যায় ভুগে থাকি। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় আমরা যে সকল খাবার গুলো খেয়ে থাকি,সেই সকল খাবারে বিভিন্য সমস্যার করনে সাদারনত হজমে সমস্য হয়ে থাকে। তাছারা অনেক সময় আমরা বাহিরের খাবার খেয়ে থাকি। এই বাহিরের খাবারে অতিরিক্ত তেল মসলা দিয়ে তৈরি করা হয় ,যেটা আমাদের পাকস্থলির বড় শত্রু।

কিন্তু আমরা যদি দৈনিন্দিনের খাদ্য তালিকায় করলা শবজি টাকে রাখি তাহলে হজম সমাস্যা নিয়ে চিন্তা করার কিচুই নেই। কেননা, করলা  আমাদের পাকস্থলির হজম শক্তি বিদ্বিতে অন্যন্য ভুমিকা রাখে। এক্ষেত্রে আমরা যদি একটু কস্ট করে করলার জুস বানিয়ে খেতে পারি তাহলে এর ফলাফল আর ভাল পাওয়া যাবে। তাই আপনি সহ আপনার পরিবারের সকলে দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকায় করলা রাখার চেস্টা করবেন।

শরিরের অতিরিক্ত ওজন কমায়।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা শরিরে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে, চিন্তা করে থাকি । এক কথায় বলতে গেলে অতিরিক্ত ওজন আসলে শরিরের জন্য বোযা বয়ে বেরানোর মত। আপনি যদি ওজনের সমস্যায় ভুগে থকেন তাহলে খাদ্য তালিকায় করলা রাখতে পারেন। করলায় সাধারনত ক্যালোরির পরিমান কম থাকে তাই এটি চর্বি এবং শরিরের ওজন কমানোর জন্য করলা নামক সবজি টি অনন্য।

লিভার ভাল রাখে।

লিভার আমাদের শরিরের একটি গুরুত্বপূর্ন আংগ। আমরা হয়তো অনেকেই জানি ,শারিরিক সুস্থতায় লিভারের গুরুত্ব কতিটা। করলার রস শরিরের লিভারের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন ছেকে বের করে দেয়। তাছারা করলার যত পূস্টিগুন রয়েছে সেগুলো আমাদের লিভারের সাস্থ ভাল রাখে এবং নানাবিধ রোগ থেকে মুক্তি দেয়। 

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। 

ডায়াবেটিসের সমস্যা সাধারণত যেকোনো মানুষের হতে পারে। এটা একটি সাধারন ব্যাপার। তবে মানুষের একটু বয়স হলেই এই সমস্যাটা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। আমাদের মধ্যে যাদের ডায়াবেটিসের সমস্য রয়েছে। তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় করলা খেতে পারেন,কেননা করলায় থাকা উপাদান রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। 

চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।

বর্তমান যুগ বলতে গেলে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এ যুগে চোখে সমস্যা নেই এমন মানুষ খুব কমই আছে। কেননা যে হারে আমরা মোবাইল ল্যাপটপ জাতীয় পণ্য দ্রব্য ব্যবহার করি। এক্ষেত্র করোলা্র রয়েছে ভূমিকা কেননা, করোলায় থাকা ভিটা ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে। যদি আমরা নিয়মিত করলা খাই তাহলে আমাদের চোখের স্বাস্থ্য এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকবে। 

ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য করলার উপকারিতা। 

ত্বক সুন্দর ও সুস্থ রাখার জন্য অনেক সময় আমরা অনেক অনেক কিছু খেয়ে থাকি এবং অনেক পণ্য সামগ্রি ব্যবহার করে থাকি। করলা আমাদের শরীরের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। করলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বার্ধক্য বিলম্বিত করতে এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে এবং উজ্জলতা বাড়ায়। এক্ষেত্রে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত পরিমাণ মতো করলা খেতে পারেন।

করলা খাওয়ার কিছু সতর্কতা। 

করলা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বলা যায় করলা আসলে আমাদের জন্য একটি আদর্শ খাবার। তবে দৈনন্দীনের খাদ্য তালিকায় প্রত্যেকটা খাবারই সবার জন্য ভালো নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এর সতর্কতা মেনে ও আমাদের চলতে হবে। তাহলে চলুন করলা খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি এর সতর্কতা সম্পর্কে আমরা জেনে নি।

আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষের আগে থেকেই লিভারের সমস্যা রয়েছে। তারা করলা খাওয়া বা করলার রস খাওয়া থেকে একটু বিরত থাকবেন। কেননা করোলায় থাকা ল্যাকটিন লিভারের এনজাইমের  মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন। এছারা যাদের ডায়াবেটিসের ওষুধ প্রতিনিয়তই খেতে হয় তারা অবশ্যই করলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কেননা আপনার সুস্থতা আপনার নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। 

শেষ কথা। করলার উপকারিতা কি?

শারীরিক সুস্থতার জন্য আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হয়। তার মধ্যে কুরলাও অন্যত। অনেকে করলা খেতে চায় না, তবে আমাদের মধ্যে যে সকল মানুষ করলা খায় না। তারা খুব বড় একটি পুষ্টির উৎস থেকে বঞ্চিত। করলা আসলেই খুব মজাদার একটি খাবার। যারা করলা খান  না তারা অবশ্যই প্রতিনিয়ত কম করে হলেও করলা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা আমাদের শারীরিক সুস্থতা অবশ্যই আমাদের নিজেদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। 

এতক্ষণ মনোযোগ সহকারী আর্টিকেলটি পরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 

                                   ( খোদা হাফেজ )

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url