যোহরের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি?
আমরা যারা ইসলাম ধর্মের মানুষ রয়েছি, আমাদের উপর মহান আল্লাহ তা-আলা ৫ ওয়াক্ত নামাজ কে ফরজ করে দিয়েছেন। এটা চিরন্তন সত্য এবং আমরা সকলেই জানি, নামাজ হল বেহেস্তের চাবি।তাই বুজতেই পারছেন সঠিক ভাবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন । আজকে আপনাদের সাথে দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে যোহরের নামাজ কয় রাকাত ও এর নিয়ম গুল কি তা নিয়ে আলচনা করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃমনযোগ সকারে আজকের এই আর্টিকেলটি পরুন, যোহরের নামাজের নিয়ম কানুন গুল দেখুন।
যোহরের নামাজ ।
দিনের দ্বিতীয় ওয়াক্তের নামাজ হলো যোহর। আচ্ছা আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, যোহরের নামাজ কয় রাকাত। তাহলে কি উত্তর দিবেন, নিশ্চয়ই ১০ রাকাত, তবে যোহরের নামাজ মোট ১২ রাকাত এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। তবে ভয়ের কিছু নেই আপনি যে ১০ রাকাত পড়ছেন, তাতেও নামাজ হবে।
যোহরের নামাজের মোট ১২ রাকাতের মধ্যে, ৪ রাকাত সুন্নাত, ৪ রাকাত ফরজ, ২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং ২ রাকাত নফল। আপনি চাইলে নফল নামাজ আদায় নাও করতে পারেন।
৪ রাকাত সুন্নতঃ
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম। আমরা যদি সঠিকভাবে নামাজ আদায় না করি তাহলে আমাদের নামাজ কবুল হবে না।
যোহরের ৪ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত:
নাওয়াইতুয়ান উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা'আলা আরবাআ' রাকায়াতি ছালাতিল যোহরি সুন্নাতু রাসূলুল্লাহি তা-আলা মুতাওয়াজ-জিহান ইলা-জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বংলাঃ
হে আল্লাহ আমি কেবলামুখী হইয়া জোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করিতেছি, আল্লাহু আকবার।
জোহরের ৪ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত:
নাওয়াইতু-আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা-আলা আরবা-আ রাকা-আতি সালাতিল জহুরী ফারদুল্লাহি তা-আলা মুতাওয়াজ্জজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শরীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলাঃ
হে আল্লাহ আমি কেবলামুখী হইয়া এই জামাতের ইমামের পিছনে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করিতেছে, আল্লাহু আকবার।
জোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত
নাওয়াইতুয়ান উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা-আলা রাকয়াতাই সালাতিল যোহ-রি সুন্নতু রাসূলুল্লাহি তা-আলা মুতাওয়াজ-জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা
হে আল্লাহ আমি কেবলামুখী হইয়া যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায়ের নিয়ত করিতেছে, আল্লাহু-আকবার।
উপসংহার
উপরে আমরা জোহরের নামাজের রাকাত সংখ্যা এবং এর নিয়ত সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমাদের মহান আল্লাহ তাআলার অনুগত্য স্বীকার করার জন্য নামাজ পড়তে হবে। তাই শুদ্ধভাবে নামাজ আমাদের অবশ্যই আদায় করা উচিত।
এই আর্টিকেল টি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।
( খোদা হাফেজ )
ভদ্রতা বজায় রেখে কমেন্ট করুন! কারন,প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url