১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা কিছু স্মার্টফোন।
বর্তমান আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্টফোনের ব্যবহারকারী অনেক রয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষই চায় যে আমি একটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি। কিন্তু সমস্যাটা হয় কোথায় জানেন, যখন আমরা একটা স্মার্ট ফোন কেনার চিন্তা করি তখন কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। কোন ফোনটা কিনব, আমার বাজেটের সাথে মিল হবে কিনা, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে কি পছন্দের ফোনটা পাব ইত্যাদি অনেক কিছুই চিন্তা করি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো তাদের স্মার্টফোনগুলি তিনটি সেগমেন্টে বিক্রি করে থাকে। এগুলো হলো, হাই এন্ড বা ফ্লাগশিপ, মিড রেঞ্জ ও লো এন্ড বা সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইস। আমাদের দেশের বাজারেও একইভাবে ডিভাইসের ধরন নির্ধারণ করা হয়। আমাদের বাংলাদেশ মিড রেঞ্জের স্মার্টফোনগুলোর চাহিদা সব সময় বেশি।
বর্তমান সময় প্রযুক্তি সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে অবশ্যই আপনার একটা স্মার্ট ফোন প্রয়োজন। শুধুমাত্র ছবি তোলার কাজে নয়, একটি স্মার্টফোন আপনার অনেক ধরনের প্রয়োজন মিটায়। তাই অবশ্যই ফোন কেনার আগে আপনার কোন ফোনটা কিনবেন এবং এর ফিচার কেমন হবে অবশ্যই এটা জানা প্রয়োজন। এর ফলে আপনার সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হবে না।
আজকে আমরা সাশ্রয়ী মূল্যের কিছু স্মার্টফোন নিয়ে আলোচনা করব। তবে এইসব ফোনের দাম দোকান ভেদে কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা কিছু স্মার্টফোন সম্পর্কে।
Samsung Galaxy A15 4G:
- এই ফোনের ডিসপ্লে ৬.৫ ইঞ্চি, সুপার অ্যামলে, এফ এইচডি (1080×2340), ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট।
- প্রফেসর রয়েছে মিডিয়াটিজ হেলিও G 99।
- র্যাম 4 G
- স্টোরেজ 128gb
- ৫০০০ অ্যাম্পিয়ারের লং লাস্টিং ব্যাটারি।
- নেটোয়ার্ক থাকবে, 2G/3G/4G
- মেইন ক্যামেরা পেয়ে যাবেন ৫০ মেগাপিক্সেল, ৫ মেগাপিক্সেল আলট্রা ওয়াইড
- সেলফি ক্যামেরা পেয়ে যাবেন ১৩ মেগাপিক্সেল।
- ফোনের সাইড মাইন্ডেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট পেয়ে যাবেন।
- সর্বশেষ ফোনের মূল্য ১৮০০০ ৫০০ টাকা। আপনার পছন্দের যেকোনো samsung সপ থেকে নিতে পারবেন।তবে আপনি যদি এর ফাইভ-জি ভেরিয়েন্ট নিতে চান তাহলে দাম একটু বেশি পড়বে।
Sumsung Galaxy A05 S
- ডিসপ্লে ৬. ৭ ইঞ্চি, সম্পূর্ণ এইচডি, ৯০ হাস রিফ্রেশরেট (1080×2400)
- মিডিয়াটেক হেলিও জি 80, 4 জি।
- Ram পেয়ে যাচ্ছেন 4 জিবি।
- ফোনের স্টেরেজ পেয়ে যাচ্ছেন ১২৮ জিবি।
- ৫০০০ অ্যাম্পিয়ারের লং লাস্টিং বেটারি।
- মেইন ক্যামেরায় পেয়ে যাচ্ছেন মেগাপিক্সেল ৬৪ মেগাপিক্সেল, ২ মেগাপিক্সেল মাইক্রো লেন্স, ও ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেনসর।
- সেলফি ক্যামেরায় থাকছে 13 মেগাপিক্সেল।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট সাইড মাউনটেন্ড পেয়ে যাচ্ছেন।
- বাংলাদেশী টাকার ১৭০০০ টাকা হলে এই ফোনটি পেয়ে যাচ্ছেন।
Realme Narzo N55:
- ডিসপ্লে পাচ্ছেন ৬.৭২ ইঞ্চি, আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে,৯০ হার্জ রিফ্রেশরেট, এইচডি (1080×2400)।
- প্রসেসর মিডিয়াটেক হেলিও জি ৮৮।
- রাম ৬ জিবি।
- স্টুডেন্ট পাচ্ছেন ১২৮ জিবি, এটি আপনার ভিডিও ফাইল গুলো রাখতে বেশ ভালো।
- ৫০০০ অ্যাম্পিয়ারের লং লাস্টিং বেটারি।
- মেইন ক্যামেরায় পেয়ে যাচ্ছেন ৬৪ মেগাপিক্সেল, এবং 2 মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
- সেলফি ক্যামেরা রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট সাইড মাউনটেন্ট।
- এর বাংলাদেশি প্রাইস ১৮৫০০ টাকা।
Vivo y28
- ডিসপ্লে থাকছে এতে ৬.৬৮ ইঞ্চি, এই পিএস এলসিডি ডিসপ্লে, ৯০ হার্জ refreasted, HD (720×1608)
- প্রসেসর মিডিয়াটেক হিলিও জি ৮৫
- রাম থাকছে ৬ জিবি।
- স্টরেজ পাচ্ছেন ১২৮ জিবি।
- ৬০০০ এম্পিয়ারের লং লাস্টিং ব্যাটারি, যেটা আপনার জন্য পর্যাপ্ত।
- মেইন ক্যামেরায় থাকছে ৬৪ মেগাপিক্সেল এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
- সেলফি ক্যামেরায় থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট সাইড মাউন্টেড।
- এর বাংলাদেশি টাকায় মূল্য থাকছে ২০ হাজার ৫০০ টাকা।
Realme C65.
- এতে ৬. ৬৭ ইঞ্চি , এই পি এস এলসিডি ডিসপ্লে, ৯০ হার্জ রিফ্রেশরেট, HD (720×1608) রয়েছে।
- মিডিয়াটেক হেলিও জি ৮৫ প্রসাসর।
- ৮ জিবি র্যাম।
- ১২৮ জিবি স্টোরেজ রয়েছে, আপনার ফাইল গুল সংরক্ষণ করার জন্য যথেস্ট।
- ৬০০০ আম্পিয়ারের লং লাস্টিং বেটারি রয়েছে।
- মেইন ক্যামেরায় ৬৪ মেগাপিক্সেল, এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
- সেলফি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট সাইট মাউনটেন্ড।
- এর দাম বাংলাদেশি টাকায় ১৯০০০ টাকা।
এই ফোন গুলো আপনি, আপনার শহরের নিজস্ব সপে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন মার্কেটে ফোনের স্টোর গুলোতে পেয়ে যাবেন। আপনি যদি অনলাইনে স্টোর থেকে এই ফোনগুলি কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই ওয়ারেন্টি এবং আসল ফোন দেখে বুঝে কিনুন।
শেষ কথা।
আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী ফোন, বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই ফোন ব্যবহারকারী।এর মধ্যে স্মার্টফোনের সংখ্যাই বেশি, কেননা স্মার্টফোন বর্তমান সময়ে বিনোদনের একটি বড় মাধ্যম।
এই ফোন কেনার সময় আমরা অনেক সময় বুঝতে পারিনা। প্রত্যেকটা ফোনেরই কনফিগারেশন থাকে ফোনটা কেমন, তার ব্যাটারি কেমন, কত জিবি র্যাম রয়েছে, ক্যামেরা কত মেগাপিক্সেল ইত্যাদি বিভিন্ন কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলবো আপনি অবশ্যই অনলাইন থেকে ফোনের সম্বন্ধে আগে থেকে জেনে তারপরে ফোন কিনবেন। এত করে আপনাকে কেউ উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে লসের সম্মুখীন করতে পারবে না। সে এক্ষেত্রে আপনি আপনার পছন্দের ফোনটাও ভালোভাবে দেখে শুনে বুঝে কিনতে পাবেন।
মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্ট টি পরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। একটা কথা মাথায় রাখবেন আপনার ভিতরে বোঝার ক্ষমতা থাকলে, কেউ ঠকাতে পারবে না।
{খোদা হাফেজ }
ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url